Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • ২১২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

যাকে ঘিরে ছিল লড়াইয়ের আশা, সেই লিটন দাসই সাজঘরে ফিরলেন সবার আগে। প্রবাত জয়সুরিয়ার স্পিনের সামনে অসহায় বাংলাদেশ দল চতুর্থ দিনে মাত্র ৩৪ বল টিকতে পারল। শঙ্কা সত্যি করে শ্রীলঙ্কার কাছে ইনিংস ব্যবধানেই হারল তারা।

লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। শনিবার (২৮ জুন) কলম্বো টেস্টের চতুর্থ দিনে ১৩৩ রানে থেমেছে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে ইনিংস ও ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে সফরকারীদের গুটিয়ে দেয় লঙ্কানরা। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। বাকি ৪ উইকেট খুইয়ে দলটি যোগ করতে পারে আর কেবল ১৮ রান। ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নবমবারের মতো ইনিংস হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।

গলে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট হয়েছিল ড্র। এই টেস্ট জিতে দুই ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার দল।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। শেষ ভরসা ছিলেন লিটন দাস। তিনিই ছিলেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটার। কিন্তু ভরসা দিতে পারেননি লিটন। চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতেই উইকেট দিয়ে এসেছেন। করেন ১৪ রান।
এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪৪.২ ওভারে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।

এর আগে ২১১ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের তিন ইনিংসের বেশি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট করেও রান করতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। ওই তিন ইনিংসে যথাক্রমে ০, ৪, ০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।

আগের সব ব্যর্থতা ভুলতে কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নতুন কৌশল অবলম্বন করেন বিজয়। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিকে ছুঁড়ে ফেলে এবার তিনি বেছে নেন আক্রমণাত্মক স্টাইল। কিন্তু ডানহাতি ব্যাটারের নতুন ভঙ্গিও কাজে দিলো না। কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাংলাদেশ ওপেনার।

১৯ বলে ১৯ রান (২টি চার ও একটি ছক্কা) করে আউট হয়ে গেছেন বিজয়। শ্রীলঙ্কার পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে শর্ট লেগ অঞ্চলে পাবন রত্মায়েকের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের ফেরত গেছেন এই ব্যাটার।

বিজয়ের আউটের পরপরই পড়েছে চা বিরতির ঘণ্টা। তার আগে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ৬.৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩১ রান করে বাংলাদেশ। সাদমান অপরাজিত ছিলেন ১২ রানে।

তবে বিরতির পরের ওভারেই উইকেট দিয়েছেন সাদমান। প্রভাত জয়সুরিয়ারে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। করেছেন ১২ রান। ৩১ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর মুমিনুল হকও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ১৫ রানেই থেমেছে মুমিনুলের ইনিংস।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে ভরসা দিতে পারেননি। তিনিও সেট হয়ে আউট। ১৯ রান করে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে এলবিডব্লিউ বাংলাদেশ দলপতি।

মুশফিকুর রহিম এই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ। তার ওপর ভরসা ছিল। শুরুটাও করেছিলেন ভালো। সেট হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৫৩ বল খেলা ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটলো প্রভাত জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হয়ে। ২৬ করে ফেরেন মুশফিক। ১০০ তুলতেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তখনই বলতে গেলে শেষ আশা।

ইনিংস হার বলতে গেলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় তখন। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে ছিলেন কেবল লিটন দাস। তার সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ থাকলেও একটা আশা থাকতো। কিন্তু দিনের একদম শেষ বলে থারিন্ডু রথনায়েকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়েছেন মিরাজকে (১১)।

শেষ ভরসা লিটন আউট হয়েছেন চতুর্থ দিনের শুরুতেই। প্রভাত জয়সুরিয়ার বল ডিফেন্ড করলেও এজ হয়ে ক্যাচ হয়েছেন লিটন। করেছেন ১৪ রান। জয়সুরিয়া নিজের পরের ওভারেই স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন নাঈম হাসানকে (৫)। এরপর লেজ গুটিয়ে দিতে খুব সময় নেয়নি শ্রীলঙ্কা। তাইজুল ইসলাম আর এবাদত হোসেন ৬ রান করে আউট হন।

শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার প্রভাত জয়সুরিয়া রান খরচায় একাই নেন ৫টি উইকেট।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ২৪৭ রান। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রানে গিয়ে থামে লঙ্কানরা। এতে ২১১ রানের বড় লিড পায় স্বাগতিকরা। দুই ইনিংসেও শ্রীলঙ্কার এক ইনিংসের রান পার করতে পারেনি বাংলাদেশ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ১১:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

