Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩২ নম্বরের বাড়ি ৫ আগস্টেই ধূলিসাৎ করা উচিত ছিল : হাসনাত আবদুল্লাহ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোনো জাতীয় সম্পদের ক্ষতি না করার আহ্বান জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৩২ নম্বরের বাড়ি ৫ আগস্টেই ধূলিসাৎ করে দেওয়া উচিত ছিল। যেটা পরে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তার ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড আইডিতে এক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করা হয়নি আর ফ্যাসিবাদের প্রতীকগুলো রেখে দেওয়া হয়েছে। ধানমন্ডি ৩২টা ৫ আগস্টেই ধূলিসাৎ করে দেওয়া উচিত ছিল, যেটা পরবর্তীতে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছে।

৫ আগস্টের পর সবচেয়ে স্বাধীনতা ভোগ করছে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, তাদের কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমেন্টে হুমকি-ধমকির স্বাধীনতা উপভোগ করছে। তাদের মধ্যে কোনো ভয় ভীতি নেই। তারা এখনো হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে।

আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয় মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ফ্যাসিবাদী শক্তি। তাদের যেই ভিত্তি, এটা মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত। তাদের প্রচারণা ও মেনিফেস্টো হচ্ছে মিথ্যা। আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম সরি ফিলিংস নেই।

রাজণৈতিক দলগুলো নিয়ে হাসনাত বলেন, নির্যাতিত ও নিপীড়িত ছিল বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো, আর নির্যাতকের ভূমিকায় ছিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে যার নিপীড়িত, পরবর্তী বাংলাদেশটা আমাদের। আমারা যারা ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছি এই বাংলাদেশটা আমাদের।

এ সময় সচিব-আমলাদের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি বলেন, সচিবালয়ের গতি যেন ৩২ নম্বরের মতো না হয়, সচিবালয়ের গতি যেন গণভবনের মতো না হয়।

তিনি বলেন, আপনাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ। আপনারা জনগণের সেবা করতে আসছেন। আপনারা জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আপনারা রাজনৈতিক দলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না। এটা নিজের মধ্যে ধারণ করুন।

তাদের হুঁশিয়ার করে হাসনাত বলেন, আপনারা যদি মনে করেন সচিবালয়ে বসে, আপনারা ধানমন্ডির সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বিদ্যমান রাখবেন, তাহলে আওয়ামী লীগকে যেভাবে বাংলাদেশ থেকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হয়েছে, ঠিক একইভাবে আপনাদের অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হবে।

আমলা-সচিবদের পরামর্শ দিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জনগণের জন্য কাজ করুন, জনগণের শক্তি অনুধাবন করুন আমি খুব করে চাইব, ধানমন্ডি ৩২-এর পরিণতি যেন সচিবালয়ের না হয়, আমি এটা খুব করে চাইব, মন থেকে চাইব কোনো এক সময় হয়তো এই বছর না হোক, ১০ বছর পর হোক, ১৫ বছর পরে, ২০ বছর পরে সচিবালয়ের পরিণতি যেন গণভবনের মতো না হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও বলেন, সুতরাং শিক্ষা গ্রহণ করুন, ধানমন্ডি ৩২ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন, গণভবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।

আমলা ও পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক করে হাসনাত বলেন, সিভিল সোসাইটিতে যারা রয়েছেন, সিভিল সার্ভিসে যারা রয়েছেন, পুলিশে যারা রয়েছেন; আমরা আপনাদের এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই, মানুষ আপনাদের সমর্থন করবে। আওয়ামী লীগ আপনাদের নিয়োগ দিয়েছে, সুযোগ দিয়েছে, সুবিধা দিয়েছে; কিন্তু জনগণের বিপক্ষে আপনাদের দাঁড় করিয়েছে। জনগণের বিপক্ষে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই জিনিসটা আপনারা বুঝুন, জনগণের জন্য কাজ করুন, জনগণের শক্তিটা অনুভব করুন।

আপনারা যদি মনে করে থাকে আপনারা দুর্দান্ত প্রতাপশালী, আপনাদের বলি, বেনজীর পালায় যেতে বাধ্য হয়েছে। ডিবি হারুন পালাতে বাধ্য হয়েছে। কারণ তারা জনগণকে সাথে নিয়ে থাকেনি আওয়ামী লীগকে কিবলা মনে করেছিল।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের দখলদারিত্ব বুঝে নিন, এই ভূখণ্ডের দখলদারিত্ব বুঝে নিন। প্রজা না হয়ে নাগরিক হয়ে উঠুন, রাষ্ট্রের প্রতি আপনার যে অধিকার রয়েছে তা বুঝে নিন। অতীতে যেভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, ব্যবহৃত হয়েছেন সেটা পুনরাবৃত্তি যেনো না হয়। জনগণের ক্ষমতার কুক্ষিগত যেনো না হয়। গণতন্তের যে স্বপ্ন আমরা দেখেছি, এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে সেখানে পৌঁছে যাব। আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষোভকে পুঁজি করে সম্পদ দখল, ভূমি দখল; কেউ যেনো করতে না পারে- এটা নিশ্চিত করবেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৩২ নম্বরের বাড়ি ৫ আগস্টেই ধূলিসাৎ করা উচিত ছিল : হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোনো জাতীয় সম্পদের ক্ষতি না করার আহ্বান জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৩২ নম্বরের বাড়ি ৫ আগস্টেই ধূলিসাৎ করে দেওয়া উচিত ছিল। যেটা পরে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তার ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড আইডিতে এক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করা হয়নি আর ফ্যাসিবাদের প্রতীকগুলো রেখে দেওয়া হয়েছে। ধানমন্ডি ৩২টা ৫ আগস্টেই ধূলিসাৎ করে দেওয়া উচিত ছিল, যেটা পরবর্তীতে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছে।

