Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে সরকার প্রতিহিংসামূলক কাজ করছে : দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি গণতন্ত্র সুশাসন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারত ও আওয়ামী লীগের মতো এখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও মেয়র হতে দেওয়া হয়নি ইশরাককে। কোর্ট রায় দেওয়ার পরও তাকে শপথ করানো হচ্ছে না। এখন সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক কাজ করছে সরকার। লুটপাট চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাককে মেয়র পদে বসতে দিচ্ছে না। কোর্টের আদেশ যদি কেউ না মানে তাকে নব্য ফ্যাসিস্ট বলা যায়। সরকার সেই লাইনে যাচ্ছে কি না চিন্তার বিষয়।

আওয়ামী লীগের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিএনপি চলে এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর এ কথার জবাবে তিনি বলেন, আমি তাকে আবাল বলব। কথা বলার আগে একটু চিন্তাভাবনা করে বলতে হয়। আবালের মতো কথা বললে তোমাদের সম্বন্ধে মানুষের ধারণা কোথায় যাচ্ছে একটু চিন্তা করো। এমন কোনো কথা বলবা না যে কথার দায়িত্ব নিতে পারবা না। হিসাব করে চলা ও বলা এবং গণতন্ত্রের রীতিনীতি না মানলে ফ্যাসিস্ট হিসেবে চিহ্নিত হবা। এরকম প্রতিহিংসামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশ যেদিকে যাচ্ছে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়ছে। এ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন, আশা ও বিশ্বাস ছিল, সেই সমর্থন আশা ও বিশ্বাস আস্তে আস্তে টুটে যাচ্ছে। সরকারকে এ জিনিসটা বুঝতে হবে। আমরা ড. ইউনূসের মধ্য দিয়ে একটা ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করি। যদি ড. ইউনূস ফেল করেন তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করব এ দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য। সুপ্রিম কোর্টেরও দায়িত্ব আছে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করার।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অতি সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রুত একটি ভালো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে তিনি যাবেন এ প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, এ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন, আশা ও বিশ্বাস ছিল, সেই সমর্থন আশা ও বিশ্বাস আস্তে আস্তে টুটে যাচ্ছে। সরকারকে এই জিনিসটা বুঝতে হবে। আমরা ড. ইউনূসের মধ্য দিয়ে একটা ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করি। যদি ড. ইউনুস ফেল করে তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করব এদেশে গণতন্ত্রের বিডি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। সুপ্রিম কোর্টের ও দায়িত্ব আছে দেশ ও জনগণের রক্ষা করা।

ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভারত সভ্য দেশ হলে আরেকটি সভ্য দেশের ভিসা বন্ধ করত না, বাংলাদেশের ট্রানজিট বন্ধ করত না। সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যা করত না। তিস্তা নদীর পানি বন্ধ করত না।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে সবাই আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রধান সমন্বয়কারী গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, কৃষকদলের সাবেক দফতর সম্পাদক এসকে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন ,সাংস্কৃতিক দলের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো. হাসানুল ইসলাম রাজা, তাঁতি দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মো. ইউনুছ আলী, বাংলাদেশ পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী এসএম মিজানুর রহমান প্রজন্ম একাডেমি সভাপতি কালাম ফয়েজি মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, জাগ্রত বাংলাদেশ সভাপতি জহিরুল ইসলাম কলিমসহ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে সরকার প্রতিহিংসামূলক কাজ করছে : দুদু

প্রকাশের সময় : ০৪:১৮:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি গণতন্ত্র সুশাসন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারত ও আওয়ামী লীগের মতো এখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও মেয়র হতে দেওয়া হয়নি ইশরাককে। কোর্ট রায় দেওয়ার পরও তাকে শপথ করানো হচ্ছে না। এখন সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক কাজ করছে সরকার। লুটপাট চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাককে মেয়র পদে বসতে দিচ্ছে না। কোর্টের আদেশ যদি কেউ না মানে তাকে নব্য ফ্যাসিস্ট বলা যায়। সরকার সেই লাইনে যাচ্ছে কি না চিন্তার বিষয়।

আওয়ামী লীগের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিএনপি চলে এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর এ কথার জবাবে তিনি বলেন, আমি তাকে আবাল বলব। কথা বলার আগে একটু চিন্তাভাবনা করে বলতে হয়। আবালের মতো কথা বললে তোমাদের সম্বন্ধে মানুষের ধারণা কোথায় যাচ্ছে একটু চিন্তা করো। এমন কোনো কথা বলবা না যে কথার দায়িত্ব নিতে পারবা না। হিসাব করে চলা ও বলা এবং গণতন্ত্রের রীতিনীতি না মানলে ফ্যাসিস্ট হিসেবে চিহ্নিত হবা। এরকম প্রতিহিংসামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশ যেদিকে যাচ্ছে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়ছে। এ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন, আশা ও বিশ্বাস ছিল, সেই সমর্থন আশা ও বিশ্বাস আস্তে আস্তে টুটে যাচ্ছে। সরকারকে এ জিনিসটা বুঝতে হবে। আমরা ড. ইউনূসের মধ্য দিয়ে একটা ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করি। যদি ড. ইউনূস ফেল করেন তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করব এ দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য। সুপ্রিম কোর্টেরও দায়িত্ব আছে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করার।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অতি সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রুত একটি ভালো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে তিনি যাবেন এ প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, এ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন, আশা ও বিশ্বাস ছিল, সেই সমর্থন আশা ও বিশ্বাস আস্তে আস্তে টুটে যাচ্ছে। সরকারকে এই জিনিসটা বুঝতে হবে। আমরা ড. ইউনূসের মধ্য দিয়ে একটা ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করি। যদি ড. ইউনুস ফেল করে তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করব এদেশে গণতন্ত্রের বিডি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। সুপ্রিম কোর্টের ও দায়িত্ব আছে দেশ ও জনগণের রক্ষা করা।

ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভারত সভ্য দেশ হলে আরেকটি সভ্য দেশের ভিসা বন্ধ করত না, বাংলাদেশের ট্রানজিট বন্ধ করত না। সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যা করত না। তিস্তা নদীর পানি বন্ধ করত না।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে সবাই আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রধান সমন্বয়কারী গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, কৃষকদলের সাবেক দফতর সম্পাদক এসকে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন ,সাংস্কৃতিক দলের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো. হাসানুল ইসলাম রাজা, তাঁতি দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মো. ইউনুছ আলী, বাংলাদেশ পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী এসএম মিজানুর রহমান প্রজন্ম একাডেমি সভাপতি কালাম ফয়েজি মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, জাগ্রত বাংলাদেশ সভাপতি জহিরুল ইসলাম কলিমসহ প্রমুখ।