বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী )সংবাদদাতা :
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর একাধিকবার ইউএনওর ভাড়া করা বহিরাগতদের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (১ জুন) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর এই হামলার প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দেন ইউএনও।
বিগত ১০ ধরে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম কর্তৃক কালেরকন্ঠের পটুয়াখালী প্রতিনিধি এমরান হাসান সাহেল এর সাথে ঔদ্ধাত্যপূর্ন আচারণ ও জেলে ভরে দেওয়ার হুমকী সহ তার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মাথায় উপজেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও বহিরাগত কিছু ব্যক্তি মিলে সভাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। শিক্ষার্থীরা জানান, একদল লোক আমাদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে, লিখত বক্তব্যের কাগজ কেড়ে নেয় এবং কয়েকজনকে ধাক্কা দেয়। হামলাকারীদের নেতৃত্বে পরোক্ষভাবে ইউএনও ছিলেন। মুঠোফোনে হামলাকারী ও আনসার, গ্রাম পুলিশদের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতান্ডায় জড়ান।
এ ব্যাপরে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এমন কিছু জানাও নাই।