Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আত্মীয়ের বাসা থেকে সাবেক আইজিপি শহিদুল হকের দুই বস্তা নথিপত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হকের কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের দুই বস্তা আলামত জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে শহিদুলের আত্মীয়ের বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে ওইসব নথি উদ্ধার করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ টিমের সদস্যরা।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুদকের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দুদক জানায়, শহিদুল হকের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এ কার্যক্রমের এক পর্যায়ে দুদক গোয়েন্দা তথ্য পায়- শহিদুল হক তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য সম্বলিত নথিপত্র দু’টি বস্তায় ভরে নিজের একজন নিকট আত্মীয়ের কাছে রেখেছেন।

গোয়েন্দা তথ্যে আরও জানা যায়, নথিপত্রগুলো গোপন রাখার জন্য সেই আত্মীয় অপর এক আত্মীয়ের বাসায় পাঠান। এ সব নথিপত্রে শহিদুল হকের বেআইনিভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম শহিদুল হকের আত্মীয়ে বাড়িকে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তল্লাশিকালে দুইটি বস্তায় মোট ৩৮ প্রকৃতির ৪৮টি আলামত পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে বিপুল মূল্যমানের সম্পদের দলিল, বিভিন্ন গোপনীয় চুক্তিপত্র, ডিড অব এগ্রিমেন্ট, পাওয়ার অব অ্যাটর্নী, সংঘ স্মারকের ছায়ালিপি, অফার লেটার, ব্যাংক হিসাব বিবরণী ইত্যাদি।

প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদের এ তথ্য অনুসন্ধান কার্যক্রমে সহায়ক হবে বিবেচনায় কমিশনের কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় আলামতগুলো জব্দ করে।

দুদক জানায়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হক অসাধু পন্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন এ অভিযোগে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান। অনুসন্ধান কার্যক্রমের এক পর্যায়ে দুদক গোয়েন্দা তথ্য পায় যে, শহিদুল হক তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য সম্বলিত নথিপত্র তার একজন নিকট আত্মীয়ের কাছে দুটি বস্তায় ভরে পাঠিয়েছেন। গোয়েন্দা তথ্যে আরও জানা যায় যে, নথিপত্রসমূহ গোপন রাখার জন্য এক আত্মীয়ের কাছ থেকে আরেক আত্মীয়ের বাসায় পাঠানো হয়। এ সব নথিপত্রে শহিদুল হকের বেআইনিভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে শহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

এর আগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হক ও তার স্ত্রী-সন্তান এবং তাদের নিয়ন্ত্রাণাধীন ফাউন্ডেশনের নামে ৭২টি ব্যাংক হিসাবে ৫৬০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পায় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। যার প্রতিবেদন দুদকে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

আত্মীয়ের বাসা থেকে সাবেক আইজিপি শহিদুল হকের দুই বস্তা নথিপত্র উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০২:৪১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হকের কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের দুই বস্তা আলামত জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে শহিদুলের আত্মীয়ের বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে ওইসব নথি উদ্ধার করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ টিমের সদস্যরা।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুদকের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দুদক জানায়, শহিদুল হকের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এ কার্যক্রমের এক পর্যায়ে দুদক গোয়েন্দা তথ্য পায়- শহিদুল হক তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য সম্বলিত নথিপত্র দু’টি বস্তায় ভরে নিজের একজন নিকট আত্মীয়ের কাছে রেখেছেন।

গোয়েন্দা তথ্যে আরও জানা যায়, নথিপত্রগুলো গোপন রাখার জন্য সেই আত্মীয় অপর এক আত্মীয়ের বাসায় পাঠান। এ সব নথিপত্রে শহিদুল হকের বেআইনিভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম শহিদুল হকের আত্মীয়ে বাড়িকে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তল্লাশিকালে দুইটি বস্তায় মোট ৩৮ প্রকৃতির ৪৮টি আলামত পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে বিপুল মূল্যমানের সম্পদের দলিল, বিভিন্ন গোপনীয় চুক্তিপত্র, ডিড অব এগ্রিমেন্ট, পাওয়ার অব অ্যাটর্নী, সংঘ স্মারকের ছায়ালিপি, অফার লেটার, ব্যাংক হিসাব বিবরণী ইত্যাদি।

প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদের এ তথ্য অনুসন্ধান কার্যক্রমে সহায়ক হবে বিবেচনায় কমিশনের কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় আলামতগুলো জব্দ করে।

দুদক জানায়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হক অসাধু পন্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন এ অভিযোগে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান। অনুসন্ধান কার্যক্রমের এক পর্যায়ে দুদক গোয়েন্দা তথ্য পায় যে, শহিদুল হক তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য সম্বলিত নথিপত্র তার একজন নিকট আত্মীয়ের কাছে দুটি বস্তায় ভরে পাঠিয়েছেন। গোয়েন্দা তথ্যে আরও জানা যায় যে, নথিপত্রসমূহ গোপন রাখার জন্য এক আত্মীয়ের কাছ থেকে আরেক আত্মীয়ের বাসায় পাঠানো হয়। এ সব নথিপত্রে শহিদুল হকের বেআইনিভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে শহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

এর আগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হক ও তার স্ত্রী-সন্তান এবং তাদের নিয়ন্ত্রাণাধীন ফাউন্ডেশনের নামে ৭২টি ব্যাংক হিসাবে ৫৬০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পায় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। যার প্রতিবেদন দুদকে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।