Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কঙ্গোতে ১৬৭ নারী কারাবন্দিকে ধর্ষণ, পুড়িয়ে হত্যা : জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর গোমা শহরে জেল ভেঙে পালানোর সময় ১৬৭ জন নারী বন্দীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং তারপর জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার শহরের মুনজেনজে কারাগারে ঘটেছে এ ভয়াবহ ঘটনা। ওই দিনই গোমা দখল করে সরকারবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম ২৩। গোমার পতন হওয়ার পর মুনজেনজে কারাগার ভেঙে পালানো শুরু করেন কয়েদিরা। তবে এই কয়েদিদের একাংশ কারাগারের নারী সেলের দিকে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নারী কারাবন্দিদের ওপর। জাতিসংঘের এক অভ্যন্তরীণ নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে এসব তথ্য। সেই নথির একটি অনুলিপি বিবিসির সংগ্রহে রয়েছে। তবে বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘের এ তথ্য যাচাই করতে ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি পাঠানো সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে।

গোমা কঙ্গোর অন্যতম বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ শহর। এক ঝটিকা অভিযানে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অধ্যুষিত এই শহরটি দখল করে এম ২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধারা।

তারপর থেকেই চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে গোমায়। সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মধ্যে প্রায় বিরতিহীনভাবে গোলাগুলি চলছে এবং তার শিকার মূলত হচ্ছেন সাধারণ বেসামরিক মানুষ। সামাজিহক যোগাযোগামাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ফুটেজে গোমার বিভিন্ন সড়কে লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সেই সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ এবং বিভিন্ন বাড়িঘরে আগুন জ্বলতেও দেখা গেছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, গত তিন দিনের সংঘাতে গোমায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৯০০ জন। এদের মধ্যে ২ হাজার জনকে কবর দেওয়া হয়েছে এবং ৯০০ জন এখনও বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে আছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

কঙ্গোতে ১৬৭ নারী কারাবন্দিকে ধর্ষণ, পুড়িয়ে হত্যা : জাতিসংঘ

প্রকাশের সময় : ০২:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর গোমা শহরে জেল ভেঙে পালানোর সময় ১৬৭ জন নারী বন্দীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং তারপর জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার শহরের মুনজেনজে কারাগারে ঘটেছে এ ভয়াবহ ঘটনা। ওই দিনই গোমা দখল করে সরকারবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম ২৩। গোমার পতন হওয়ার পর মুনজেনজে কারাগার ভেঙে পালানো শুরু করেন কয়েদিরা। তবে এই কয়েদিদের একাংশ কারাগারের নারী সেলের দিকে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নারী কারাবন্দিদের ওপর। জাতিসংঘের এক অভ্যন্তরীণ নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে এসব তথ্য। সেই নথির একটি অনুলিপি বিবিসির সংগ্রহে রয়েছে। তবে বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘের এ তথ্য যাচাই করতে ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি পাঠানো সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে।

গোমা কঙ্গোর অন্যতম বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ শহর। এক ঝটিকা অভিযানে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অধ্যুষিত এই শহরটি দখল করে এম ২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধারা।

তারপর থেকেই চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে গোমায়। সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মধ্যে প্রায় বিরতিহীনভাবে গোলাগুলি চলছে এবং তার শিকার মূলত হচ্ছেন সাধারণ বেসামরিক মানুষ। সামাজিহক যোগাযোগামাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ফুটেজে গোমার বিভিন্ন সড়কে লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সেই সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ এবং বিভিন্ন বাড়িঘরে আগুন জ্বলতেও দেখা গেছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, গত তিন দিনের সংঘাতে গোমায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৯০০ জন। এদের মধ্যে ২ হাজার জনকে কবর দেওয়া হয়েছে এবং ৯০০ জন এখনও বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে আছেন।