নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকার সরকারী হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়াসহ চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের হয়রানির অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে মহিলা ও পুরুষ ৭ দালালকে কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।
রোববার (১ জুন) সকাল ১১টার দিকে র্যাব-২ এর স্কয়াটডন লিডার নিফাজ রহমান এর নেতৃত্ব সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হওয়া অভিযানে আটক দালালদের কারাদণ্ড প্রদান করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হোসেন।
তারা হলেন- হারুন, হোসেন, রিপন, চান, রাজিয়া ও মনোয়ারা। এদের মধ্যে হারুনকে এক মাস, হোসেনকে ৭ দিন, রিপনকে ১৫ দিন, চানকে ৭ দিন, রাজিয়াকে ১৫ দিন ও মনোয়ারাকে ৭ দিন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযান শেষে আবুল হোসেন বলেন, আমরা এখানে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল, হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ পার্শ্ববর্তী যেগুলো সরকারি হাসপাতাল আছে সেই হাসপাতালগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছি।
অভিযানে মহিলা দালালসহ বেশ কয়েকজন দালালকে আমরা হাতে নাতে ধরেছি। এর মধ্যে দুই একজনকে আমাদের ছেড়ে দিতে হয়েছে। তাদের বক্তব্য শুনে আমাদের মনে হয়েছে তারা দালাল না। এছাড়া বাকি যারা আছে ৭ জন দালালকে আমরা বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছি।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে দালাল নির্মূলে নতুন পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আসলে রিসার্চের বিষয়, যে দালাল থেকে সাধারণ মানুষকে কিভাবে উদ্ধার করা যায়।
দালাল চক্র রোগী ভাগিয়ে যে হাসপাতালগুলোতে নিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান চলমান অভিযানটি শুধুমাত্র দালালদের বিরুদ্ধে। এছাড়া যে সকল ক্লিনিক হাসপাতাল এর সাঙ্গে জড়িত আমরা তাদের বিরুদ্ধে চিন্তাভাবনা করছি অভিযান পরিচালনা করা যায় কিনা সে বিষয়ে।
এর আগে এদিন সকাল ১১টার দিকে র্যাব-২ এর স্কয়াটডন লিডার নিফাজ রহমান এর নেতৃত্ব সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্রের দৌরাত্ম কমাতে যৌথ অভিযানে নামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যটিলিয়ন (র্যাব-২) এবং পুলিশ। অভিযানের শুরুর কিছু সময়ের মধ্যেই বেশ কিছু দালাল চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়।
অভিযানকালে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যটিলিয়ন (র্যাব-২) এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।