Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ন্যায় বিচারের মধ্যদিয়ে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে : এটিএম আজহার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, এতদিন ন্যায়বিচার ছিল না, এখন ন্যায় বিচারের মধ্যদিয়ে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) সকালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই শাহবাগ মোড়ে জনসভায় যোগ দিয়ে এ সব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, মুক্ত হয়ে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করছি। ধন্যবাদ জানাই আদালতকে। ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানোর জন্য। সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ, তারা ফ্যাসিস্টবাদের না হয়ে জনগণের পক্ষ নিয়েছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানে।

ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমেছিলেন বলেই দেশ নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জামায়াত নেতাদের ওপর জুডিশিয়াল কিলিং চালানো হয়েছে- এ কথা জানিয়ে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা মামলা, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র জামায়াত ইসলাম করার কারণেই আমাকে এই মানবতাবিরোধী মামলার মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়।

আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি সর্বপ্রথম আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তবে এটা সত্য যে, এতোদিন দেশে ন্যায়বিচার ছিল না। বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে। আমাদের অনেক ভাইকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার আইনজীবীরা দীর্ঘ সময় ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তারা সঠিক তথ্য-উপাত্ত, দলিল ও যুক্তি উপস্থাপন করে প্রমাণ করেছেন, এই মামলায় কোনো ভিত্তি ছিল না। আল্লাহর রহমতে আমি আজ মুক্ত, কিন্তু যারা নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন, তাদের আর ফেরানো যাবে না।

আজহারুল ইসলাম বলেন, এখানে রাস্তা আটকে সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। জনগণের যেন ভোগান্তি না হয়। এখন আর কথা বলবো না, আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে আপনার সঙ্গে বারবার দেখা হবে, বারবার কথা হবে।

তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে আদালত যেন জনগণের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন। আমি আমার আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমি পত্রপত্রিকায় দেখেছি তারা অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীলভাবে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে আমার মামলার অসারতা দূর করেছেন। এসব মিথ্যা মামলায় তারা আমার আগের ভাইদের নির্মম হত্যা করেছেন।

এই জামায়াত নেতা বলেন, আমি আমার নেতাদের স্মরণ করছি, যাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে, জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে; আমি শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা, গোলাম আজম ও মীর কাসেম আলী ভাইকে স্মরণ করছি।

তিনি বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকেও বিনা চিকিৎসায় ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। আমি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও স্মরণ করছি। আমি জামায়াতের অন্যান্য নেতা যারা বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন তাদের স্মরণ করছি। মাওলানা আবদুস সোবহানকে স্মরণ করছি। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

এটিএম আজহার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই, যেই পর্যায়ে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। না হলে এই খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে। তাই এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, ভাইয়েরা আমার অপরাধ কী ছিল? আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, এটাই তো আমার অপরাধ? এছাড়া আমার কোনো অপরাধ নেই। আপনাদের দোয়া চাই। আপনাদের কারণে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে রশির বদলে জামায়াত আমিরের কাছ থেকে ফুলের মালা পাচ্ছি। আমার এক ফোটা রক্ত থাকতে আমি যেন আজীবন ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে পারি, সেই দোয়া চাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি ধন্যবান ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের কারণে আজ আমি মুক্ত হয়েছি সেই ৩৬ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবীদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। যাদের আত্মত্যাগ, অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে। সবচেয়ে ধন্যবাদ জানাবো ছাত্রসমাজকে; এরপর দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে, যারা নারী ও শিশুসহ রাস্তায় নেমে এসেছেন। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ভাইদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার মতো নগণ্য ব্যক্তির জন্য যারা রোজা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা ১৫ বছর ধরে রাজপথে নিজেদের রক্ত ঢেলে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসা একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন, তাদের শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনা করি। এই রক্ত কখনো বৃথা যাবে না। এই আত্মত্যাগই বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য আলোর পথ দেখাবে।’

আগামী দিনে জনগণের সঙ্গে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি জানি, এই মুক্তির দায়িত্ব আমার ওপর আরও অনেক বড় দায়িত্ব নিয়ে এসেছে। আমি কথা দিচ্ছি, আল্লাহ যদি আমাকে তৌফিক দেন, তবে জীবনসায়াহ্ন পর্যন্ত জনগণের অধিকার, ন্যায়বিচার ও ইসলামি মূল্যবোধের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাব। আমি আপনাদের সঙ্গেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।”

রাজপথে পুনরায় শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়ে এটিএম আজহার বলেন, ‘আমরা কখনও অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি, করবোও না। আমাদের আন্দোলন থেমে নেই, থামবেও না। আজ থেকে আবার নতুনভাবে পথচলা শুরু হলো।’

এর আগে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরত অবস্থায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আজহারুল ইসলামের মুক্তির আগে তাকে খালাস দিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছায়। সেখানে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কারা কর্তৃপক্ষ আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ন্যায় বিচারের মধ্যদিয়ে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে : এটিএম আজহার

