Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ জনের পদোন্নতিসহ চাকরি পুনর্বহালের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জ্যেষ্ঠতার সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় এ ঘোষণা করেন।

এ মামলায় আগেও হেরেছিল জাতীয় বিশ্বিবদ্যালয়। পরে রিভিউ থেকে মামলাটি আপিল শুনানি হয়। আজ ফের শুনানিতে তাদের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

আদালতে উপস্থিত কর্মচারীরা বলেন, ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত হন ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী। অবশেষে আজ পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়ায় আমরা খুশি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরি হারানোর পর অনেকেই অমানবিক কষ্ট বা বিনা চিকিৎসায় মারা যান। বাকিরা দুঃখ-কষ্টে দিনযাপন করেন। এ নিয়ে আন্দোলন করেছেন তারা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরিচ্যুত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। অবশেষে আজ এ নির্দেশনা দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি যথাযথ অনুসরণ করে ২০০৩ ও ২০০৪ সালে বিভিন্ন স্মারকে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে আদালতকে বিভ্রান্ত করে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। যা চাকরিবিধি বহির্ভূত-অনিয়মতান্ত্রিক ও অনৈতিক ছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ জনের পদোন্নতিসহ চাকরি পুনর্বহালের নির্দেশ

প্রকাশের সময় : ১১:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জ্যেষ্ঠতার সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় এ ঘোষণা করেন।

এ মামলায় আগেও হেরেছিল জাতীয় বিশ্বিবদ্যালয়। পরে রিভিউ থেকে মামলাটি আপিল শুনানি হয়। আজ ফের শুনানিতে তাদের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

আদালতে উপস্থিত কর্মচারীরা বলেন, ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত হন ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী। অবশেষে আজ পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়ায় আমরা খুশি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরি হারানোর পর অনেকেই অমানবিক কষ্ট বা বিনা চিকিৎসায় মারা যান। বাকিরা দুঃখ-কষ্টে দিনযাপন করেন। এ নিয়ে আন্দোলন করেছেন তারা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরিচ্যুত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। অবশেষে আজ এ নির্দেশনা দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি যথাযথ অনুসরণ করে ২০০৩ ও ২০০৪ সালে বিভিন্ন স্মারকে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে আদালতকে বিভ্রান্ত করে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। যা চাকরিবিধি বহির্ভূত-অনিয়মতান্ত্রিক ও অনৈতিক ছিল।