Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের মূল সমস্যা মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া খবর : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখা গণমাধ্যমকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের মূল সমস্যা হলো মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া খবর। এর একটি বড় অংশ প্রবাসে বসবাসকারী কিছু ব্যক্তি ছড়াচ্ছেন, আবার কিছু স্থানীয় ব্যক্তিও এতে জড়িত। এটি একটি অব্যাহত বোমাবর্ষণের মতো।

বুধবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ও প্রধান সুসান ভাইজ এবং ইউনেস্কোর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড সেফটি অব জার্নালিস্টস বিভাগের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনচেলাহ সাক্ষাতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘শুধু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নয়, নিয়মিত প্রচলিত গণমাধ্যমও বিভ্রান্তিকর তথ্যের উৎস হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ শুধু সরকারের সঙ্গে কথা বললেই হবে না, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলা জরুরি।’

বিধিসম্মত স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘যদি কোনো গণমাধ্যম বারবার মিথ্যা তথ্য ছড়ায়, তাহলে তাদের মনে করিয়ে দেয়া উচিত যে তারা আর বিশ্বাসযোগ্য নয়।’

সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি মূলধারার সংবাদমাধ্যমও অনেক সময় ভুয়া তথ্যের উৎস উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা এই গুজব ও ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহায়তা চান। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে জাতিসংঘের শুধু সরকারের সঙ্গে নয়, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলা উচিত।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গণমাধ্যমের জন্য স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন। যদি কোনো গণমাধ্যম অব্যাহতভাবে গুজব ছড়ায়, তাহলে সেই গণমাধ্যমকে মনে করিয়ে দিতে হবে, তারা আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। আপনারা জাতিসংঘ, আপনাদের বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আপনাদের সহায়তা দরকার।

ড. ইউনূসের এ অনুরোধের জবাবে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ বলেন, বৃহস্পতিবার যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে মূল্যায়নের পাশাপাশি আত্ম-নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সুসান বলেন, নানা গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সুপারিশও রয়েছে প্রতিবেদনে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে বিচারক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইউনেস্কোর সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনচেলাহ বলেন, প্রতিবেদনটিতে সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ এবং নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়েও সুপারিশ থাকবে। তিনি বলেন, বিষয়গুলোতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

ইউএনডিপির ‘স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসিস অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসআইপিএস)’ প্রকল্পের আওতায় এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম উন্নয়নে ইউনেস্কোর ম্যান্ডেট অনুসরণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান দুই কর্মকর্তা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমাদের মূল সমস্যা মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া খবর : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৫:১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখা গণমাধ্যমকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের মূল সমস্যা হলো মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া খবর। এর একটি বড় অংশ প্রবাসে বসবাসকারী কিছু ব্যক্তি ছড়াচ্ছেন, আবার কিছু স্থানীয় ব্যক্তিও এতে জড়িত। এটি একটি অব্যাহত বোমাবর্ষণের মতো।

বুধবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ও প্রধান সুসান ভাইজ এবং ইউনেস্কোর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড সেফটি অব জার্নালিস্টস বিভাগের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনচেলাহ সাক্ষাতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘শুধু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নয়, নিয়মিত প্রচলিত গণমাধ্যমও বিভ্রান্তিকর তথ্যের উৎস হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ শুধু সরকারের সঙ্গে কথা বললেই হবে না, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলা জরুরি।’

বিধিসম্মত স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘যদি কোনো গণমাধ্যম বারবার মিথ্যা তথ্য ছড়ায়, তাহলে তাদের মনে করিয়ে দেয়া উচিত যে তারা আর বিশ্বাসযোগ্য নয়।’

সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি মূলধারার সংবাদমাধ্যমও অনেক সময় ভুয়া তথ্যের উৎস উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা এই গুজব ও ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহায়তা চান। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে জাতিসংঘের শুধু সরকারের সঙ্গে নয়, গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলা উচিত।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গণমাধ্যমের জন্য স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন। যদি কোনো গণমাধ্যম অব্যাহতভাবে গুজব ছড়ায়, তাহলে সেই গণমাধ্যমকে মনে করিয়ে দিতে হবে, তারা আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। আপনারা জাতিসংঘ, আপনাদের বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আপনাদের সহায়তা দরকার।

ড. ইউনূসের এ অনুরোধের জবাবে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ বলেন, বৃহস্পতিবার যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে মূল্যায়নের পাশাপাশি আত্ম-নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সুসান বলেন, নানা গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সুপারিশও রয়েছে প্রতিবেদনে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে বিচারক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইউনেস্কোর সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মেহদি বেনচেলাহ বলেন, প্রতিবেদনটিতে সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ এবং নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়েও সুপারিশ থাকবে। তিনি বলেন, বিষয়গুলোতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

ইউএনডিপির ‘স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসিস অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসআইপিএস)’ প্রকল্পের আওতায় এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম উন্নয়নে ইউনেস্কোর ম্যান্ডেট অনুসরণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান দুই কর্মকর্তা।