প্রকাশের সময় : ১২:১৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, এতদিন ন্যায়বিচার ছিল না, এখন ন্যায় বিচারের মধ্যদিয়ে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) সকালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই শাহবাগ মোড়ে জনসভায় যোগ দিয়ে এ সব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, মুক্ত হয়ে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করছি। ধন্যবাদ জানাই আদালতকে। ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানোর জন্য। সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ, তারা ফ্যাসিস্টবাদের না হয়ে জনগণের পক্ষ নিয়েছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানে।

ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমেছিলেন বলেই দেশ নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জামায়াত নেতাদের ওপর জুডিশিয়াল কিলিং চালানো হয়েছে- এ কথা জানিয়ে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা মামলা, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র জামায়াত ইসলাম করার কারণেই আমাকে এই মানবতাবিরোধী মামলার মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়।

আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি সর্বপ্রথম আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তবে এটা সত্য যে, এতোদিন দেশে ন্যায়বিচার ছিল না। বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে। আমাদের অনেক ভাইকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার আইনজীবীরা দীর্ঘ সময় ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তারা সঠিক তথ্য-উপাত্ত, দলিল ও যুক্তি উপস্থাপন করে প্রমাণ করেছেন, এই মামলায় কোনো ভিত্তি ছিল না। আল্লাহর রহমতে আমি আজ মুক্ত, কিন্তু যারা নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন, তাদের আর ফেরানো যাবে না।

আজহারুল ইসলাম বলেন, এখানে রাস্তা আটকে সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। জনগণের যেন ভোগান্তি না হয়। এখন আর কথা বলবো না, আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে আপনার সঙ্গে বারবার দেখা হবে, বারবার কথা হবে।

তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে আদালত যেন জনগণের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন। আমি আমার আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমি পত্রপত্রিকায় দেখেছি তারা অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীলভাবে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে আমার মামলার অসারতা দূর করেছেন। এসব মিথ্যা মামলায় তারা আমার আগের ভাইদের নির্মম হত্যা করেছেন।

এই জামায়াত নেতা বলেন, আমি আমার নেতাদের স্মরণ করছি, যাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে, জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে; আমি শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা, গোলাম আজম ও মীর কাসেম আলী ভাইকে স্মরণ করছি।

তিনি বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকেও বিনা চিকিৎসায় ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। আমি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও স্মরণ করছি। আমি জামায়াতের অন্যান্য নেতা যারা বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন তাদের স্মরণ করছি। মাওলানা আবদুস সোবহানকে স্মরণ করছি। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

এটিএম আজহার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই, যেই পর্যায়ে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। না হলে এই খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে। তাই এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, ভাইয়েরা আমার অপরাধ কী ছিল? আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, এটাই তো আমার অপরাধ? এছাড়া আমার কোনো অপরাধ নেই। আপনাদের দোয়া চাই। আপনাদের কারণে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে রশির বদলে জামায়াত আমিরের কাছ থেকে ফুলের মালা পাচ্ছি। আমার এক ফোটা রক্ত থাকতে আমি যেন আজীবন ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে পারি, সেই দোয়া চাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি ধন্যবান ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের কারণে আজ আমি মুক্ত হয়েছি সেই ৩৬ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবীদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। যাদের আত্মত্যাগ, অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে। সবচেয়ে ধন্যবাদ জানাবো ছাত্রসমাজকে; এরপর দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে, যারা নারী ও শিশুসহ রাস্তায় নেমে এসেছেন। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ভাইদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার মতো নগণ্য ব্যক্তির জন্য যারা রোজা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা ১৫ বছর ধরে রাজপথে নিজেদের রক্ত ঢেলে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসা একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন, তাদের শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনা করি। এই রক্ত কখনো বৃথা যাবে না। এই আত্মত্যাগই বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য আলোর পথ দেখাবে।’

আগামী দিনে জনগণের সঙ্গে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি জানি, এই মুক্তির দায়িত্ব আমার ওপর আরও অনেক বড় দায়িত্ব নিয়ে এসেছে। আমি কথা দিচ্ছি, আল্লাহ যদি আমাকে তৌফিক দেন, তবে জীবনসায়াহ্ন পর্যন্ত জনগণের অধিকার, ন্যায়বিচার ও ইসলামি মূল্যবোধের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাব। আমি আপনাদের সঙ্গেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।”

রাজপথে পুনরায় শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়ে এটিএম আজহার বলেন, ‘আমরা কখনও অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি, করবোও না। আমাদের আন্দোলন থেমে নেই, থামবেও না। আজ থেকে আবার নতুনভাবে পথচলা শুরু হলো।’

এর আগে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরত অবস্থায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আজহারুল ইসলামের মুক্তির আগে তাকে খালাস দিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছায়। সেখানে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কারা কর্তৃপক্ষ আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।