৫ আগস্টের পর সবচেয়ে স্বাধীনতা ভোগ করছে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, তাদের কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমেন্টে হুমকি-ধমকির স্বাধীনতা উপভোগ করছে। তাদের মধ্যে কোনো ভয় ভীতি নেই। তারা এখনো হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে।

আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয় মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ফ্যাসিবাদী শক্তি। তাদের যেই ভিত্তি, এটা মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত। তাদের প্রচারণা ও মেনিফেস্টো হচ্ছে মিথ্যা। আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম সরি ফিলিংস নেই।

রাজণৈতিক দলগুলো নিয়ে হাসনাত বলেন, নির্যাতিত ও নিপীড়িত ছিল বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো, আর নির্যাতকের ভূমিকায় ছিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে যার নিপীড়িত, পরবর্তী বাংলাদেশটা আমাদের। আমারা যারা ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছি এই বাংলাদেশটা আমাদের।

এ সময় সচিব-আমলাদের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি বলেন, সচিবালয়ের গতি যেন ৩২ নম্বরের মতো না হয়, সচিবালয়ের গতি যেন গণভবনের মতো না হয়।

তিনি বলেন, আপনাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ। আপনারা জনগণের সেবা করতে আসছেন। আপনারা জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আপনারা রাজনৈতিক দলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না। এটা নিজের মধ্যে ধারণ করুন।

তাদের হুঁশিয়ার করে হাসনাত বলেন, আপনারা যদি মনে করেন সচিবালয়ে বসে, আপনারা ধানমন্ডির সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বিদ্যমান রাখবেন, তাহলে আওয়ামী লীগকে যেভাবে বাংলাদেশ থেকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হয়েছে, ঠিক একইভাবে আপনাদের অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হবে।

আমলা-সচিবদের পরামর্শ দিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জনগণের জন্য কাজ করুন, জনগণের শক্তি অনুধাবন করুন আমি খুব করে চাইব, ধানমন্ডি ৩২-এর পরিণতি যেন সচিবালয়ের না হয়, আমি এটা খুব করে চাইব, মন থেকে চাইব কোনো এক সময় হয়তো এই বছর না হোক, ১০ বছর পর হোক, ১৫ বছর পরে, ২০ বছর পরে সচিবালয়ের পরিণতি যেন গণভবনের মতো না হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও বলেন, সুতরাং শিক্ষা গ্রহণ করুন, ধানমন্ডি ৩২ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন, গণভবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।

আমলা ও পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক করে হাসনাত বলেন, সিভিল সোসাইটিতে যারা রয়েছেন, সিভিল সার্ভিসে যারা রয়েছেন, পুলিশে যারা রয়েছেন; আমরা আপনাদের এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই, মানুষ আপনাদের সমর্থন করবে। আওয়ামী লীগ আপনাদের নিয়োগ দিয়েছে, সুযোগ দিয়েছে, সুবিধা দিয়েছে; কিন্তু জনগণের বিপক্ষে আপনাদের দাঁড় করিয়েছে। জনগণের বিপক্ষে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই জিনিসটা আপনারা বুঝুন, জনগণের জন্য কাজ করুন, জনগণের শক্তিটা অনুভব করুন।

আপনারা যদি মনে করে থাকে আপনারা দুর্দান্ত প্রতাপশালী, আপনাদের বলি, বেনজীর পালায় যেতে বাধ্য হয়েছে। ডিবি হারুন পালাতে বাধ্য হয়েছে। কারণ তারা জনগণকে সাথে নিয়ে থাকেনি আওয়ামী লীগকে কিবলা মনে করেছিল।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের দখলদারিত্ব বুঝে নিন, এই ভূখণ্ডের দখলদারিত্ব বুঝে নিন। প্রজা না হয়ে নাগরিক হয়ে উঠুন, রাষ্ট্রের প্রতি আপনার যে অধিকার রয়েছে তা বুঝে নিন। অতীতে যেভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, ব্যবহৃত হয়েছেন সেটা পুনরাবৃত্তি যেনো না হয়। জনগণের ক্ষমতার কুক্ষিগত যেনো না হয়। গণতন্তের যে স্বপ্ন আমরা দেখেছি, এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে সেখানে পৌঁছে যাব। আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষোভকে পুঁজি করে সম্পদ দখল, ভূমি দখল; কেউ যেনো করতে না পারে- এটা নিশ্চিত করবেন।