Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই-আগস্টের সকল হত্যাকাণ্ডের দায় শেখ হাসিনার : চিফ প্রসিকিউটর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার সবগুলোর দায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

সোমবার (১২ মে) ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই গণহত্যার ঘটনায় সকল হত্যাকাণ্ডের সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার। তিনি এ গণহত্যা ও হত্যার উসকানিদাতা, প্ররোচনাদাতা ও সরাসরি নির্দেশদাতা।

প্রতিবেদনে, গণহত্যায় সরাসরি নির্দেশ দেয়ার বিষয়ে একাধিক ফোনালাপ মিলেছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর। হেলিকপ্টার, মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নিশ্চিহ্ন করার নির্দেশসহ ৫টি অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলেও জানান তিনি।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। টার্গেট করে শিশু হত্যা, নারীদের ওপর হামলায়, আহতদের হাসপাতালে নিতে ও চিকিৎসা নিতে বাধা, নিজে গিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দেয়া যাতে না হয় সেই নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এমন সব তথ্য প্রমাণ মিলেছে।

তিনি বলেন, চিকিৎসক, ভুক্তভোগী, শহীদ পরিবারের লোক, ভিডিও, অডিও, নিহত আহতদের শরীর থেকে পাওয়া গুলি, হেলিকপ্টারের ফ্লাইট শিডিউল, অনেক সাক্ষীদের জবানবন্দি, আসামিদের জবানবন্দি এই তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, রাজপথের চাপের ভিত্তিতে কোনো বিচার হবে না, সুষ্ঠু বিচার করতে হলে সময় একটু প্রয়োজন। তাই তাড়াহুড়া করে মামলা বিপথে নিতে চান না তারা। অঞ্চলভিত্তিক তদন্ত যেগুলো হয়েছে সেগুলোর তদন্ত চলছে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, যদি মনে হয় কোনো রাজনৈতিক দল মানবতা বিরোধী অপরাধে সাথে যুক্ত তাহলে, চাইলে তদন্ত শুরু করতে পারে ট্রাইব্যুনাল।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে জুলাই আগস্টের হত্যাযজ্ঞের যে প্রধান মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহা পরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চিফ প্রসিকিউটর সব কিছু দেখে বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ দাখিল করবেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি কারণ আজকে জানানো হবে। বাকিগুলো পরে জানানো হবে। এর মধ্যে প্রথম অভিযোগ হচ্ছে উসকানিমূলক। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে নির্দেশ। এ বিষয়ে তার বহু কল রেকর্ড আছে। যেখানে তিনি মার্ডারের নির্দেশ ও অঙ্গহানির নির্দেশ পর্যন্ত দিয়েছেন। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট তিনটি ঘটনার কেন্দ্রিক কিছু অভিযোগ এসেছে, যা পরে জানানো হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

জুলাই-আগস্টের সকল হত্যাকাণ্ডের দায় শেখ হাসিনার : চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশের সময় : ০২:২৮:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার সবগুলোর দায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

সোমবার (১২ মে) ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই গণহত্যার ঘটনায় সকল হত্যাকাণ্ডের সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার। তিনি এ গণহত্যা ও হত্যার উসকানিদাতা, প্ররোচনাদাতা ও সরাসরি নির্দেশদাতা।

প্রতিবেদনে, গণহত্যায় সরাসরি নির্দেশ দেয়ার বিষয়ে একাধিক ফোনালাপ মিলেছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর। হেলিকপ্টার, মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নিশ্চিহ্ন করার নির্দেশসহ ৫টি অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলেও জানান তিনি।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। টার্গেট করে শিশু হত্যা, নারীদের ওপর হামলায়, আহতদের হাসপাতালে নিতে ও চিকিৎসা নিতে বাধা, নিজে গিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দেয়া যাতে না হয় সেই নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এমন সব তথ্য প্রমাণ মিলেছে।

তিনি বলেন, চিকিৎসক, ভুক্তভোগী, শহীদ পরিবারের লোক, ভিডিও, অডিও, নিহত আহতদের শরীর থেকে পাওয়া গুলি, হেলিকপ্টারের ফ্লাইট শিডিউল, অনেক সাক্ষীদের জবানবন্দি, আসামিদের জবানবন্দি এই তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, রাজপথের চাপের ভিত্তিতে কোনো বিচার হবে না, সুষ্ঠু বিচার করতে হলে সময় একটু প্রয়োজন। তাই তাড়াহুড়া করে মামলা বিপথে নিতে চান না তারা। অঞ্চলভিত্তিক তদন্ত যেগুলো হয়েছে সেগুলোর তদন্ত চলছে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, যদি মনে হয় কোনো রাজনৈতিক দল মানবতা বিরোধী অপরাধে সাথে যুক্ত তাহলে, চাইলে তদন্ত শুরু করতে পারে ট্রাইব্যুনাল।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে জুলাই আগস্টের হত্যাযজ্ঞের যে প্রধান মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহা পরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চিফ প্রসিকিউটর সব কিছু দেখে বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ দাখিল করবেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি কারণ আজকে জানানো হবে। বাকিগুলো পরে জানানো হবে। এর মধ্যে প্রথম অভিযোগ হচ্ছে উসকানিমূলক। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে নির্দেশ। এ বিষয়ে তার বহু কল রেকর্ড আছে। যেখানে তিনি মার্ডারের নির্দেশ ও অঙ্গহানির নির্দেশ পর্যন্ত দিয়েছেন। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট তিনটি ঘটনার কেন্দ্রিক কিছু অভিযোগ এসেছে, যা পরে জানানো হবে।