Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যাংককে ভূমিকম্পে ৩০তলা ভবনধসে আটকা পড়েছে ৪৩ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মিয়ানমারে উৎপত্তি হওয়া ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার ভূমিকম্পে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ভয়াবহভাবে অনুভূত হয়েছে। এতে দেশটির রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন ৩০ তলা একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়েছে। পুলিশ এবং চিকিৎসাকর্মী সূত্রে জানা গেছে। ভবনে কর্মরত ৪৩ জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন।

সরকারি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। ব্যাংককের উত্তরে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। ভূমিকম্পের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এটি একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরের দিকে মিয়ানমারে শক্তিশালী ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, মিয়ানমারের সাগাইং শহর থেকে উত্তরপশ্চিমে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৭। কয়েক মিনিট পর একই এলাকায় ৬ দশমিক ৪ তীব্রতার একটি আফটারশক অনুভূত হয়।

বাং সু জেলার উপ-পুলিশ প্রধান ওরাপাত সুকথাই এএফপিকে বলেন, ‘আমরা অনুমান করছি যে শত শত মানুষ আহত হয়েছে। তবে আমরা এখনও হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারিনি।’

ভূমিকম্পের পর থাইল্যান্ডের স্টক এক্সচেঞ্জ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিছু মেট্রো এবং হালকা রেল লাইন স্থগিত করা হয়েছে।

ভূমিকম্পের পর ৬.৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী আফটারশকও অনুভূত হয়েছে। ফলে অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়।

মিয়ানমারের পাশাপাশি ভূমিকম্পে কেঁপেছে বাংলাদেশের রাজধানীর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা। এদিন দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় ভূকম্পন রেকর্ড হয়, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল সাত। তবে উৎপত্তিস্থলে এর মাত্রা ছিল ৭.৭। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওতে ব্যাংকের রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টগুলি তীব্রভাবে দুলতে দেখা গেছে এবং ভূমিকম্পের প্রভাবে ব্যাংককের বহুতল ভবনটি ভেঙে পড়ার মুহূর্তের দৃশ্য ধরা পড়েছে।

শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভব করার পর মানুষ ব্যাংককের রাস্তায় ছুটে বেরিয়ে আসেন। বহুতল ভবনের সুইমিং পুল থেকে পানি উপচে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

১ কোটি ৭০ লাখের বেশি লোকের বাসস্থান, বৃহত্তর ব্যাংকক মহানগর এলাকায় বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে, যেখানে বহুতল কনডোমিনিয়াম এবং হোটেলের বাসিন্দারা পালানোর জন্য সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসেছেন। ভূমিকম্পের পরের উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে অনেকেই বিকেলের রোদ থেকে রক্ষা পেতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।

পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়নের জন্য থাই প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা একটি জরুরি সভা ডেকেছেন।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু কাঠামো মাটিতে ধসে পড়েছে। প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরের ক্ষতির ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।

তবে, দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে আরও বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গম আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ব্যাংককে ভূমিকম্পে ৩০তলা ভবনধসে আটকা পড়েছে ৪৩ জন

প্রকাশের সময় : ০৩:৪২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মিয়ানমারে উৎপত্তি হওয়া ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার ভূমিকম্পে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ভয়াবহভাবে অনুভূত হয়েছে। এতে দেশটির রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন ৩০ তলা একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়েছে। পুলিশ এবং চিকিৎসাকর্মী সূত্রে জানা গেছে। ভবনে কর্মরত ৪৩ জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন।

সরকারি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। ব্যাংককের উত্তরে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। ভূমিকম্পের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এটি একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরের দিকে মিয়ানমারে শক্তিশালী ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, মিয়ানমারের সাগাইং শহর থেকে উত্তরপশ্চিমে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৭। কয়েক মিনিট পর একই এলাকায় ৬ দশমিক ৪ তীব্রতার একটি আফটারশক অনুভূত হয়।

বাং সু জেলার উপ-পুলিশ প্রধান ওরাপাত সুকথাই এএফপিকে বলেন, ‘আমরা অনুমান করছি যে শত শত মানুষ আহত হয়েছে। তবে আমরা এখনও হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারিনি।’

ভূমিকম্পের পর থাইল্যান্ডের স্টক এক্সচেঞ্জ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিছু মেট্রো এবং হালকা রেল লাইন স্থগিত করা হয়েছে।

ভূমিকম্পের পর ৬.৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী আফটারশকও অনুভূত হয়েছে। ফলে অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়।

মিয়ানমারের পাশাপাশি ভূমিকম্পে কেঁপেছে বাংলাদেশের রাজধানীর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা। এদিন দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় ভূকম্পন রেকর্ড হয়, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল সাত। তবে উৎপত্তিস্থলে এর মাত্রা ছিল ৭.৭। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওতে ব্যাংকের রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টগুলি তীব্রভাবে দুলতে দেখা গেছে এবং ভূমিকম্পের প্রভাবে ব্যাংককের বহুতল ভবনটি ভেঙে পড়ার মুহূর্তের দৃশ্য ধরা পড়েছে।

শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভব করার পর মানুষ ব্যাংককের রাস্তায় ছুটে বেরিয়ে আসেন। বহুতল ভবনের সুইমিং পুল থেকে পানি উপচে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

১ কোটি ৭০ লাখের বেশি লোকের বাসস্থান, বৃহত্তর ব্যাংকক মহানগর এলাকায় বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে, যেখানে বহুতল কনডোমিনিয়াম এবং হোটেলের বাসিন্দারা পালানোর জন্য সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসেছেন। ভূমিকম্পের পরের উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে অনেকেই বিকেলের রোদ থেকে রক্ষা পেতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।

পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়নের জন্য থাই প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা একটি জরুরি সভা ডেকেছেন।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু কাঠামো মাটিতে ধসে পড়েছে। প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরের ক্ষতির ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।

তবে, দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে আরও বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়নি।