Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার, সবাই বুঝলেও সরকার বোঝে না : দুদু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৯১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে যে সংকট তৈরি হয়েছে এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার এ বিষয়টি সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে কিন্তু সরকার বুঝতে পারছে না। সরকার বুঝলেও তা করছে না।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই সরকার গঠন হয়েছে সাত মাস চলে। এই সাত মাসে কোনো সংস্কার তারা করতে পারেনি। এমনকি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে রকম ছিল এখনো সে রকম আছে।

তিনি বলেন, হাসিনার আমলে মামলা হয়েছে। গুম-খুন হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। ৬০ লাখ মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলো এই সরকার এখনো প্রত্যাহার করেনি। হাসিনার সঙ্গে এই সরকারের যে পার্থক্য থাকার কথা। মামলা প্রত্যাহার না করার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যায়। হাসিনার একটি কাজের স্বীকৃতি এ সরকার পরোক্ষভাবে হলেও দিয়েছে। আমরা এটা প্রত্যাশা করিনি। ড. ইউনূসের নামে যে মামলাগুলো ছিল তিনি ক্ষমতায় আসার পরে সবগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অন্যায়ভাবে তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করেছে ঠিক আছে। কিন্তু গত ১৬ থেকে ১৭ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। যার জন্য অত্যাচারিত হয়েছে। গুম,খুন হয়েছে তেমনি মামলার শিকার হয়েছে সেই মামলা প্রত্যাহার করার উচিত ছিল।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, হাসিনার আমলে গুম-খুন হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। আইন-আদালত ব্যবহার করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য নিষিদ্ধ করেছিল। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছিল। সেই সময়েও আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু ছিল না। এখনো মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পায়। কোনো নির্জন জায়গায় একা গেলে তার ওপর গুলি করা হচ্ছে, ছিনতাই করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার আমল এবং বর্তমান আমল আমি পার্থক্য করতে পারছি না। তাই সরকারকে বলবো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার জন্য। যদি না করতে পারে তাহলে এখনো তাদের যে জনপ্রিয়তা আছে তা শূন্যের কোঠায় নেমে যাবে।

তিনি বলেন, সরকারের প্রতি এদেশের জনগণ ভালোবাসা ও সমর্থন জানায়। কিন্তু কাজের কাজ না করলে মানুষ সমর্থন প্রত্যাহার করতে বিন্দু পরিমাণ সময় নেবে না। সেই জন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপদে যাতে চলতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সীমান্তে পার্শ্ববর্তী দেশ অতীতে যেমন বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করতো এখনো করছে। কিন্তু সরকার এর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতা চাই না। সবার সঙ্গেই বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু ফারাক্কায় পানি নেই, তিস্তায় পানি নেই। এর ব্যবস্থা করতে হবে। যদি এর ব্যবস্থা সরকার করতে না পারেন, তাহলে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। যে দল ক্ষমতায় আসবে তারা এর ব্যবস্থা করবে।

আয়োজক কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবউদ্দৌলা, সাবেক কৃষক নেতা এসকে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমুসহ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাদ্রিদ অধ্যায় শেষ করে মদ্রিচ এখন ইতালির ক্লাবে

দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার, সবাই বুঝলেও সরকার বোঝে না : দুদু

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে যে সংকট তৈরি হয়েছে এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার এ বিষয়টি সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে কিন্তু সরকার বুঝতে পারছে না। সরকার বুঝলেও তা করছে না।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই সরকার গঠন হয়েছে সাত মাস চলে। এই সাত মাসে কোনো সংস্কার তারা করতে পারেনি। এমনকি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে রকম ছিল এখনো সে রকম আছে।

তিনি বলেন, হাসিনার আমলে মামলা হয়েছে। গুম-খুন হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। ৬০ লাখ মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলো এই সরকার এখনো প্রত্যাহার করেনি। হাসিনার সঙ্গে এই সরকারের যে পার্থক্য থাকার কথা। মামলা প্রত্যাহার না করার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যায়। হাসিনার একটি কাজের স্বীকৃতি এ সরকার পরোক্ষভাবে হলেও দিয়েছে। আমরা এটা প্রত্যাশা করিনি। ড. ইউনূসের নামে যে মামলাগুলো ছিল তিনি ক্ষমতায় আসার পরে সবগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অন্যায়ভাবে তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করেছে ঠিক আছে। কিন্তু গত ১৬ থেকে ১৭ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। যার জন্য অত্যাচারিত হয়েছে। গুম,খুন হয়েছে তেমনি মামলার শিকার হয়েছে সেই মামলা প্রত্যাহার করার উচিত ছিল।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, হাসিনার আমলে গুম-খুন হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। আইন-আদালত ব্যবহার করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য নিষিদ্ধ করেছিল। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছিল। সেই সময়েও আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু ছিল না। এখনো মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পায়। কোনো নির্জন জায়গায় একা গেলে তার ওপর গুলি করা হচ্ছে, ছিনতাই করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার আমল এবং বর্তমান আমল আমি পার্থক্য করতে পারছি না। তাই সরকারকে বলবো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার জন্য। যদি না করতে পারে তাহলে এখনো তাদের যে জনপ্রিয়তা আছে তা শূন্যের কোঠায় নেমে যাবে।

তিনি বলেন, সরকারের প্রতি এদেশের জনগণ ভালোবাসা ও সমর্থন জানায়। কিন্তু কাজের কাজ না করলে মানুষ সমর্থন প্রত্যাহার করতে বিন্দু পরিমাণ সময় নেবে না। সেই জন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপদে যাতে চলতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সীমান্তে পার্শ্ববর্তী দেশ অতীতে যেমন বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করতো এখনো করছে। কিন্তু সরকার এর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতা চাই না। সবার সঙ্গেই বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু ফারাক্কায় পানি নেই, তিস্তায় পানি নেই। এর ব্যবস্থা করতে হবে। যদি এর ব্যবস্থা সরকার করতে না পারেন, তাহলে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। যে দল ক্ষমতায় আসবে তারা এর ব্যবস্থা করবে।

আয়োজক কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবউদ্দৌলা, সাবেক কৃষক নেতা এসকে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমুসহ প্রমুখ।