স্পোর্টস ডেস্ক :
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে অনেকটা নিজের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিলেন পেপ গার্দিওলা। চলমান মৌসুমটি এই স্প্যানিশ কোচের নবম মৌসুম ইপিলে। আগের ৮ মৌসুমের মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটিকে তিনি ৬টি লিগ শিরোপা জিতেয়েছেন। অথচ চলমান মৌসুমে গার্দিওলা আর তার দল ম্যানসিটির অবস্থা এতটাই করুণ যে, বাকি ম্যাচগুলো থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট না পেলে, শেষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করাটা কঠিন হয়ে যাবে। ফলে খেলতে পারবে না আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ।
শনিবার (১৫ মার্চ) ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ব্রাইটনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানসিটি। ২৯ ম্যাচ শেষে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে তারা। এক ম্যাচ কম খেলা নিউক্যাসল ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ব্লুজদের।
ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড। দশ মিনিট পর পেরভিস এস্তুপিনান সমতায় ফেরান সফরকারীদের।
এই মৌসুমে সিটির ম্যাচ বাকি আছে আর ৯টি। পরবর্তী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্থান পেতে হলে কঠিন সব মহারণ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। গার্দিওলা এই ব্যাপারে বলেন, “আমি মনে করি, শেষ পর্যন্ত ৯টি ম্যাচই জিততে হবে, ৯টি ম্যাচই ফাইনাল।”
নিজেকে ফুটবল মাস্টার দাবি করে এই চ্যালেঞ্জ পারি দিতে পারবেন বলে বিশ্বাস গার্দিওলার, “আমি সবসময় আত্মবিশ্বাসী। আমি একজন মাস্টার। আমি সবকিছুর মধ্যে ইতিবাচকতা খুঁজে পাই। আমি জানি এটি কঠিন হবে।”
হতাশার রাতে সিটির প্রাপ্তি ছিল আর্লিং হলান্ডের রেকর্ড। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একশ ম্যাচের কম খেলে একশ গোলে সম্পৃক্ত (গোল+অ্যাসিস্ট) থাকার কীর্তি গড়েন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। ৯৪ ম্যাচে তিনি স্পর্শ করলেন এই মাইলফলক। এর আগে এই রেকর্ড ছিল নিউক্যাসল ইউনাইটেড, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স ও ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার অ্যালান শিয়েরারের (১০০ ম্যাচে)।
পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডও হয়েছে এদিন। ব্রাইটনের দ্বিতীয় গোলটি সিটির জালে এবারের লিগে ৪০তম গোল। গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে এর আগে কোনো মৌসুমে এত গোল হজম করেনি ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।
সিটির বাকি ৯ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি হবে নিজেদের মাঠে। প্রতিপক্ষরা হলো- লেস্টার সিটি, ক্রিস্টাল প্যালেস, অ্যাস্টন ভিলা, উলভারহ্যাম্পটন ও বোর্নমাউথ। এই তালিকায় থাকা অ্যাস্টন ভিলা (৪৫ পয়েন্ট) ও বোর্নমাউথ (৪৪ পয়েন্ট) বর্তমানে যথাক্রমে অষ্টম ও নবম স্থানে রয়েছে। ফলে তাদের বিপক্ষে ম্যাচগুলো সহজ হবে না।
অন্যদিকে প্রতিপক্ষের মাঠে চারটি ম্যাচ খেলতে হবে ম্যানচেস্টার সিটিকে। প্রতিপক্ষগুলো হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (১৫তম), ফুলহাম (৯ম), এভারটন (১৪তম) ও সাউদাম্পটন (২০তম)। যদিও এই দলগুলো লিগ টেবিলের নিচের দিকে অবস্থান করছে, তবুও প্রতিটি ম্যাচই কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
‘৯ ফাইনালের’ প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে ২ এপ্রিল, যেখানে সিটি মুখোমুখি হবে লেস্টার সিটির। এর আগে ৩০ মার্চ এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বোর্নমাউথের বিপক্ষে মাঠে নামবে গার্দিওলার দল। এখন দেখার বিষয়, সিটি এই ৯টি ম্যাচে কেমন পারফর্ম করে এবং তারা কি চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট নিশ্চিত করতে পারবে।