Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের নিবন্ধন বাতিল চান নুর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৯০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা (১৪ দলীয় জোট) যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সেজন্য তাদের নিবন্ধন বাতিল চান গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তবে এজন্য সরকারকে আগে দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার জন্য বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, নামসর্বস্ব পার্টি যারা নিবন্ধন নিয়েছে এবং আনুপাতিকভাবে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সেখানে কিন্তু সব দলের মার্কা থাকবে। নির্বাচন কমিশনের যে শর্ত আছে ১০০ উপজেলা এবং এক তৃতীয়াংশ জেলায় অফিস ও কমিটি থাকতে হবে। এটা যে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিপালন করছে না, তাদের নিবন্ধন স্থগিত করা উচিত। এতে নামসর্বস্ব বা কিংস পার্টির নিবন্ধন কিন্তু বাতিল হয়ে যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেই সিদ্ধান্ত অবশ্যই নির্বাচন কমিশন একা নিতে পারবে না। এজন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হতে হবে। সরকারেরও এখানে ভূমিকা নিতে হবে। ইতোমধ্যে সেই ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত মিটিংয়েও রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়েছে যে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। সেজন্য তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে কমিশন। এছাড়া ভূঁইফোড় ও কিংস পার্টির হালনাগাদ তথ্য নিয়ে নিবন্ধন স্থগিত তারা করতে পারে।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আগামী নির্বাচনে আমরা দলীয় মার্কায় অংশ নেব। একটা আলোচনা হচ্ছে সমমনা দল আমাদের নেতৃত্বে কাজ করবে। আগামীতে তাদের নিয়ে একটা জোট হতে পারে। আমরা কারো নেতৃত্বে কোনো জোটে যাচ্ছি না এটা পরিষ্কার। ছাত্ররা নতুন দল করছে। তাদের আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে তাদের সঙ্গে দল করা, তাদের সঙ্গে জোট করা এই সমস্ত আলোচনা নেই। কারণ, তারা এখনো দলই গঠন করে নাই।

তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন কমিশন একটা উদাহরণ হবে। এজন্য দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে বলেছি। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলেছি। এছাড়া যেহেতু একটা রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে এবং এটা এখন পপুলার ডিমান্ড তৈরি হয়েছে যে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ এবং দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। তাহলে তো নিবন্ধন অটোবাতিল হবে অবশ্যই। ইসি পরিষ্কারভাবে বলেছে যে, কোনোভাবেই রাজনৈতিক চাপে কিংবা দল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চান না। যেহেতু নিবন্ধন বাতিল করার আইন আছে, অনেক প্রক্রিয়া আছে, সরকার নির্বাহী আদেশে করতে পারে যেমন বিগত সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। আমাদের কাছে এই বিষয়ে মনে হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশনের চেয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক ঐকমত্য দুটোই হয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের নিষিদ্ধের প্রশ্নে। তবে ইসির প্রতি আমরা জোর দিয়েছি তারা যেন অন্তত কিংস পার্টিগুলোর নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করে।

নুর বলেন, জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তবে ছোট পরিসরে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হতে পারে। কেননা, জন্ম নিবন্ধনের মতো সেবা মানুষ পাচ্ছে না। একজন আমলা আর কতটুকুই করতে পারে। অন্তত সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলাগুলোর নির্বাচন আগে হতে পারে।

