আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঁঝির নাতনিকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম সুষমা দেবী। পারিবারিক কলহ ও সাংসারিক মনোমালিন্যের জেরে নিজের বাড়িতেই স্বামী তাকে গুলি করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অবশ্য নাতনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঁঝি। বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বুধবার বিহারের গয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঁঝির নাতনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে যখন নিহত সুষমা দেবী, তার সন্তান এবং বোন পুনম কুমারী আত্রি ব্লকের তেতুয়া গ্রামে বাড়িতে ছিলেন।
গয়া লোকসভা আসনের সংসদ সদস্য এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী জিতন মাঁঝির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি বিহারের ক্ষমতাসীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) মিত্র হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (ধর্মনিরপেক্ষ) প্রতিষ্ঠাতাও।
পুনমের মতে, দুপুর ১২টার দিকে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পর সুষমা ও তার স্বামী রমেশের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে রমেশ একটি দেশি পিস্তল বের করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এরপর সে পালিয়ে যায়
অন্য ঘরে উপস্থিত পুনম ও সুষমার সন্তানরা যখন ভুক্তভোগীর ঘরের দিকে ছুটে যাওয়ার পর তারা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুনম বলেন, সে (রমেশ) পাটনা থেকে এসেছিল। আমরা রমেশের মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি। আমার বোনকে হত্যার জন্য তাকে ফাঁসি দেওয়া উচিত। আমার বোন আর নেই।
গয়ার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি) আনন্দ কুমার বলেছেন, অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ফরেনসিক দল এবং কারিগরি বিশেষজ্ঞদের অপরাধস্থলে পাঠানো হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, সুষমা এবং রমেশ ভিন্ন বর্ণের এবং ১৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল বলে বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।