Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্তমান সংকট উত্তরণে স্থানীয় নির্বাচনের বিকল্প নেই : নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের বর্তমান সংকট উত্তরণের জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাত ৮টায় রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা বলছি ফ্যাসিবাদী আমলের নির্বাচন অবৈধ ছিল এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী সবগুলো পক্ষ আমরা ওই আমলের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। আমি তো বলতে পারি না, সেই নির্বাচনের বৈধ প্রার্থী। এটা আসলে দ্বিচারিতা।’

এনসিপি) আহ্বায়ক বলেন, জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে, এ কথা তো আমরা বলিনি।

তিনি বলেন, আমরা কিন্তু বলি নাই যে, জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। প্রয়োজনে গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হোক। তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিক। আমাদের সে বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই।

তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে পরিকল্পিতভাবে সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের বিরোধিতা কেউ কখনো করেনি। প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত যে সময় দিয়েছেন, আমরা কিন্তু সেটাকে সমর্থন করেছি। এর মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। তবে এর মধ্যে আমরা বিচার এবং সংস্কারের কথা বলেছি। গণপরিষদ নির্বাচন একই সঙ্গে করতে হবে, সেই কথাটা আমরা বলেছি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিটা কিন্তু আজকে আমরা হঠাৎ দিচ্ছি না। এটা এর আগেও দেওয়া হয়েছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি এই পরিস্থিতির সমাধান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য বক্তব্য রাখা এবং কর্মসূচি নিয়ে জনগণের মাঝে হাজির হওয়া। আমরা কেবল দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি বলেন, যে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এ জন্য অনতিবিলম্বে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে দেওয়া উচিত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এই কমিশনের পক্ষে দিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আমরা সেই আস্থাটা রাখতে পারছি না। তারা পক্ষপাতমূলক আচারণ করছে। তারা সংস্কার প্রস্তাবনা আমলে নেয়নি এবং তাদের যে গঠন প্রক্রিয়া সেখানেই ত্রুতি রয়েছে। ফলে আমরা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। নতুন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে নতুন জনপ্রতিনিধি আসবে, নাগরিক সমস্যাগুলোও লাঘব হবে।’

বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে যে পরিপক্কতা দেখানো দরকার ছিলে সেটি তারা দেখাতে পারছে না বলেও এ সময় মন্তব্য করা হয়।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার প্রণীত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২’ অনুযায়ী গঠিত। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষ যা সেসময় প্রত্যাখ্যান করেছিল। এরপরও আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার আগেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ফলে বিদ্যমান নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার প্রতিফলন ঘটবে না বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

তিনি বলেন, পলাতক ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নাকচ করেছে বিদ্যমান নির্বাচন কমিশন। এর ফলে এই কমিশনের ওপর আস্থা রাখা সম্ভব নয় বলেই আমরা মনে করি।

এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অবৈধ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকাই দায়ী বলে আমরা মনে করি। ‘ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং’ মামলার বিবাদী হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন নজিরবিহীনভাবে মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। যার ফলে একতরফা রায় দেওয়া হয়েছে। এমনকি রায়ের পর তারা উচ্চ আদালতে প্রতিকার প্রার্থনা না করে মামলার বাদীকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। এর আগেও আমরা দেখেছি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ আচরণ বজায় রাখার পরিবর্তে এমন সব বক্তব্য দিয়েছে- যার সঙ্গে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অবস্থানের মিল রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ মামলার রায় ঘোষণার আগেই সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন গত ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ফলে পুরো মামলাটিই অকার্যকর হয়ে গেছে। রায় ঘোষণার পর গেজেট প্রকাশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইলেও, মতামত দেওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক ভূমিকা স্পষ্টতই পক্ষপাতমূলক।

আখতার হোসেন বলেন, একই সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে, জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা প্রদান মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে এবং সামাজিক সুরক্ষা উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং’ মামলা নজির হিসেবে নিয়ে সারা দেশে অবৈধ নির্বাচনের প্রার্থীরা আদালতের শরণাপন্ন হয়ে এক জটিল ও সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি করছেন। এ সংকট নিরসনে এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। কিন্তু ফ্যাসিবাদী আইনে গঠিত বর্তমান পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

