Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাকিবের সঙ্গে তুলনা, যা বললেন হামজা চৌধুরী

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ২৫৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক তারকা কে-সাকিব আল হাসান নাকি হামজা চৌধুরী? সম্প্রতি এই আলোচনায় শোনা যাচ্ছে জোরেসোরে।

ক্রিকেটার সাকিবের ক্যারিয়ারের পড়তির দিকে। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে। অন্যদিকে হামজা চৌধুরীর জাতীয় ফুটবল দলে অভিষেক হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ মার্চ, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।

হামজার জাতীয় দলে এখনও অভিষেক হয়নি। তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটির মতো ক্লাবে খেলেছেন। এখন আছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে।

ইংলিশ প্রিমিয়ারের মতো বড় লিগে খেলায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে হামজা চৌধুরীর পরিচিতি আছে বেশ। সাকিবও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছিলেন দীর্ঘদিন, তাকেও ক্রিকেটার হিসেবে চেনে বিশ্ব।

দুজনের মধ্যে কে সেরা? এই বিতর্ক যখন তুঙ্গে। তখন সাকিবের সঙ্গে নিজেকে তুলনায়ই আনতে চাইলেন না হামজা। আজই স্বদেশভূমিতে পা রাখা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই ফুটবলার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সাকিব আল হাসান মেগা স্টার। অনেক বছর ধরে বিশ্বসেরা। আমি তার সঙ্গে তুলনায় যেতে চাই না।’

এটাকে হামজার বিনয়ই বলতে হবে। সাকিব যেমন বড় তারকা, হামজাও। তবে একজন সুপারস্টারের মনমানসিকতা যেমন হওয়া উচিত, তার প্রমাণ দিয়েছেন হামজা।

এর আগে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে সোমবার (১৭ মার্চ) দেশে এসেছেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্রবাসী এই ফুটবলারকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সদস্যরা।

সিলেট থেকে দুপুরে রওনা হয়ে বিকেলে হবিগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে আসেন হামজা। সেখানে তাকে দেখতে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তারা হামজাকে স্বাগত জানান।

এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হামজা প্রথমে ইংরেজিতে বলেন, ‘এমন অসাধারণ দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ। দারুণ লাগছে। আশা করি আমরা দুটি ম্যাচই জিতব এবং খুব দ্রুতই আমরা উন্নতি (ফুটবলে) করব।’

এরপর বাংলায় কথা বলার দাবির মুখে স্থানীয় সিলেটি ভাষায় হামজা বলেন, ‘ইনশাল্লাহ আমরা উইন খরমু। আমি কোচ হ্যাভিয়ের কাভরেরার লগে মাতছি বহুত্তা। আমরা উইন খরিয়া প্রগ্রেস করতাম ফারমু।’

আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হতে চলেছে হামজার।

বাংলাদেশি বংশদ্ভূত হামজার জন্ম ১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর ইংল্যান্ডের লেস্টারে। বেড়ে ওঠা লেস্টারের অ্যাকাডেমি থেকেই। সেখান থেকেই পরিণত হয়ে ওঠা। বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগে ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলেছেন। এমনকি অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো দলেও খেলেছেন তিনি।

তবে লেস্টারের অ্যাকাডেমি গ্র্যাজুয়েট হলেও হামজার পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল বার্টন অ্যালবিয়নের হয়ে। ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ মৌসুমে এই ক্লাবের হয়েই মাঠে নেমেছিলেন। দুই মৌসুমে খেলেছেন ২৮ ম্যাচ। অ্যাসিস্ট ১টা।

২০১৭ সালে লেস্টারের হয়ে হামজা অধ্যায় শুরু। প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, কারাবাও কাপ ঘরোয়া সব আসরেই পা পড়েছে হামজার। আক্ষেপ একটাই। ইউরোপিয়ান কোনো প্রতিযোগিতায় দেখা যায়নি এখন পর্যন্ত। লেস্টারের জার্সিতে চারটা অ্যাসিস্ট আর ২ টা গোল আছে নামের পাশে। এই ক্লাবের বাইরে খেলেছেন কেবল ওয়াটফোর্ডে। সেটা ২০২২-২৩ মৌসুমে। আর বর্তমানে খেলছেন শেফিল্ডে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাকিবের সঙ্গে তুলনা, যা বললেন হামজা চৌধুরী