যাকে ঘিরে ছিল লড়াইয়ের আশা, সেই লিটন দাসই সাজঘরে ফিরলেন সবার আগে। প্রবাত জয়সুরিয়ার স্পিনের সামনে অসহায় বাংলাদেশ দল চতুর্থ দিনে মাত্র ৩৪ বল টিকতে পারল। শঙ্কা সত্যি করে শ্রীলঙ্কার কাছে ইনিংস ব্যবধানেই হারল তারা।

লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। শনিবার (২৮ জুন) কলম্বো টেস্টের চতুর্থ দিনে ১৩৩ রানে থেমেছে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে ইনিংস ও ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে সফরকারীদের গুটিয়ে দেয় লঙ্কানরা। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। বাকি ৪ উইকেট খুইয়ে দলটি যোগ করতে পারে আর কেবল ১৮ রান। ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নবমবারের মতো ইনিংস হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।

গলে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট হয়েছিল ড্র। এই টেস্ট জিতে দুই ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার দল।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। শেষ ভরসা ছিলেন লিটন দাস। তিনিই ছিলেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটার। কিন্তু ভরসা দিতে পারেননি লিটন। চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতেই উইকেট দিয়ে এসেছেন। করেন ১৪ রান।
এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪৪.২ ওভারে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।

এর আগে ২১১ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের তিন ইনিংসের বেশি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট করেও রান করতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। ওই তিন ইনিংসে যথাক্রমে ০, ৪, ০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।

আগের সব ব্যর্থতা ভুলতে কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নতুন কৌশল অবলম্বন করেন বিজয়। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিকে ছুঁড়ে ফেলে এবার তিনি বেছে নেন আক্রমণাত্মক স্টাইল। কিন্তু ডানহাতি ব্যাটারের নতুন ভঙ্গিও কাজে দিলো না। কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাংলাদেশ ওপেনার।

১৯ বলে ১৯ রান (২টি চার ও একটি ছক্কা) করে আউট হয়ে গেছেন বিজয়। শ্রীলঙ্কার পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে শর্ট লেগ অঞ্চলে পাবন রত্মায়েকের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের ফেরত গেছেন এই ব্যাটার।

বিজয়ের আউটের পরপরই পড়েছে চা বিরতির ঘণ্টা। তার আগে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ৬.৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩১ রান করে বাংলাদেশ। সাদমান অপরাজিত ছিলেন ১২ রানে।

তবে বিরতির পরের ওভারেই উইকেট দিয়েছেন সাদমান। প্রভাত জয়সুরিয়ারে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। করেছেন ১২ রান। ৩১ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর মুমিনুল হকও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ১৫ রানেই থেমেছে মুমিনুলের ইনিংস।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে ভরসা দিতে পারেননি। তিনিও সেট হয়ে আউট। ১৯ রান করে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে এলবিডব্লিউ বাংলাদেশ দলপতি।

মুশফিকুর রহিম এই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ। তার ওপর ভরসা ছিল। শুরুটাও করেছিলেন ভালো। সেট হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৫৩ বল খেলা ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটলো প্রভাত জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হয়ে। ২৬ করে ফেরেন মুশফিক। ১০০ তুলতেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তখনই বলতে গেলে শেষ আশা।

ইনিংস হার বলতে গেলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় তখন। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে ছিলেন কেবল লিটন দাস। তার সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ থাকলেও একটা আশা থাকতো। কিন্তু দিনের একদম শেষ বলে থারিন্ডু রথনায়েকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়েছেন মিরাজকে (১১)।

শেষ ভরসা লিটন আউট হয়েছেন চতুর্থ দিনের শুরুতেই। প্রভাত জয়সুরিয়ার বল ডিফেন্ড করলেও এজ হয়ে ক্যাচ হয়েছেন লিটন। করেছেন ১৪ রান। জয়সুরিয়া নিজের পরের ওভারেই স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন নাঈম হাসানকে (৫)। এরপর লেজ গুটিয়ে দিতে খুব সময় নেয়নি শ্রীলঙ্কা। তাইজুল ইসলাম আর এবাদত হোসেন ৬ রান করে আউট হন।

শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার প্রভাত জয়সুরিয়া রান খরচায় একাই নেন ৫টি উইকেট।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ২৪৭ রান। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রানে গিয়ে থামে লঙ্কানরা। এতে ২১১ রানের বড় লিড পায় স্বাগতিকরা। দুই ইনিংসেও শ্রীলঙ্কার এক ইনিংসের রান পার করতে পারেনি বাংলাদেশ।