বর্তমান সংকট উত্তরণে স্থানীয় নির্বাচনের বিকল্প নেই : নাহিদ ইসলাম

প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের বর্তমান সংকট উত্তরণের জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাত ৮টায় রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা বলছি ফ্যাসিবাদী আমলের নির্বাচন অবৈধ ছিল এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী সবগুলো পক্ষ আমরা ওই আমলের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। আমি তো বলতে পারি না, সেই নির্বাচনের বৈধ প্রার্থী। এটা আসলে দ্বিচারিতা।’

এনসিপি) আহ্বায়ক বলেন, জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে, এ কথা তো আমরা বলিনি।

তিনি বলেন, আমরা কিন্তু বলি নাই যে, জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। প্রয়োজনে গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হোক। তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিক। আমাদের সে বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই।

তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে পরিকল্পিতভাবে সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের বিরোধিতা কেউ কখনো করেনি। প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত যে সময় দিয়েছেন, আমরা কিন্তু সেটাকে সমর্থন করেছি। এর মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। তবে এর মধ্যে আমরা বিচার এবং সংস্কারের কথা বলেছি। গণপরিষদ নির্বাচন একই সঙ্গে করতে হবে, সেই কথাটা আমরা বলেছি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিটা কিন্তু আজকে আমরা হঠাৎ দিচ্ছি না। এটা এর আগেও দেওয়া হয়েছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি এই পরিস্থিতির সমাধান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য বক্তব্য রাখা এবং কর্মসূচি নিয়ে জনগণের মাঝে হাজির হওয়া। আমরা কেবল দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি বলেন, যে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এ জন্য অনতিবিলম্বে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে দেওয়া উচিত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এই কমিশনের পক্ষে দিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আমরা সেই আস্থাটা রাখতে পারছি না। তারা পক্ষপাতমূলক আচারণ করছে। তারা সংস্কার প্রস্তাবনা আমলে নেয়নি এবং তাদের যে গঠন প্রক্রিয়া সেখানেই ত্রুতি রয়েছে। ফলে আমরা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। নতুন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে নতুন জনপ্রতিনিধি আসবে, নাগরিক সমস্যাগুলোও লাঘব হবে।’

বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে যে পরিপক্কতা দেখানো দরকার ছিলে সেটি তারা দেখাতে পারছে না বলেও এ সময় মন্তব্য করা হয়।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার প্রণীত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২’ অনুযায়ী গঠিত। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষ যা সেসময় প্রত্যাখ্যান করেছিল। এরপরও আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার আগেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ফলে বিদ্যমান নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার প্রতিফলন ঘটবে না বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

তিনি বলেন, পলাতক ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নাকচ করেছে বিদ্যমান নির্বাচন কমিশন। এর ফলে এই কমিশনের ওপর আস্থা রাখা সম্ভব নয় বলেই আমরা মনে করি।

এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অবৈধ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকাই দায়ী বলে আমরা মনে করি। ‘ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং’ মামলার বিবাদী হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন নজিরবিহীনভাবে মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। যার ফলে একতরফা রায় দেওয়া হয়েছে। এমনকি রায়ের পর তারা উচ্চ আদালতে প্রতিকার প্রার্থনা না করে মামলার বাদীকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। এর আগেও আমরা দেখেছি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ আচরণ বজায় রাখার পরিবর্তে এমন সব বক্তব্য দিয়েছে- যার সঙ্গে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অবস্থানের মিল রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ মামলার রায় ঘোষণার আগেই সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন গত ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ফলে পুরো মামলাটিই অকার্যকর হয়ে গেছে। রায় ঘোষণার পর গেজেট প্রকাশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইলেও, মতামত দেওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক ভূমিকা স্পষ্টতই পক্ষপাতমূলক।

আখতার হোসেন বলেন, একই সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে, জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা প্রদান মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে এবং সামাজিক সুরক্ষা উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং’ মামলা নজির হিসেবে নিয়ে সারা দেশে অবৈধ নির্বাচনের প্রার্থীরা আদালতের শরণাপন্ন হয়ে এক জটিল ও সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি করছেন। এ সংকট নিরসনে এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। কিন্তু ফ্যাসিবাদী আইনে গঠিত বর্তমান পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।