Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেকর্ড গড়ে ৭ বছর পর জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট হারল বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ২০৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংস শেষে ৩০০ রানের লিড নেয়ার আশায় ছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ দিনে মাত্র ২৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। তাতে প্রথম টেস্ট জিততে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ১৭৪ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনেই ইতিহাস গড়ে ৩ উইকেটের জয় পায় জিম্বাবুয়ে।

সবশেষ ২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছিল জিম্বাবুয়ে, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই। পরের তিন দেখায় তিনটিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ। প্রায় চার বছর পর টেস্টে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়ে সাড়ে ৬ বছরের জয়খরা কাটাল রোডেশিয়ানরা, সেই সিলেটের মাটিতেই। শান্তদের হারিয়ে একটি রেকর্ডও গড়েছে জিম্বাবুয়ে। তাদের সবচেয়ে বেশি রানতাড়া করে টেস্টে জয় এটি, এর আগে ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬২ রান করে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে।

১৭৪ রানের লক্ষ্যে নেমে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন ব্যাটিং করতে থাকেন ওয়ানডে মেজাজে। তাঁদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ—অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যাঁকেই বোলিংয়ে এনে থাকুন না কেন, স্বাগতিকদের সময় কাটে বল কুড়োতে কুড়োতেই। উইকেট পড়ার ছোট ছোট সুযোগগুলোও বাংলাদেশের পক্ষে আসে না।

দলীয় ৯৫ রানে অবশেষে জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারে বাংলাদেশ।২১তম ওভারের শেষ বলে মিরাজকে তুলে মারতে যান কারেন। এজ হওয়া বল মিড অফে ক্যাচ ধরেন খালেদ আহমেদ। ৭৫ বলে ৭ চারে ৪৪ রান করে আউট হয়েছেন কারেন। টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার নিক ওয়েলচকেও দ্রুত ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। ২৬তম ওভারের শেষ বলে তাইজুল সোজা আর্ম ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করেছেন ওয়েলচকে।

তাইজুলের পর মিরাজের ঘূর্ণিতে এরপর চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে জিম্বাবুয়ে। শন উইলিয়ামস, ব্রায়ান বেনেট সফরকারীদের দুই ব্যাটারকে দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরান মিরাজ। বেনেট ৮১ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৪ রান করেন। উইলিয়ামস করেন ৭ রান। জিম্বাবুয়ের স্কোর তখন পরিণত হয় ৩২.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৮ রান। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা ২২ মিনিটে বৃষ্টি নামে সিলেটে। তখন জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩৪.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৩ রান। তবে বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল কেবল ৪ মিনিট।

৪ মিনিট বৃষ্টিতে বন্ধ থাকার পর ফের খেলা শুরু হলে জিম্বাবুয়ে এগোতে থাকে ঠাণ্ডা মাথায়। তাইজুল, মিরাজের বোলিংয়েও ধার বাড়তে থাকে। ৪২তম ওভারের প্রথম বলে তাইজুলকে ফ্লিক করতে যান আরভিন। উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক কড়া আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি। শান্ত রিভিউ নিলে আরভিনের ব্যাটে স্পাইক দেখা যায়।

আরভিনের ঠিক পরের ওভারেই বিদায় নেন নিয়াশা মায়াভো। ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজের নিচু হওয়া বলে বোল্ড হয়ে যান মায়াভো। আরভিন (১০), মায়াভোর (১) উইকেট দ্রুত হারিয়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর হয়ে যায় ৪২.১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান। জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার ওয়েসলি মাধেভেরে আর ওয়েলিংটন মাসাকাদজা যেন তখন মিরাজের ওভার কোনোমতে কাটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। মাসাকাদজা এরপর তাইজুলকে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন।

মিরাজের হাতেই শেষ পর্যন্ত বধ হয়েছেন মাসাকাদজা। ৪৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মাসাকাদজাকে বোল্ড করেন মিরাজ। হাতে ৩ উইকেট ও পর্যাপ্ত ওভার থাকা সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ের কাছে ১৩ রান অনেক কঠিন মনে হচ্ছিল। তবে সফরকারীরা খেলা শেষ করতে এরপর খেলেছে ১০ বল। ৫১তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজকে রিভার্স সুইপে চার মেরে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটের জয় এনে দেন মাধেভেরে।

আউটফিল্ড ভেজা থাকায় সিলেট টেস্টে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় ১১টায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান থেকে বাংলাদেশ শুরু করেছে। তবে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর দ্বিতীয় বলেই ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বল দেখে পুল করার লোভ সামলাতে পারেননি শান্ত। টপ এজ হওয়া বল ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে থাকা ভিক্টর নিয়াউচি সহজেই তালুবন্দী করেছেন।

১০৪ বলে ৭ চারে ৬০ রান করেন শান্ত বিদায় নিলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৫৭.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান। পঞ্চম উইকেটে জাকেরের সঙ্গে শান্তর জুটিটা ছিল ৯২ বলে ৩৯ রানের। এই জুটি ভাঙার পর ৬১ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৯.২ ওভারে ২৫৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শান্তর ৬০ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন জাকের। জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ২০.২ ওভার বোলিং করে ৭২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