প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক তারকা কে-সাকিব আল হাসান নাকি হামজা চৌধুরী? সম্প্রতি এই আলোচনায় শোনা যাচ্ছে জোরেসোরে।

ক্রিকেটার সাকিবের ক্যারিয়ারের পড়তির দিকে। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে। অন্যদিকে হামজা চৌধুরীর জাতীয় ফুটবল দলে অভিষেক হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ মার্চ, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।

হামজার জাতীয় দলে এখনও অভিষেক হয়নি। তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটির মতো ক্লাবে খেলেছেন। এখন আছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে।

ইংলিশ প্রিমিয়ারের মতো বড় লিগে খেলায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে হামজা চৌধুরীর পরিচিতি আছে বেশ। সাকিবও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছিলেন দীর্ঘদিন, তাকেও ক্রিকেটার হিসেবে চেনে বিশ্ব।

দুজনের মধ্যে কে সেরা? এই বিতর্ক যখন তুঙ্গে। তখন সাকিবের সঙ্গে নিজেকে তুলনায়ই আনতে চাইলেন না হামজা। আজই স্বদেশভূমিতে পা রাখা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই ফুটবলার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সাকিব আল হাসান মেগা স্টার। অনেক বছর ধরে বিশ্বসেরা। আমি তার সঙ্গে তুলনায় যেতে চাই না।’

এটাকে হামজার বিনয়ই বলতে হবে। সাকিব যেমন বড় তারকা, হামজাও। তবে একজন সুপারস্টারের মনমানসিকতা যেমন হওয়া উচিত, তার প্রমাণ দিয়েছেন হামজা।

এর আগে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে সোমবার (১৭ মার্চ) দেশে এসেছেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্রবাসী এই ফুটবলারকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সদস্যরা।

সিলেট থেকে দুপুরে রওনা হয়ে বিকেলে হবিগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে আসেন হামজা। সেখানে তাকে দেখতে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তারা হামজাকে স্বাগত জানান।

এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হামজা প্রথমে ইংরেজিতে বলেন, ‘এমন অসাধারণ দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ। দারুণ লাগছে। আশা করি আমরা দুটি ম্যাচই জিতব এবং খুব দ্রুতই আমরা উন্নতি (ফুটবলে) করব।’

এরপর বাংলায় কথা বলার দাবির মুখে স্থানীয় সিলেটি ভাষায় হামজা বলেন, ‘ইনশাল্লাহ আমরা উইন খরমু। আমি কোচ হ্যাভিয়ের কাভরেরার লগে মাতছি বহুত্তা। আমরা উইন খরিয়া প্রগ্রেস করতাম ফারমু।’

আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হতে চলেছে হামজার।

বাংলাদেশি বংশদ্ভূত হামজার জন্ম ১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর ইংল্যান্ডের লেস্টারে। বেড়ে ওঠা লেস্টারের অ্যাকাডেমি থেকেই। সেখান থেকেই পরিণত হয়ে ওঠা। বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগে ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলেছেন। এমনকি অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো দলেও খেলেছেন তিনি।

তবে লেস্টারের অ্যাকাডেমি গ্র্যাজুয়েট হলেও হামজার পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল বার্টন অ্যালবিয়নের হয়ে। ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ মৌসুমে এই ক্লাবের হয়েই মাঠে নেমেছিলেন। দুই মৌসুমে খেলেছেন ২৮ ম্যাচ। অ্যাসিস্ট ১টা।

২০১৭ সালে লেস্টারের হয়ে হামজা অধ্যায় শুরু। প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, কারাবাও কাপ ঘরোয়া সব আসরেই পা পড়েছে হামজার। আক্ষেপ একটাই। ইউরোপিয়ান কোনো প্রতিযোগিতায় দেখা যায়নি এখন পর্যন্ত। লেস্টারের জার্সিতে চারটা অ্যাসিস্ট আর ২ টা গোল আছে নামের পাশে। এই ক্লাবের বাইরে খেলেছেন কেবল ওয়াটফোর্ডে। সেটা ২০২২-২৩ মৌসুমে। আর বর্তমানে খেলছেন শেফিল্ডে।