Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না নির্বাচন কমিশন : সিইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:০২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সংস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে যা যা আছে তা নিয়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদেও তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আশা করে অস্ট্রেলিয়া। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইলি। নির্বাচনকেন্দ্রীক যেকোনো ধরনের সহায়তায় তারা আগ্রহী।

ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নিয়েও আলোচনার কথা জানান সিইসি।

সিইসি বলেন, রাজনৈতিক বিষয়ে উদ্যোগ নেবে ঐকমত্য কমিশন। সে নিয়ে কথা বলতে চায় না ইসি। তবে ভোটের প্রস্তুতিতে নির্বাচনের আগে যা যা করা দরকার নিজেদের ক্ষমতাবলে সেসব কাজ সম্পন্ন করছে ইসি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের কেনাকাটার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া সীমানা নির্ধারণে আইন পরিবর্তন দরকার। আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং হয়ে এলে কাজ শুরু হবে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদনেরও সময় বাড়ানো হয়েছে। মূলত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমাদের ক্ষমতার মধ্যে আছে এমন নির্বাচনী সংস্কার ইলেকশনের আগে করে ফেলবো। যেগুলো রাজনৈতিক বিষয় আছে সেগুলো ঐকমত্য কমিশন করবে।

সিইসি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা কী প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের প্রস্তুতির কথা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। সংস্কারের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন মেজর কী কী বিষয়ে আমরা সংস্কার করতে যাচ্ছি। আমাদের যদি কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয় তারা জানাতে বলেছেন। আমি বলেছি ইউএনডিপি আমাদের সহায়তা করছে, আপনারা এটা দেখেন। দেখার পরে যদি আপনারা কোনো এরিয়ায় ইনভলব হতে চান, ইনভলব হতে পারেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনটাকে মেজর হিসেবে দেখেছি। এটা আমরা অলমোস্ট শেষ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। কেনাকাটার জন্য টেন্ডারের কাজ চলমান রয়েছে। সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি আইন সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য দুই মাসের সময় বাড়িয়েছি। আচরণবিধি সংশোধন করার চেষ্টা করছি। পর্যবেক্ষকদের নীতিমালা নিয়েও কাজ চলছে।

নির্বাচনী সংস্কারের জন্য আপনারা কী ঐকমত্য কমিশনের মতামতের অপেক্ষা করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, যেগুলো আমাদের ক্ষমতার মধ্যে আছে, সেগুলো ইলেকশনের আগে করে ফেলবো। যেগুলো রাজনৈতিক বিষয় আছে, সেগুলো আমাদের হাতে নেই। সেগুলো ঐকমত্য কমিশন করবে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

সংস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না নির্বাচন কমিশন : সিইসি

প্রকাশের সময় : ০২:০২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সংস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে যা যা আছে তা নিয়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদেও তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আশা করে অস্ট্রেলিয়া। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইলি। নির্বাচনকেন্দ্রীক যেকোনো ধরনের সহায়তায় তারা আগ্রহী।

ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নিয়েও আলোচনার কথা জানান সিইসি।

সিইসি বলেন, রাজনৈতিক বিষয়ে উদ্যোগ নেবে ঐকমত্য কমিশন। সে নিয়ে কথা বলতে চায় না ইসি। তবে ভোটের প্রস্তুতিতে নির্বাচনের আগে যা যা করা দরকার নিজেদের ক্ষমতাবলে সেসব কাজ সম্পন্ন করছে ইসি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের কেনাকাটার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া সীমানা নির্ধারণে আইন পরিবর্তন দরকার। আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং হয়ে এলে কাজ শুরু হবে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদনেরও সময় বাড়ানো হয়েছে। মূলত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমাদের ক্ষমতার মধ্যে আছে এমন নির্বাচনী সংস্কার ইলেকশনের আগে করে ফেলবো। যেগুলো রাজনৈতিক বিষয় আছে সেগুলো ঐকমত্য কমিশন করবে।

সিইসি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা কী প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের প্রস্তুতির কথা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। সংস্কারের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন মেজর কী কী বিষয়ে আমরা সংস্কার করতে যাচ্ছি। আমাদের যদি কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয় তারা জানাতে বলেছেন। আমি বলেছি ইউএনডিপি আমাদের সহায়তা করছে, আপনারা এটা দেখেন। দেখার পরে যদি আপনারা কোনো এরিয়ায় ইনভলব হতে চান, ইনভলব হতে পারেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনটাকে মেজর হিসেবে দেখেছি। এটা আমরা অলমোস্ট শেষ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। কেনাকাটার জন্য টেন্ডারের কাজ চলমান রয়েছে। সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি আইন সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য দুই মাসের সময় বাড়িয়েছি। আচরণবিধি সংশোধন করার চেষ্টা করছি। পর্যবেক্ষকদের নীতিমালা নিয়েও কাজ চলছে।

নির্বাচনী সংস্কারের জন্য আপনারা কী ঐকমত্য কমিশনের মতামতের অপেক্ষা করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, যেগুলো আমাদের ক্ষমতার মধ্যে আছে, সেগুলো ইলেকশনের আগে করে ফেলবো। যেগুলো রাজনৈতিক বিষয় আছে, সেগুলো আমাদের হাতে নেই। সেগুলো ঐকমত্য কমিশন করবে।