এর আগে টস জিতে সিলেটে প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। প্রথম ইনিংসে ৬১ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকেই। জিম্বাবুয়ে এরপর তাদের প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রানে অলআউট হয়েছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন উইলিয়ামস। মিরাজ ৫২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাতে টেস্ট ক্যারিয়ারে ইনিংসে ১১ বারের মতো ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রেকর্ড গড়ে ৭ বছর পর জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট হারল বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংস শেষে ৩০০ রানের লিড নেয়ার আশায় ছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ দিনে মাত্র ২৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। তাতে প্রথম টেস্ট জিততে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ১৭৪ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনেই ইতিহাস গড়ে ৩ উইকেটের জয় পায় জিম্বাবুয়ে।

সবশেষ ২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছিল জিম্বাবুয়ে, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই। পরের তিন দেখায় তিনটিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ। প্রায় চার বছর পর টেস্টে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়ে সাড়ে ৬ বছরের জয়খরা কাটাল রোডেশিয়ানরা, সেই সিলেটের মাটিতেই। শান্তদের হারিয়ে একটি রেকর্ডও গড়েছে জিম্বাবুয়ে। তাদের সবচেয়ে বেশি রানতাড়া করে টেস্টে জয় এটি, এর আগে ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬২ রান করে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে।

১৭৪ রানের লক্ষ্যে নেমে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন ব্যাটিং করতে থাকেন ওয়ানডে মেজাজে। তাঁদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ—অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যাঁকেই বোলিংয়ে এনে থাকুন না কেন, স্বাগতিকদের সময় কাটে বল কুড়োতে কুড়োতেই। উইকেট পড়ার ছোট ছোট সুযোগগুলোও বাংলাদেশের পক্ষে আসে না।

দলীয় ৯৫ রানে অবশেষে জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারে বাংলাদেশ।২১তম ওভারের শেষ বলে মিরাজকে তুলে মারতে যান কারেন। এজ হওয়া বল মিড অফে ক্যাচ ধরেন খালেদ আহমেদ। ৭৫ বলে ৭ চারে ৪৪ রান করে আউট হয়েছেন কারেন। টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার নিক ওয়েলচকেও দ্রুত ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। ২৬তম ওভারের শেষ বলে তাইজুল সোজা আর্ম ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করেছেন ওয়েলচকে।

তাইজুলের পর মিরাজের ঘূর্ণিতে এরপর চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে জিম্বাবুয়ে। শন উইলিয়ামস, ব্রায়ান বেনেট সফরকারীদের দুই ব্যাটারকে দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরান মিরাজ। বেনেট ৮১ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৪ রান করেন। উইলিয়ামস করেন ৭ রান। জিম্বাবুয়ের স্কোর তখন পরিণত হয় ৩২.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৮ রান। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা ২২ মিনিটে বৃষ্টি নামে সিলেটে। তখন জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩৪.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৩ রান। তবে বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল কেবল ৪ মিনিট।

৪ মিনিট বৃষ্টিতে বন্ধ থাকার পর ফের খেলা শুরু হলে জিম্বাবুয়ে এগোতে থাকে ঠাণ্ডা মাথায়। তাইজুল, মিরাজের বোলিংয়েও ধার বাড়তে থাকে। ৪২তম ওভারের প্রথম বলে তাইজুলকে ফ্লিক করতে যান আরভিন। উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক কড়া আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি। শান্ত রিভিউ নিলে আরভিনের ব্যাটে স্পাইক দেখা যায়।

আরভিনের ঠিক পরের ওভারেই বিদায় নেন নিয়াশা মায়াভো। ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজের নিচু হওয়া বলে বোল্ড হয়ে যান মায়াভো। আরভিন (১০), মায়াভোর (১) উইকেট দ্রুত হারিয়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর হয়ে যায় ৪২.১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান। জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার ওয়েসলি মাধেভেরে আর ওয়েলিংটন মাসাকাদজা যেন তখন মিরাজের ওভার কোনোমতে কাটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। মাসাকাদজা এরপর তাইজুলকে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন।

মিরাজের হাতেই শেষ পর্যন্ত বধ হয়েছেন মাসাকাদজা। ৪৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মাসাকাদজাকে বোল্ড করেন মিরাজ। হাতে ৩ উইকেট ও পর্যাপ্ত ওভার থাকা সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ের কাছে ১৩ রান অনেক কঠিন মনে হচ্ছিল। তবে সফরকারীরা খেলা শেষ করতে এরপর খেলেছে ১০ বল। ৫১তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজকে রিভার্স সুইপে চার মেরে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটের জয় এনে দেন মাধেভেরে।

আউটফিল্ড ভেজা থাকায় সিলেট টেস্টে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় ১১টায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান থেকে বাংলাদেশ শুরু করেছে। তবে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর দ্বিতীয় বলেই ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বল দেখে পুল করার লোভ সামলাতে পারেননি শান্ত। টপ এজ হওয়া বল ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে থাকা ভিক্টর নিয়াউচি সহজেই তালুবন্দী করেছেন।

১০৪ বলে ৭ চারে ৬০ রান করেন শান্ত বিদায় নিলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৫৭.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান। পঞ্চম উইকেটে জাকেরের সঙ্গে শান্তর জুটিটা ছিল ৯২ বলে ৩৯ রানের। এই জুটি ভাঙার পর ৬১ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৯.২ ওভারে ২৫৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শান্তর ৬০ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন জাকের। জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ২০.২ ওভার বোলিং করে ৭২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

এর আগে টস জিতে সিলেটে প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। প্রথম ইনিংসে ৬১ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকেই। জিম্বাবুয়ে এরপর তাদের প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রানে অলআউট হয়েছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন উইলিয়ামস। মিরাজ ৫২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাতে টেস্ট ক্যারিয়ারে ইনিংসে ১১ বারের মতো ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।