Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯১ রানে গুটিয়ে ৯ উইকেটে হারল পাকিস্তান

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ২১৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

‘নতুন ছেলেদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত, আশা করি তারা দুর্দান্ত কিছু করবে’- টসের সময় বলছিলেন পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক সালমান আলি আগা। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই শেষ সেই সম্ভাবনা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় একশও করতে পারেনি নতুন চেহারার পাকিস্তান। অনায়াস জয় পেল নিউজিল্যান্ড।

টি-টোয়েন্টিতে নতুন শুরুর আশায় বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বাদ দিয়ে নিউ জিল্যান্ড সফরে গেছে পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের অনুপস্থিতি ভুলিয়ে দিতে পারেননি সুযোগ পাওয়া বাকিরা।

ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভালে রোববার (১৬ মার্চ) মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। পরে ৫৯ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শুরুতে লিড নিলো তারা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ড্রেসিং রুমে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। জেমিসনের পুরো ওভার খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি প্রায় দুই বছর পর ফেরা কিপার-ব্যাটসম্যান।

পরের ওভারে অভিষিক্ত হাসান নাওয়াজকে ফেরান জ্যাকব ডাফি। হারিসের মতো নাওয়াজও শূন্য রানে আউট হন। এ নিয়ে স্রেফ দ্বিতীয়বার একই ম্যাচে খালি হাতে ফেরেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার।

এরপর আবার জেমিসনের তোপ। পরপর দুই ওভারে ইরফান খান ও শাদাব খানকে ফেরান তিনি। মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।

সফরকারীদের বিপদ বাড়তে পারত আরও। সপ্তম ওভারে ব্রেসওয়েলের বলে খুশদিল শাহর ক্যাচ ছেড়ে দেন টিম সাইফার্ট। পরের ওভারে স্লিপে সালমানের ক্যাচ নিতে পারেননি ড্যারিল মিচেল।

জীবন পেয়ে সালমান ও খুশদিল মিলে গড়ে তোলেন ৪৬ রানের জুটি। প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিলেও দলকে শক্ত অবস্থানে নিতে পারেননি তারা। দ্বাদশ ওভারে সোধির বলে ক্যাচ আউট হন ২০ বলে ১৮ রান করা সালমান।
পরের ওভারে ডাফির বলে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন দলের সর্বোচ্চ ৩২ রান করা খুশদিল। ৩০ বলের ইনিংসে ৩টি ছক্কা মারেন বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার।

শেষ দিকে জাহানদাদ খানের ১৭ রানের সৌজন্যে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর এড়িয়ে একশর কাছে যায় পাকিস্তান।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩ ওভার ৪ বলে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি। ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন কাইল জেমিসন। ২৭ রান খরচায় দুই উইকেট নেন ইশ সোধি। একটি উইকেট পান ফল্কস।

রান তাড়া করতে নেমে সেইফার্ট দেখেশুনে শুরু করেন। পরবর্তীতে আরেক ওপেনার অ্যালেনকে নিয়ে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারেই ৫৩ রান তোলেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের একমাত্র সান্ত্বনার উইকেট এনে দেন আবরার আহমেদ। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে সেইফার্ট ২৯ বলে ৪৪ রান করেন। ৩৯ রানের জুটি গড়ে এরপর জয় নিশ্চিত করেন অ্যালেন-রবিনসন। অ্যালেন ১৭ বলে ২৯ এবং রবিনসন করেন ১৮ রান।

এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। আগামী ১৮ মার্চ দ্বিতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে দুই দল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৯১ রানে গুটিয়ে ৯ উইকেটে হারল পাকিস্তান

প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

‘নতুন ছেলেদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত, আশা করি তারা দুর্দান্ত কিছু করবে’- টসের সময় বলছিলেন পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক সালমান আলি আগা। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই শেষ সেই সম্ভাবনা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় একশও করতে পারেনি নতুন চেহারার পাকিস্তান। অনায়াস জয় পেল নিউজিল্যান্ড।

টি-টোয়েন্টিতে নতুন শুরুর আশায় বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বাদ দিয়ে নিউ জিল্যান্ড সফরে গেছে পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের অনুপস্থিতি ভুলিয়ে দিতে পারেননি সুযোগ পাওয়া বাকিরা।

ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভালে রোববার (১৬ মার্চ) মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। পরে ৫৯ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শুরুতে লিড নিলো তারা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ড্রেসিং রুমে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। জেমিসনের পুরো ওভার খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি প্রায় দুই বছর পর ফেরা কিপার-ব্যাটসম্যান।

পরের ওভারে অভিষিক্ত হাসান নাওয়াজকে ফেরান জ্যাকব ডাফি। হারিসের মতো নাওয়াজও শূন্য রানে আউট হন। এ নিয়ে স্রেফ দ্বিতীয়বার একই ম্যাচে খালি হাতে ফেরেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার।

এরপর আবার জেমিসনের তোপ। পরপর দুই ওভারে ইরফান খান ও শাদাব খানকে ফেরান তিনি। মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।

সফরকারীদের বিপদ বাড়তে পারত আরও। সপ্তম ওভারে ব্রেসওয়েলের বলে খুশদিল শাহর ক্যাচ ছেড়ে দেন টিম সাইফার্ট। পরের ওভারে স্লিপে সালমানের ক্যাচ নিতে পারেননি ড্যারিল মিচেল।

জীবন পেয়ে সালমান ও খুশদিল মিলে গড়ে তোলেন ৪৬ রানের জুটি। প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিলেও দলকে শক্ত অবস্থানে নিতে পারেননি তারা। দ্বাদশ ওভারে সোধির বলে ক্যাচ আউট হন ২০ বলে ১৮ রান করা সালমান।
পরের ওভারে ডাফির বলে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন দলের সর্বোচ্চ ৩২ রান করা খুশদিল। ৩০ বলের ইনিংসে ৩টি ছক্কা মারেন বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার।

শেষ দিকে জাহানদাদ খানের ১৭ রানের সৌজন্যে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর এড়িয়ে একশর কাছে যায় পাকিস্তান।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩ ওভার ৪ বলে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি। ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন কাইল জেমিসন। ২৭ রান খরচায় দুই উইকেট নেন ইশ সোধি। একটি উইকেট পান ফল্কস।

রান তাড়া করতে নেমে সেইফার্ট দেখেশুনে শুরু করেন। পরবর্তীতে আরেক ওপেনার অ্যালেনকে নিয়ে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারেই ৫৩ রান তোলেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের একমাত্র সান্ত্বনার উইকেট এনে দেন আবরার আহমেদ। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে সেইফার্ট ২৯ বলে ৪৪ রান করেন। ৩৯ রানের জুটি গড়ে এরপর জয় নিশ্চিত করেন অ্যালেন-রবিনসন। অ্যালেন ১৭ বলে ২৯ এবং রবিনসন করেন ১৮ রান।

এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। আগামী ১৮ মার্চ দ্বিতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে দুই দল।