Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্র হবে কাকরাইল মোড় : রইছ উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হলে কাকরাইল মোড় জনদাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন।

শুক্রবার (১৬ মে) কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই তার সমাধান করা যেত।

তিনি আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। আমরা এমন এক স্থানে উপনীত হয়েছি, যেখান থেকে ফিরে যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই। আমাদের দাবি পূরণ না হলে এই কাকরাইল মোড় আরেকটি জনদাবি বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে। আমাদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি হুমকি ধামকি দেয়, আমরা সেটাকে রুখে দেব।

রইছ উদ্দিন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অবহেলিত, বঞ্চিত, নিষ্পেষিত এটি ঐতিহাসিকভাবে সত্য। এই বৈষম্য নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই এক। সুতরাং আমাদের দাবি পূর্নাঙ্গরূপে মানতে হবে। আমরা এমন একটি পর্যায়ে উপস্থিত হয়েছি, এখান থেকে পেছনে যাওয়ার সুযোগ নাই। তাই সবার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ চাই।

তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে এক চুল সরব না। আমাদের রক্তের ওপরে প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি চোখ রাঙিয়ে কথা বলে, হুমকি-হুমকি-ধমকি দেয়, যদি স্টিম রোলার চালানোর চেষ্টা চালায়, তাহলে আমরা তা রুখে দেব। এ আন্দোলন তখন কাকরাইল পয়েন্টে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা কোথায় যাবে, জানি না, এর দায়-দায়িত্ব আমরা নেব না।

এই অধ্যাপক বলেন, এ দেশের প্রত্যেক নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই সমাধান করা যেত।

তিন দফা দাবিতে কদিন ধরে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

দাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্র হবে কাকরাইল মোড় : রইছ উদ্দিন

প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হলে কাকরাইল মোড় জনদাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন।

শুক্রবার (১৬ মে) কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই তার সমাধান করা যেত।

তিনি আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। আমরা এমন এক স্থানে উপনীত হয়েছি, যেখান থেকে ফিরে যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই। আমাদের দাবি পূরণ না হলে এই কাকরাইল মোড় আরেকটি জনদাবি বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে। আমাদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি হুমকি ধামকি দেয়, আমরা সেটাকে রুখে দেব।

রইছ উদ্দিন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অবহেলিত, বঞ্চিত, নিষ্পেষিত এটি ঐতিহাসিকভাবে সত্য। এই বৈষম্য নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই এক। সুতরাং আমাদের দাবি পূর্নাঙ্গরূপে মানতে হবে। আমরা এমন একটি পর্যায়ে উপস্থিত হয়েছি, এখান থেকে পেছনে যাওয়ার সুযোগ নাই। তাই সবার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ চাই।

তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে এক চুল সরব না। আমাদের রক্তের ওপরে প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি চোখ রাঙিয়ে কথা বলে, হুমকি-হুমকি-ধমকি দেয়, যদি স্টিম রোলার চালানোর চেষ্টা চালায়, তাহলে আমরা তা রুখে দেব। এ আন্দোলন তখন কাকরাইল পয়েন্টে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা কোথায় যাবে, জানি না, এর দায়-দায়িত্ব আমরা নেব না।

এই অধ্যাপক বলেন, এ দেশের প্রত্যেক নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই সমাধান করা যেত।

তিন দফা দাবিতে কদিন ধরে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।