Dhaka মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গণহত্যাকারীদের বিচার বাংলাদেশেই সম্ভব : চিফ প্রসিকিউটর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গণহত্যাকারীদের বিচার বাংলাদেশেই সম্ভব বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস কোর্টে (আইসিসি) পাঠানো নিয়ে প্রেস সচিবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এ প্রশ্ন করা হয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, গণহত্যার বিচার আমাদের ট্রাইব্যুনালেই সম্ভব। আইসিসিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে আইসিসি চাইলে টেকনিক্যাল সহযোগিতা নিতে পারি আমরা।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গণহত্যার ঘটনা বাংলাদেশে, আসামিরাও বাংলাদেশি, সাক্ষীরাও এদেশের। কাজেই বিচার প্রক্রিয়া এখানেই হোক। যেসব দেশের সক্ষমতা নেই সেসব দেশ আইসিসিতে মামলা পাঠাতে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখানে সব ধরনের সক্ষমতা আছে। গণহত্যার মামলার বিচারের কাজ আমরা এখানেই করতে পারব।

তিনি বলেন, যেসব দেশের সক্ষমতা নেই, শুধুমাত্র তারাই আইসিসিতে মামলা পাঠাতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখানে সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে। তাই গণহত্যার বিচারকাজ এখানেই করতে পারব আমরা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদ এবং মিছিলে গুলি করা যুবলীগ কর্মী মো. ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টে চট্টগ্রামে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার নির্ধারিত তারিখ ছিল আজ। সেখানে সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী আসামি। তাকে একদিনের জন্য ইন্টারোগেশন (জিজ্ঞাসাবাদ) করতে সময় চাওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ এপ্রিল সময় দিয়েছেন আদালত।

তাজুল ইসলাম বলেন, এই মামলায় আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে আজ হাজির করা হয়েছিল। যার বিরুদ্ধে সরাসরি মিছিলে গুলি করার অভিযোগ আছে। তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর বাইরে চট্টগ্রামের মামলায় ৪৫৯ জন আহতের খবর পেয়েছি, ৯ জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। যেসব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তাদের বাইরে আরও আসামির তথ্য শোনা যাচ্ছে। আসামিদের শনাক্ত করার জন্য আমাদের তদন্ত সংস্থা দিনরাত কাজ করছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালত তিন মাসের সময় দিয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গণহত্যাকারীদের বিচার বাংলাদেশেই সম্ভব : চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশের সময় : ০৩:০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গণহত্যাকারীদের বিচার বাংলাদেশেই সম্ভব বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস কোর্টে (আইসিসি) পাঠানো নিয়ে প্রেস সচিবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এ প্রশ্ন করা হয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, গণহত্যার বিচার আমাদের ট্রাইব্যুনালেই সম্ভব। আইসিসিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে আইসিসি চাইলে টেকনিক্যাল সহযোগিতা নিতে পারি আমরা।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গণহত্যার ঘটনা বাংলাদেশে, আসামিরাও বাংলাদেশি, সাক্ষীরাও এদেশের। কাজেই বিচার প্রক্রিয়া এখানেই হোক। যেসব দেশের সক্ষমতা নেই সেসব দেশ আইসিসিতে মামলা পাঠাতে পারে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখানে সব ধরনের সক্ষমতা আছে। গণহত্যার মামলার বিচারের কাজ আমরা এখানেই করতে পারব।

তিনি বলেন, যেসব দেশের সক্ষমতা নেই, শুধুমাত্র তারাই আইসিসিতে মামলা পাঠাতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখানে সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে। তাই গণহত্যার বিচারকাজ এখানেই করতে পারব আমরা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদ এবং মিছিলে গুলি করা যুবলীগ কর্মী মো. ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টে চট্টগ্রামে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার নির্ধারিত তারিখ ছিল আজ। সেখানে সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী আসামি। তাকে একদিনের জন্য ইন্টারোগেশন (জিজ্ঞাসাবাদ) করতে সময় চাওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ এপ্রিল সময় দিয়েছেন আদালত।

তাজুল ইসলাম বলেন, এই মামলায় আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে আজ হাজির করা হয়েছিল। যার বিরুদ্ধে সরাসরি মিছিলে গুলি করার অভিযোগ আছে। তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর বাইরে চট্টগ্রামের মামলায় ৪৫৯ জন আহতের খবর পেয়েছি, ৯ জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। যেসব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তাদের বাইরে আরও আসামির তথ্য শোনা যাচ্ছে। আসামিদের শনাক্ত করার জন্য আমাদের তদন্ত সংস্থা দিনরাত কাজ করছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালত তিন মাসের সময় দিয়েছেন।