Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ. লীগকে পুনর্বাসন ও ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে সরকার : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরানো ও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে সরকার এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (৯ মে) রাজধানীর খামাবাড়িতে ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, দেশ কোনও ব্যক্তি বা দলের নয়, দেশটা জণগণের। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিলো। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনও বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদ পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তৈরির সুযোগ হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, সেভাবেই আব্দুল হামিদ পালিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি আব্দুল হামিদের বিষয়ে কিছু জানে না। বিষয়টি নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন রয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে সরকার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, পাঁচ আগস্ট যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন, ঠিক একইভাবে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি কিছুই জানে না তাহলে তারা জানে কী?

তিনি বলেন, সংস্কারের নামে একদিকে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পালানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে চলছে দোসরদের পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার যে প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, আওয়ামী লীগের আমলে তার প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পাইনি। তারা সংবিধানকে দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছে। তাই সংবিধান সংস্কার এখন সময়ের দাবি।

তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিস্টরা দেশ ছাড়ার পর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীনের পর থেকে সেই প্রতিচ্ছবি আওয়ামী লীগের আমলে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে নিজেদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।

তারেক রহমান বলেন, জনমনে প্রশ্ন উঠছে, সংস্কারের নামে একদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে, দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। কিন্তু এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, এই দেশটা জনগণের।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বলেন, বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার নাকি এই দেশত্যাগের (আবদুল হামিদের) ব্যাপারে কিছুই জানে না। যত মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, প্রত্যেকে প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার জানেটা কী?

তারেক রহমান আরো বলেন, সঙ্গে এই অভিযোগও তুলছে, সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে পলাতক স্বৈরাচার ও তাঁদের দোসরদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অপরদিকে অত্যন্ত সুকৌশলে নানা ইস্যু সৃষ্টি করে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদবিরোধী যেসব রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে ছিল, সেই দলগুলোর ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর একটা ছিদ্র হয়তো তৈরি করতে চাচ্ছে। পলাতক স্বৈরাচারের সহযোগীদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রও হয়তো তৈরি করতে চাচ্ছে। এই বিষয়গুলো ঘুরেফিরে মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করছে।

জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ‘দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। দেশটা আমার, আপনার আমাদের সবার। ফ্যাসিবাদের পতনের পর দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অপার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গণতান্ত্রিক ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে। ’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে যে কি নির্মম পরিণতি ভোগ করতে হয়, গত দেড় দশকে ফ্যাসিবাদী শাসন এর বড় উদাহরণ। ভবিষ্যতে আর কোনো ষড়যন্ত্র যাতে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের যাত্রাপথ থেকে বিচ্যুত করতে না পারে, সেজন্য আসুন আমরা যে যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখি। ’

সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সংবিধানকে দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদ পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তৈরির সুযোগ হয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদেরকে যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ’

অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রতিটি ধর্ম মানুষকে ভালো হতে শিখায়। ধর্ম দিয়ে বিভাজন করা ঠিক নয়। ভোটের মাধ্যমে মানুষ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবে আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই। ঐক্য ও ভালোবাসা দিয়েই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা চাই, যেখানে সবাই সবার কথা বলতে পারবে, সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা লড়াই করেছি। এর উদ্দেশ্য একটি, গণতন্ত্রের রাষ্ট্র চাই। সেখানে যে যার ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। বিভাজন নয়, ঐক্যের মাধ্যমে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে। ’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, এমরান সালেহ প্রিন্স, গাজীপুর জেলার বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন, খিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু বিজয় এন্ডি ক্রুজ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভালুকায় ঘর থেকে মা ও দুই সন্তানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

আ. লীগকে পুনর্বাসন ও ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে সরকার : তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ১০:০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরানো ও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে সরকার এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (৯ মে) রাজধানীর খামাবাড়িতে ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, দেশ কোনও ব্যক্তি বা দলের নয়, দেশটা জণগণের। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিলো। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনও বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদ পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তৈরির সুযোগ হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, সেভাবেই আব্দুল হামিদ পালিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি আব্দুল হামিদের বিষয়ে কিছু জানে না। বিষয়টি নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন রয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে সরকার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, পাঁচ আগস্ট যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন, ঠিক একইভাবে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি কিছুই জানে না তাহলে তারা জানে কী?

তিনি বলেন, সংস্কারের নামে একদিকে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পালানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে চলছে দোসরদের পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার যে প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, আওয়ামী লীগের আমলে তার প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পাইনি। তারা সংবিধানকে দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছে। তাই সংবিধান সংস্কার এখন সময়ের দাবি।

তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিস্টরা দেশ ছাড়ার পর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীনের পর থেকে সেই প্রতিচ্ছবি আওয়ামী লীগের আমলে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে নিজেদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।

তারেক রহমান বলেন, জনমনে প্রশ্ন উঠছে, সংস্কারের নামে একদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে, দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। কিন্তু এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, এই দেশটা জনগণের।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বলেন, বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার নাকি এই দেশত্যাগের (আবদুল হামিদের) ব্যাপারে কিছুই জানে না। যত মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, প্রত্যেকে প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার জানেটা কী?

তারেক রহমান আরো বলেন, সঙ্গে এই অভিযোগও তুলছে, সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে পলাতক স্বৈরাচার ও তাঁদের দোসরদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অপরদিকে অত্যন্ত সুকৌশলে নানা ইস্যু সৃষ্টি করে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদবিরোধী যেসব রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে ছিল, সেই দলগুলোর ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর একটা ছিদ্র হয়তো তৈরি করতে চাচ্ছে। পলাতক স্বৈরাচারের সহযোগীদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রও হয়তো তৈরি করতে চাচ্ছে। এই বিষয়গুলো ঘুরেফিরে মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করছে।

জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ‘দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। দেশটা আমার, আপনার আমাদের সবার। ফ্যাসিবাদের পতনের পর দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অপার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গণতান্ত্রিক ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে। ’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে যে কি নির্মম পরিণতি ভোগ করতে হয়, গত দেড় দশকে ফ্যাসিবাদী শাসন এর বড় উদাহরণ। ভবিষ্যতে আর কোনো ষড়যন্ত্র যাতে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের যাত্রাপথ থেকে বিচ্যুত করতে না পারে, সেজন্য আসুন আমরা যে যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখি। ’

সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সংবিধানকে দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদ পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তৈরির সুযোগ হয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদেরকে যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ’

অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রতিটি ধর্ম মানুষকে ভালো হতে শিখায়। ধর্ম দিয়ে বিভাজন করা ঠিক নয়। ভোটের মাধ্যমে মানুষ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবে আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই। ঐক্য ও ভালোবাসা দিয়েই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা চাই, যেখানে সবাই সবার কথা বলতে পারবে, সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা লড়াই করেছি। এর উদ্দেশ্য একটি, গণতন্ত্রের রাষ্ট্র চাই। সেখানে যে যার ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। বিভাজন নয়, ঐক্যের মাধ্যমে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে। ’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, এমরান সালেহ প্রিন্স, গাজীপুর জেলার বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন, খিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু বিজয় এন্ডি ক্রুজ প্রমুখ।