Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরের যানজটমুক্ত দুই মহাসড়ক দিয়ে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে নাড়ীর টানে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন কর্মজীবী মানুষ। গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। চাপ বাড়লেও এখন পর্যন্ত দুই মহাসড়কে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই যানবাহন চলাচল করছে।

গাজীপুরের এ দুই মহাসড়কে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য মহানগর পুলিশ ও জেলা পুলিশ কাজ করছে। মহাসড়ক দুটিতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই যানজট। অনেকটা স্বস্তি নিয়েই বাড়ি যাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ।

বুধবার (৪ জুন) ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘুরে চালক ও যাত্রীরা এ কথা জানিয়েছেন।

শিল্প অধ্যূষিত জেলা গাজীপুরে ২ হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করেন কয়েক লাখ শ্রমিক। ইতোমধ্যে অনেক কারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি ঘোষণা করায় ওই সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে গাজীপুর ছাড়ছেন। রাজধানী ও গাজীপুর থেকে বের হওয়ার পথ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রীদের ভিড় দেখা গিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ভিড় বাড়ছে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় ময়মনসিংহগামী যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন তাসকিন পরিবহনের চালক লিয়াকত মিয়া। তিনি বলেন, সকালে ময়মনসিংহ থেকে চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রী নামিয়ে ফের ময়মনসিংহের যাত্রী তুলছিলেন। সকালে যাত্রীর পরিমাণ কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ায় গাড়িতে যাত্রী তুলতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বলে তিনি জানান। তবে ময়মনসিংহ থেকে আসার সময় মহাসড়কের তেমন কোনো যানজটের দেখা পাননি বলে জানান।

অপর বাসের চালক আল-আমিন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মোড়ে মোড়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলায় যান চলাচলে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে। দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি এ বিষয়টিতে নজর দিয়ে যাত্রী তুলতে পরিবহন গুলোকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে রাখেন তাহলে যানজট সম্ভাবনা একদমই থাকবে না বলে তিনি দাবি করেন।

সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় যানজটকে মাথায় রেখে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ এবং আগামী দুই দিন যাত্রীর চাপ বাড়বে। আশা করি যানজটমুক্ত পরিবেশে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।

গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় চন্দ্রায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও জেলা পুলিশ কাজ করছে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম আশরাফুল আলম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গাজীপুরের যানজটমুক্ত দুই মহাসড়ক দিয়ে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ

প্রকাশের সময় : ০২:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে নাড়ীর টানে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন কর্মজীবী মানুষ। গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। চাপ বাড়লেও এখন পর্যন্ত দুই মহাসড়কে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই যানবাহন চলাচল করছে।

গাজীপুরের এ দুই মহাসড়কে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য মহানগর পুলিশ ও জেলা পুলিশ কাজ করছে। মহাসড়ক দুটিতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই যানজট। অনেকটা স্বস্তি নিয়েই বাড়ি যাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ।

বুধবার (৪ জুন) ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘুরে চালক ও যাত্রীরা এ কথা জানিয়েছেন।

শিল্প অধ্যূষিত জেলা গাজীপুরে ২ হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করেন কয়েক লাখ শ্রমিক। ইতোমধ্যে অনেক কারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি ঘোষণা করায় ওই সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে গাজীপুর ছাড়ছেন। রাজধানী ও গাজীপুর থেকে বের হওয়ার পথ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রীদের ভিড় দেখা গিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ভিড় বাড়ছে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় ময়মনসিংহগামী যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন তাসকিন পরিবহনের চালক লিয়াকত মিয়া। তিনি বলেন, সকালে ময়মনসিংহ থেকে চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রী নামিয়ে ফের ময়মনসিংহের যাত্রী তুলছিলেন। সকালে যাত্রীর পরিমাণ কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ায় গাড়িতে যাত্রী তুলতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বলে তিনি জানান। তবে ময়মনসিংহ থেকে আসার সময় মহাসড়কের তেমন কোনো যানজটের দেখা পাননি বলে জানান।

অপর বাসের চালক আল-আমিন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মোড়ে মোড়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলায় যান চলাচলে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে। দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি এ বিষয়টিতে নজর দিয়ে যাত্রী তুলতে পরিবহন গুলোকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে রাখেন তাহলে যানজট সম্ভাবনা একদমই থাকবে না বলে তিনি দাবি করেন।

সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় যানজটকে মাথায় রেখে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ এবং আগামী দুই দিন যাত্রীর চাপ বাড়বে। আশা করি যানজটমুক্ত পরিবেশে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।

গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় চন্দ্রায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও জেলা পুলিশ কাজ করছে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম আশরাফুল আলম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।