তিনি বলেন, দু’টো বিষয় কেন্দ্রিক আলোচনা করেছি। সংকটকালীন তারা দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের পারফরমেন্সের ওপরে জাতির আগামীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। এখন আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রস্তুতি কেমন, কী কাজ করছে-বিশেষ করে অনেক দিন ধরেই প্রবাসীরা ভোট দেওয়ার অধিকার চাচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বলেছেন। তাই তাদের ভোটদানের সুযোগ নিশ্চিত করতে কমিশন কী কাজ করছে, এটা আদৌ সম্ভব কি-না ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে সেই আলোচনা হয়েছে। কমিশন বলেছে তারা চেষ্টা করছে।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য একটা দক্ষ প্রশাসন দরকার। গত ১৬ বছরের যে প্রশাসন কারচুপির নির্বাচন করেছে, তাদের দ্বারা কী করে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আগে বলতো আওয়ামী চেতনার উদ্বুদ্ধ। এখন কেউ বলছে গণ অধিকার পরিষদের লোক, কেউ বলে বিএনপির লোক, কেউ বলে জামায়াতের লোক। আবার কেউ বলে আমরা ছাত্রদের প্রতিনিধি। কাজেই এখনকার প্রশাসনের মধ্যেও যদি এই রাজনৈতিক মনোভাব থাকে, তাহলে তো নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। তাই পরিষ্কারভাবে আমরা বলেছি যে, নির্বাচনে যে দায়িত্ব পালন করবেন-রিটারিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা। তারা যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকে; সেটা যেন কমিশন আগেভাগেই নিশ্চিত করেন। বিতর্কিত নির্বাচনে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র যে ব্যবস্থা নেবে, তা রাষ্ট্র নেবে।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, তাদের অনেকে বহাল তবিয়তে আছে। অনেককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। অনেক কিন্তু তলে তলে সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। কাজেই সে থাকে কে থাকে তারা তো বুঝবে না। কিন্তু আমার পরিষ্কারভাবে বলেছি তারা যেন নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকে। দলগুলোর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে কিংবা রাজনতিক অঙ্গনেও এই আলোচনা চলছে যে স্থানীয় নির্বাচনগুলো আগে হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যেহেতু স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, তারা কারো নির্দেশনায় নির্বাচন করবেন না। তবে তারা যেহেতু সংকটকালীন দায়িত্ব নিয়েছে, একটা অর্থবহ নির্বাচনের জন্য সেখানে রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি। প্রধান উপদেষ্টা সম্ভাব্য যেটা দিয়েছেন, সেটাকে সামনে রেখেই তারা একটা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঐকমত্য যদি স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয় তাহলে তারা বিবেচনা করবেন। যদি ঐকমত্য না হয়, তারা তো তা করতে পারবেন না।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের নিবন্ধন বাতিল চান নুর

প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা (১৪ দলীয় জোট) যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সেজন্য তাদের নিবন্ধন বাতিল চান গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তবে এজন্য সরকারকে আগে দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার জন্য বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, নামসর্বস্ব পার্টি যারা নিবন্ধন নিয়েছে এবং আনুপাতিকভাবে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সেখানে কিন্তু সব দলের মার্কা থাকবে। নির্বাচন কমিশনের যে শর্ত আছে ১০০ উপজেলা এবং এক তৃতীয়াংশ জেলায় অফিস ও কমিটি থাকতে হবে। এটা যে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিপালন করছে না, তাদের নিবন্ধন স্থগিত করা উচিত। এতে নামসর্বস্ব বা কিংস পার্টির নিবন্ধন কিন্তু বাতিল হয়ে যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেই সিদ্ধান্ত অবশ্যই নির্বাচন কমিশন একা নিতে পারবে না। এজন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হতে হবে। সরকারেরও এখানে ভূমিকা নিতে হবে। ইতোমধ্যে সেই ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত মিটিংয়েও রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়েছে যে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। সেজন্য তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে কমিশন। এছাড়া ভূঁইফোড় ও কিংস পার্টির হালনাগাদ তথ্য নিয়ে নিবন্ধন স্থগিত তারা করতে পারে।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আগামী নির্বাচনে আমরা দলীয় মার্কায় অংশ নেব। একটা আলোচনা হচ্ছে সমমনা দল আমাদের নেতৃত্বে কাজ করবে। আগামীতে তাদের নিয়ে একটা জোট হতে পারে। আমরা কারো নেতৃত্বে কোনো জোটে যাচ্ছি না এটা পরিষ্কার। ছাত্ররা নতুন দল করছে। তাদের আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে তাদের সঙ্গে দল করা, তাদের সঙ্গে জোট করা এই সমস্ত আলোচনা নেই। কারণ, তারা এখনো দলই গঠন করে নাই।

তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন কমিশন একটা উদাহরণ হবে। এজন্য দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে বলেছি। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলেছি। এছাড়া যেহেতু একটা রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে এবং এটা এখন পপুলার ডিমান্ড তৈরি হয়েছে যে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ এবং দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। তাহলে তো নিবন্ধন অটোবাতিল হবে অবশ্যই। ইসি পরিষ্কারভাবে বলেছে যে, কোনোভাবেই রাজনৈতিক চাপে কিংবা দল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চান না। যেহেতু নিবন্ধন বাতিল করার আইন আছে, অনেক প্রক্রিয়া আছে, সরকার নির্বাহী আদেশে করতে পারে যেমন বিগত সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। আমাদের কাছে এই বিষয়ে মনে হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশনের চেয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক ঐকমত্য দুটোই হয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের নিষিদ্ধের প্রশ্নে। তবে ইসির প্রতি আমরা জোর দিয়েছি তারা যেন অন্তত কিংস পার্টিগুলোর নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করে।

নুর বলেন, জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তবে ছোট পরিসরে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হতে পারে। কেননা, জন্ম নিবন্ধনের মতো সেবা মানুষ পাচ্ছে না। একজন আমলা আর কতটুকুই করতে পারে। অন্তত সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলাগুলোর নির্বাচন আগে হতে পারে।

তিনি বলেন, দু’টো বিষয় কেন্দ্রিক আলোচনা করেছি। সংকটকালীন তারা দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের পারফরমেন্সের ওপরে জাতির আগামীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। এখন আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রস্তুতি কেমন, কী কাজ করছে-বিশেষ করে অনেক দিন ধরেই প্রবাসীরা ভোট দেওয়ার অধিকার চাচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বলেছেন। তাই তাদের ভোটদানের সুযোগ নিশ্চিত করতে কমিশন কী কাজ করছে, এটা আদৌ সম্ভব কি-না ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে সেই আলোচনা হয়েছে। কমিশন বলেছে তারা চেষ্টা করছে।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য একটা দক্ষ প্রশাসন দরকার। গত ১৬ বছরের যে প্রশাসন কারচুপির নির্বাচন করেছে, তাদের দ্বারা কী করে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আগে বলতো আওয়ামী চেতনার উদ্বুদ্ধ। এখন কেউ বলছে গণ অধিকার পরিষদের লোক, কেউ বলে বিএনপির লোক, কেউ বলে জামায়াতের লোক। আবার কেউ বলে আমরা ছাত্রদের প্রতিনিধি। কাজেই এখনকার প্রশাসনের মধ্যেও যদি এই রাজনৈতিক মনোভাব থাকে, তাহলে তো নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। তাই পরিষ্কারভাবে আমরা বলেছি যে, নির্বাচনে যে দায়িত্ব পালন করবেন-রিটারিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা। তারা যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকে; সেটা যেন কমিশন আগেভাগেই নিশ্চিত করেন। বিতর্কিত নির্বাচনে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র যে ব্যবস্থা নেবে, তা রাষ্ট্র নেবে।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, তাদের অনেকে বহাল তবিয়তে আছে। অনেককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। অনেক কিন্তু তলে তলে সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। কাজেই সে থাকে কে থাকে তারা তো বুঝবে না। কিন্তু আমার পরিষ্কারভাবে বলেছি তারা যেন নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকে। দলগুলোর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে কিংবা রাজনতিক অঙ্গনেও এই আলোচনা চলছে যে স্থানীয় নির্বাচনগুলো আগে হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যেহেতু স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, তারা কারো নির্দেশনায় নির্বাচন করবেন না। তবে তারা যেহেতু সংকটকালীন দায়িত্ব নিয়েছে, একটা অর্থবহ নির্বাচনের জন্য সেখানে রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি। প্রধান উপদেষ্টা সম্ভাব্য যেটা দিয়েছেন, সেটাকে সামনে রেখেই তারা একটা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঐকমত্য যদি স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয় তাহলে তারা বিবেচনা করবেন। যদি ঐকমত্য না হয়, তারা তো তা করতে পারবেন না।