Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজপথ

  • যোগাযোগ ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

সংগৃহীত ছবি

নানা দাবিতে উত্তাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজপথ। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে মিয়ানমারে বিক্ষোভ চলছেই। রোববার গুলিতে কমপক্ষে ৩৯জন মারা গেছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের জেরে নেদারল্যান্ডসে লকডাউনের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কোভিডবিধি কঠোরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে সার্বিয়াতেও। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ইরাকে।

রোববার (১৪ মার্চ) সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইরাকের নাজাফের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা। আঞ্চলিক সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ এনে অবিলম্বে সরকার ও দুই উপপ্রধানের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শব্দ বোমা ও গুলি ব্যবহার করে পুলিশ।

বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়ানিন আনেজের বিরুদ্ধে স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল আশপাশের পরিবেশ। ২০১৯ সালে বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়ানিন আনেজের তার মেয়াদে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতের স্বজনরা প্রতিবাদ জানান।

আনেজকে আটকের পর তাকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালে আনেজ ক্ষমতায় থাকাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৬ জন নিহত হন। গতকাল রোববার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট নিজের বিরুদ্ধে শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

রোববার নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনের প্রথম প্রহরে হেগের রাস্তায় নেমে আসেন কারফিউ বিরোধীরা। করোনাবিধি কঠোরের প্রতিবাদ জানান তারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রতিবাদে পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে একপর্যায়ে জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের জমায়েত ঠেকাতে বন্ধ করে দেয়া হয় মেট্রোসেবা।

করোনায় কঠোরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে সার্বিয়াতেও। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে বেলগ্রেডের রাস্তায় নেমে আসেন দেশটির সাধারণ মানুষ। যোগ দেন সংগীত শিল্পীরাও। স্টেজ পারফর্মেন্স ও কনসার্ট বন্ধের প্রতিবাদ জানান তারা।

এক বছর আমরা কোনো মতে চলেছি। এখন আমাদের হাতে কোনো কাজ নেই। আমি মনে করি, আমাদের কাজ বন্ধ করার অধিকার দেশের নেই। কেননা সাংবিধানিকভাবে আমাদের কাজ করার অধিকার আছে বলে জানান এক আন্দোলনকারী। রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরো বেশি করে সহায়তাও আশা করেন তারা। সূত্র বিবিসি, রয়টার্স।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাদ্রিদ অধ্যায় শেষ করে মদ্রিচ এখন ইতালির ক্লাবে

বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজপথ

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১

নানা দাবিতে উত্তাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজপথ। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে মিয়ানমারে বিক্ষোভ চলছেই। রোববার গুলিতে কমপক্ষে ৩৯জন মারা গেছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের জেরে নেদারল্যান্ডসে লকডাউনের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কোভিডবিধি কঠোরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে সার্বিয়াতেও। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ইরাকে।

রোববার (১৪ মার্চ) সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইরাকের নাজাফের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারীরা। আঞ্চলিক সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ এনে অবিলম্বে সরকার ও দুই উপপ্রধানের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শব্দ বোমা ও গুলি ব্যবহার করে পুলিশ।

বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়ানিন আনেজের বিরুদ্ধে স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল আশপাশের পরিবেশ। ২০১৯ সালে বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়ানিন আনেজের তার মেয়াদে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতের স্বজনরা প্রতিবাদ জানান।

আনেজকে আটকের পর তাকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালে আনেজ ক্ষমতায় থাকাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৬ জন নিহত হন। গতকাল রোববার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট নিজের বিরুদ্ধে শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

রোববার নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনের প্রথম প্রহরে হেগের রাস্তায় নেমে আসেন কারফিউ বিরোধীরা। করোনাবিধি কঠোরের প্রতিবাদ জানান তারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রতিবাদে পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে একপর্যায়ে জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের জমায়েত ঠেকাতে বন্ধ করে দেয়া হয় মেট্রোসেবা।

করোনায় কঠোরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে সার্বিয়াতেও। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে বেলগ্রেডের রাস্তায় নেমে আসেন দেশটির সাধারণ মানুষ। যোগ দেন সংগীত শিল্পীরাও। স্টেজ পারফর্মেন্স ও কনসার্ট বন্ধের প্রতিবাদ জানান তারা।

এক বছর আমরা কোনো মতে চলেছি। এখন আমাদের হাতে কোনো কাজ নেই। আমি মনে করি, আমাদের কাজ বন্ধ করার অধিকার দেশের নেই। কেননা সাংবিধানিকভাবে আমাদের কাজ করার অধিকার আছে বলে জানান এক আন্দোলনকারী। রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরো বেশি করে সহায়তাও আশা করেন তারা। সূত্র বিবিসি, রয়টার্স।