Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি সবসময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি হাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি সবসময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। অন্যায়ভাবে অন্য মত চাপিয়ে দেয়ার পক্ষে নয় বিএনপি।

রোববার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনও সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে উড়িয়ে দেয়া, গুঁড়িয়ে দেয়া, ‘মব জাস্টিস’ করা গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড হতে পারে না। ইদানীং সামাজিক মাধ্যমে মানুষের চরিত্রহননের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম বা গোষ্ঠী যখন আরেকটি গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীও এতে যুক্ত হয়। গণতন্ত্র বলতে আমরা বুঝি সকল মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা, ভোট দেয়ার স্বাধীনতা, মানুষের চিন্তা ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা, যা অন্যদের বেলাতেও সমান মর্যাদা দেয় ও সহনশীল থাকে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বিএনপির হাত ধরে প্রথম সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এসেছিল। তার আগে বাকশালের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। আমরা বলি না যে ধোয়া তুলসী পাতা, কিন্তু নিঃসন্দেহে বিএনপি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য বেশি কাজ করেছে।

দলটির মহাসচিব আরও বলেন, বিএনপিই সংস্কার শুরু করেছে। অযথা সংস্কার নিয়ে বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে নিঃসন্দেহে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আগের চেয়ে অনেক বেশি। তবে সমস্যাটা হয়ে গেছে এমন যে, একটি সংবাদ গোষ্ঠী আরেকটি গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে এবং তাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীও যুক্ত হয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সে নানা কিছু বলবে। কিন্তু সেটা গ্রহণ না করে সংবাদপত্র গুঁড়িয়ে দেওয়াটা আমরা সমর্থন করি না।

তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ১৯৭৫ সালে ওপেন করেছিল। তার আগে বাকশালের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। তাই বলে আমরা ধোয়া তুলসিপাতা নই, কিন্তু এটা বলতে পারি যে, বিএনপি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সময় সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন অনেকটাই কম হয়েছে। তবে এখন একটা ট্রানজিশন পিরিয়ড যাচ্ছে, নানা রকম ঘটনা ঘটছে। তবে আমি বলতে চাই, একটা গণতান্ত্রিক দেশ গড়ে তুলতে হলে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য আমাদের চিন্তাভাবনাকেও গণতান্ত্রিক করতে হবে। এমন যদি হয় যে আমি যা ভাবছি বা যা বলছি সেটাই ঠিক, এমনটা হলে হবে না। তেমনি একইভাবে কোনো গণমাধ্যম যদি আমার কথা বলে, তাহলে ঠিক আছে, আর আমার কথা না বললে ঠিক নেই, তাহলেও হবে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নতুন নয়। আমরা যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছি, সেই ষাটের দশক থেকে, তখন থেকে এ বিষয়টি সবচেয়ে সামনে এসেছে। পাকিস্তান শাসকদের বিরুদ্ধে সে সময়েও আমরা কথা বলেছি, আন্দোলন করেছি, কাজ করেছি। একটি সুবিধা ছিল। তখন সংবাদমাধ্যমের একটি নিজস্ব স্বকীয়তা ছিল। যেখানে তাদের কোনো গোষ্ঠীভুক্ত করা অতটা সহজ হতো না। তাদের দেশপ্রেম, আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ অনেক উঁচু দরের ছিল।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিঃসন্দেহে আগের চেয়ে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে প্রায় ১৬ ভাগ বেড়েছে। সমস্যা দেখা দেয় তখনই, যখন দেখি কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠী আরেকটি গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে। কোনো কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীও সেটার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক কর্মসূচিও প্রদান করে। আমি জানি না, একটি গণতান্ত্রিক মুক্ত সমাজে এটা কতটুকু গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে!

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি ট্রানজিশন পিরিয়ডে আছি। অনেক রকমের ঘটনা চলছে, অনেক রকম টানা-হেঁচড়া চলছে। তবে যদি আমরা সত্যিকার অর্থে একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে, চিন্তাভাবনাগুলোকে গণতান্ত্রিক করতে হবে। সংকট হচ্ছে, গণতন্ত্রই তো নেই। ১৫ বছর ধরে লড়াই করলাম গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য। চব্বিশের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট রেজিমকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শুরু করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের ওপর আস্থা রাখতে হবে। তার চিন্তাভাবনা, তার রায়, তার মতের ওপর আস্থা রাখতে হবে। ‘আমি’ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার গণতন্ত্রের জন্য। আমাদের সংবাদমাধ্যমে এই চর্চাটা বেশি করা দরকার। গণতন্ত্র চর্চা করার জিনিস।

তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে প্রচারণা চালানো হয়, আমরা নাকি সংস্কারের বিরুদ্ধে। আমরা সংস্কার নয়, নির্বাচন চাই। অথচ সংস্কার বিষয়টি শুরুই হয়েছে আমাদের দ্বারা। আমরাই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায় আসছি। আমরাই প্রেসিডেন্ট ফর্ম সরকার থেকে পার্লামেন্ট ফর্ম সরকারে গেছি। অনেক অনেক আপত্তি সত্ত্বেও আমরা কেয়ারটেকার সরকারকে সংবিধানে নিয়ে এসেছি। এগুলো বাস্তবতা। ওই বাস্তবতা থেকে অযথা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে অন্যভাবে দেখানোর চেষ্টা করা এটার পেছনে কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকলেও থাকতে পারে।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির, সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ।

