Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিটাগংকে কাঁদিয়ে বিপিএলের টানা দ্বিতীয় শিরোপা বরিশালের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিপিএলের গত আসরে কুমিল্লাকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিল ফরচুন বরিশাল। তাই এবারের আসরে মাঠে নামার আগে তাদের চ্যালেঞ্জ ছিল শিরোপা ধরে রাখা। যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছে তামিম-মাহমদুউল্লাহরা। ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে দক্ষিণবঙ্গের দলটি।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিটাগাং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। চিটাগাংয়ের করা ১৯৪ রানের পুঁজি ৩ বল আগে পেরিয়ে জিতেছে তারা। বিপিএলের ফাইনালে এটাই রেকর্ড রান তাড়ার জয়।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তোলে বরিশাল। ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম।

নবম ওভারে শরিফুলের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মিথুন। এই ওভারের জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগংকে খেলা ফেরান এই বাঁহাতি পেসার। ২৯ বলে ৫৪ রান করে ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ আউট হন তামিম। দুই বল পরে ডেভিড মালানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল।

এতে দলীয় ৭৮ রানে দুই উইকেট হারায় বরিশাল। এরপর মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন হৃদয়। কিন্তু ১১তম ওভারে নাঈমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই তরুণ ব্যাটার। এরপর বলে বলে বাউন্ডারি মেরে বরিশালকে এগিয়ে নিতে থাকেন কাইল মায়ার্স।

কিন্তু ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে মায়ার্সকে সাজঘরে পথ দেখান শরিফুল। ২৮ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। এক বল পরে কট আউট হন মাহমুদউল্লাহ। এতে শেষ ১২ বলে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ রান। ১৯তম ওভারে ১২ রান তোলে বরিশাল। এতে ৬ বলে বরিশালে দরকার ছিল ৮ রান। ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান রিশাদ। পরে বলে সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচ ড্র করেন তিনি। তৃতীয় বলটি ওয়াইট করলে জয়ের উল্লাসে ভাসে বরিশাল।

চিটাগংয়ের হয়ে সর্ব্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়াও নাঈম হাসান দুটি ও বিনুরা ফার্নান্দো এক উইকেট শিকার করেন তিনি।

এর আগে বিপিএল ফাইনালে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মিরপুরে দিনে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছিলেন বোলাররা। সেই সুযোগটাই নিতে চেয়েছেন তামিম।

কিন্তু চিটাগংয়ের তরুণ ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন তামিমের এই পরিকল্পনাকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছেন। শুরু থেকেই মেরে খেলেছেন ইমন। পাকিস্তানি ব্যাটার খাওয়াজা নাফি তাকে সঙ্গ দিয়েছেন দারুণভাবে। ১২.৪ ওভারে গিয়ে ভেঙেছে চিটাগংয়ের ওপেনিং জুটি। তার আগে ১২১ রান তুলেছেন দুজন।

খাওয়াজা ৪৪ বলে ৭টি চার ৩টি ছয়ে ৬৬ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। ফর্মে থাকা গ্রাহাম ক্লার্ক তিনে নেমে খাওয়াজার বিদায়টা বুঝতেই দেননি! ক্রিজে নেমেই মেরে খেলেছেন ইংলিশ ব্যাটার। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে। সেই চোট নিয়ে দৌড়াতে পারছিলেন না বলেই রান আউট হয়েছেন। তার আগে ২৩ বলে ২টি চার ৩টি ছয়ে ৪৪ রান করেছেন ক্লার্ক।

ইমন অপরাজিত ছিলেন শেষ অবদি। ৪৯ বল খেলে ৬টি চার ৪টি ছয়ে ৭৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানে থেমেছে চিটাগং। বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ইবাদত হোসেন ও মোহাম্মদ আলি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চিটাগংকে কাঁদিয়ে বিপিএলের টানা দ্বিতীয় শিরোপা বরিশালের

প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিপিএলের গত আসরে কুমিল্লাকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিল ফরচুন বরিশাল। তাই এবারের আসরে মাঠে নামার আগে তাদের চ্যালেঞ্জ ছিল শিরোপা ধরে রাখা। যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছে তামিম-মাহমদুউল্লাহরা। ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে দক্ষিণবঙ্গের দলটি।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিটাগাং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। চিটাগাংয়ের করা ১৯৪ রানের পুঁজি ৩ বল আগে পেরিয়ে জিতেছে তারা। বিপিএলের ফাইনালে এটাই রেকর্ড রান তাড়ার জয়।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তোলে বরিশাল। ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম।

নবম ওভারে শরিফুলের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মিথুন। এই ওভারের জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগংকে খেলা ফেরান এই বাঁহাতি পেসার। ২৯ বলে ৫৪ রান করে ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ আউট হন তামিম। দুই বল পরে ডেভিড মালানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল।

এতে দলীয় ৭৮ রানে দুই উইকেট হারায় বরিশাল। এরপর মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন হৃদয়। কিন্তু ১১তম ওভারে নাঈমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই তরুণ ব্যাটার। এরপর বলে বলে বাউন্ডারি মেরে বরিশালকে এগিয়ে নিতে থাকেন কাইল মায়ার্স।

কিন্তু ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে মায়ার্সকে সাজঘরে পথ দেখান শরিফুল। ২৮ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। এক বল পরে কট আউট হন মাহমুদউল্লাহ। এতে শেষ ১২ বলে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ রান। ১৯তম ওভারে ১২ রান তোলে বরিশাল। এতে ৬ বলে বরিশালে দরকার ছিল ৮ রান। ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান রিশাদ। পরে বলে সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচ ড্র করেন তিনি। তৃতীয় বলটি ওয়াইট করলে জয়ের উল্লাসে ভাসে বরিশাল।

চিটাগংয়ের হয়ে সর্ব্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়াও নাঈম হাসান দুটি ও বিনুরা ফার্নান্দো এক উইকেট শিকার করেন তিনি।

এর আগে বিপিএল ফাইনালে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মিরপুরে দিনে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছিলেন বোলাররা। সেই সুযোগটাই নিতে চেয়েছেন তামিম।

কিন্তু চিটাগংয়ের তরুণ ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন তামিমের এই পরিকল্পনাকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছেন। শুরু থেকেই মেরে খেলেছেন ইমন। পাকিস্তানি ব্যাটার খাওয়াজা নাফি তাকে সঙ্গ দিয়েছেন দারুণভাবে। ১২.৪ ওভারে গিয়ে ভেঙেছে চিটাগংয়ের ওপেনিং জুটি। তার আগে ১২১ রান তুলেছেন দুজন।

খাওয়াজা ৪৪ বলে ৭টি চার ৩টি ছয়ে ৬৬ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। ফর্মে থাকা গ্রাহাম ক্লার্ক তিনে নেমে খাওয়াজার বিদায়টা বুঝতেই দেননি! ক্রিজে নেমেই মেরে খেলেছেন ইংলিশ ব্যাটার। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে। সেই চোট নিয়ে দৌড়াতে পারছিলেন না বলেই রান আউট হয়েছেন। তার আগে ২৩ বলে ২টি চার ৩টি ছয়ে ৪৪ রান করেছেন ক্লার্ক।

ইমন অপরাজিত ছিলেন শেষ অবদি। ৪৯ বল খেলে ৬টি চার ৪টি ছয়ে ৭৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানে থেমেছে চিটাগং। বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ইবাদত হোসেন ও মোহাম্মদ আলি।