Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৭৪০১ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশ থেকে অর্থপাচার কমেছে। যার ফলে কমেছে হুন্ডির দৌরাত্ম্য। এসব কারণে বৈধ পথে বাড়ছে রেমিট্যান্স। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই বেড়ে যায় রেমিট্যান্সের (প্রবাসী আয়) গতিপ্রবাহ। দেশে প্রতি মাসে রেমিট্যান্স আসায় একের পর এক রেকর্ড হতে থাকে। সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যথাক্রমে মার্চ ও এপ্রিলে। চলতি মাসও নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। মে মাসের প্রথম ২৪ দিনেই ২২৪ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা প্রায় ২.২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন আসছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বা ১১৪২ কোটি টাকা। এভাবে রেমিট্যান্স আসলে চলতি মাসে আবারও রেকর্ড হতে যাচ্ছে অর্থাৎ প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয় আসতে পারে দেশে।

রোববার (২৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে ২২৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসছে ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত দেশে এসেছে ৬৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ১১ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত দেশে এসেছে ৭০ কোটি ৬৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ৪ থেকে ১০ মে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর মাসের প্রথম ৩ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৮ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকের কোনও রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টি। এর মধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে এবং আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এবং নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

অর্থাৎ বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন এবং মার্চে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে একই সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৯১২ কোটি মার্কিন ডলার।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৭৪০১ কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ০৭:০০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশ থেকে অর্থপাচার কমেছে। যার ফলে কমেছে হুন্ডির দৌরাত্ম্য। এসব কারণে বৈধ পথে বাড়ছে রেমিট্যান্স। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই বেড়ে যায় রেমিট্যান্সের (প্রবাসী আয়) গতিপ্রবাহ। দেশে প্রতি মাসে রেমিট্যান্স আসায় একের পর এক রেকর্ড হতে থাকে। সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যথাক্রমে মার্চ ও এপ্রিলে। চলতি মাসও নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। মে মাসের প্রথম ২৪ দিনেই ২২৪ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা প্রায় ২.২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন আসছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বা ১১৪২ কোটি টাকা। এভাবে রেমিট্যান্স আসলে চলতি মাসে আবারও রেকর্ড হতে যাচ্ছে অর্থাৎ প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয় আসতে পারে দেশে।

রোববার (২৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে ২২৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসছে ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত দেশে এসেছে ৬৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ১১ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত দেশে এসেছে ৭০ কোটি ৬৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ৪ থেকে ১০ মে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর মাসের প্রথম ৩ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৮ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকের কোনও রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টি। এর মধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে এবং আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এবং নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

অর্থাৎ বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন এবং মার্চে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে একই সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৯১২ কোটি মার্কিন ডলার।