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বিএনপি সবসময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি হাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি সবসময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। অন্যায়ভাবে অন্য মত চাপিয়ে দেয়ার পক্ষে নয় বিএনপি।

রোববার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনও সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে উড়িয়ে দেয়া, গুঁড়িয়ে দেয়া, ‘মব জাস্টিস’ করা গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড হতে পারে না। ইদানীং সামাজিক মাধ্যমে মানুষের চরিত্রহননের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম বা গোষ্ঠী যখন আরেকটি গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীও এতে যুক্ত হয়। গণতন্ত্র বলতে আমরা বুঝি সকল মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা, ভোট দেয়ার স্বাধীনতা, মানুষের চিন্তা ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা, যা অন্যদের বেলাতেও সমান মর্যাদা দেয় ও সহনশীল থাকে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বিএনপির হাত ধরে প্রথম সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এসেছিল। তার আগে বাকশালের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। আমরা বলি না যে ধোয়া তুলসী পাতা, কিন্তু নিঃসন্দেহে বিএনপি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য বেশি কাজ করেছে।

দলটির মহাসচিব আরও বলেন, বিএনপিই সংস্কার শুরু করেছে। অযথা সংস্কার নিয়ে বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে নিঃসন্দেহে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আগের চেয়ে অনেক বেশি। তবে সমস্যাটা হয়ে গেছে এমন যে, একটি সংবাদ গোষ্ঠী আরেকটি গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে এবং তাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীও যুক্ত হয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সে নানা কিছু বলবে। কিন্তু সেটা গ্রহণ না করে সংবাদপত্র গুঁড়িয়ে দেওয়াটা আমরা সমর্থন করি না।

তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ১৯৭৫ সালে ওপেন করেছিল। তার আগে বাকশালের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। তাই বলে আমরা ধোয়া তুলসিপাতা নই, কিন্তু এটা বলতে পারি যে, বিএনপি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সময় সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন অনেকটাই কম হয়েছে। তবে এখন একটা ট্রানজিশন পিরিয়ড যাচ্ছে, নানা রকম ঘটনা ঘটছে। তবে আমি বলতে চাই, একটা গণতান্ত্রিক দেশ গড়ে তুলতে হলে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য আমাদের চিন্তাভাবনাকেও গণতান্ত্রিক করতে হবে। এমন যদি হয় যে আমি যা ভাবছি বা যা বলছি সেটাই ঠিক, এমনটা হলে হবে না। তেমনি একইভাবে কোনো গণমাধ্যম যদি আমার কথা বলে, তাহলে ঠিক আছে, আর আমার কথা না বললে ঠিক নেই, তাহলেও হবে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নতুন নয়। আমরা যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছি, সেই ষাটের দশক থেকে, তখন থেকে এ বিষয়টি সবচেয়ে সামনে এসেছে। পাকিস্তান শাসকদের বিরুদ্ধে সে সময়েও আমরা কথা বলেছি, আন্দোলন করেছি, কাজ করেছি। একটি সুবিধা ছিল। তখন সংবাদমাধ্যমের একটি নিজস্ব স্বকীয়তা ছিল। যেখানে তাদের কোনো গোষ্ঠীভুক্ত করা অতটা সহজ হতো না। তাদের দেশপ্রেম, আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ অনেক উঁচু দরের ছিল।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিঃসন্দেহে আগের চেয়ে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে প্রায় ১৬ ভাগ বেড়েছে। সমস্যা দেখা দেয় তখনই, যখন দেখি কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠী আরেকটি গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে। কোনো কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীও সেটার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক কর্মসূচিও প্রদান করে। আমি জানি না, একটি গণতান্ত্রিক মুক্ত সমাজে এটা কতটুকু গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে!

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি ট্রানজিশন পিরিয়ডে আছি। অনেক রকমের ঘটনা চলছে, অনেক রকম টানা-হেঁচড়া চলছে। তবে যদি আমরা সত্যিকার অর্থে একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে, চিন্তাভাবনাগুলোকে গণতান্ত্রিক করতে হবে। সংকট হচ্ছে, গণতন্ত্রই তো নেই। ১৫ বছর ধরে লড়াই করলাম গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য। চব্বিশের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট রেজিমকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শুরু করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের ওপর আস্থা রাখতে হবে। তার চিন্তাভাবনা, তার রায়, তার মতের ওপর আস্থা রাখতে হবে। ‘আমি’ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার গণতন্ত্রের জন্য। আমাদের সংবাদমাধ্যমে এই চর্চাটা বেশি করা দরকার। গণতন্ত্র চর্চা করার জিনিস।

তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে প্রচারণা চালানো হয়, আমরা নাকি সংস্কারের বিরুদ্ধে। আমরা সংস্কার নয়, নির্বাচন চাই। অথচ সংস্কার বিষয়টি শুরুই হয়েছে আমাদের দ্বারা। আমরাই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায় আসছি। আমরাই প্রেসিডেন্ট ফর্ম সরকার থেকে পার্লামেন্ট ফর্ম সরকারে গেছি। অনেক অনেক আপত্তি সত্ত্বেও আমরা কেয়ারটেকার সরকারকে সংবিধানে নিয়ে এসেছি। এগুলো বাস্তবতা। ওই বাস্তবতা থেকে অযথা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে অন্যভাবে দেখানোর চেষ্টা করা এটার পেছনে কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকলেও থাকতে পারে।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির, সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ।