স্পোর্টস ডেস্ক :
প্লে-অফ নিশ্চিত করতে হলে জয়ের কোনো বিকল্পই ছিল না খুলনা টাইগার্সের সামনে। এমন সমীকরণে জ্বলে উঠলেন দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। তাতেই দারুণ এক জয় পায় দলটি। একই সঙ্গে শেষ চারও নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের।
সেরা চারের টিকেট পেতে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না খুলনার। তাই প্লে-অফ শুরুর আগেই ম্যাচ দুটিকে ‘নকআউট’ ঘোষণা দিয়ে দেন অধিনায়ক মিরাজ। দুই নকআউট জিতেই দুর্বার রাজশাহীর বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিলেন তারা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গ্রুপ পর্বের শেষ দিনের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৩ রান করে ঢাকা। জবাবে ১৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে মিরাজের দল।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম। ৩ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গ দেন আফিফও। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান মিরাজ।
৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি অলরাউন্ডার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অ্যালেক্স রোস। ১৯ বলে ২২ রান করে রোস আউট হলে মিরাজকে সঙ্গ দেন বোসিস্টো। ২০ বলে ১৮ রান করে এই অজি ব্যাটার আউট হলেও মিরাজের ৫৫ বলের অপরাজিত ৭৪ রানে ভর করে ১৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় খুলনা।
ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়াও এক উইকেট নেন রহমত আলী।
এর আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকার ইনিংসে একমাত্র তানজিদ তামিমের ৫৮ রানের ইনিংস ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। পাওয়ারপ্লেতে ছয় ছক্কা মেরে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দারুণ কিছুর। সেই ছয় ছক্কার প্রথম তিনটিই মেরেছেন নাসুম আহমেদের করা প্রথম ওভারে। এরপর চতুর্থ ওভারের শেষ দুই বলে মেরেছেন টানা দুটো ছক্কা মেরেছেন পেসার মুশফিক হাসানকে। ঢাকার ব্যাটিং আজ একাই টেনেছেন তানজিদ। পাওয়ারপ্লেতে ঢাকার তোলা ৫৮ রানের অর্ধেকের বেশিই এসেছে এই বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে।
ঢাকার ব্যাটিংকে তাই ভাগ করা যায়, তানজিদ আউট হওয়ার আগে ও পরে; এমন বিভাজনে। দলীয় ৮২ রানের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছিলেন তিনি। এরপর বাকিরা মিলে তুলেছেন মাত্র ৪১ রান। অবশ্য সেখানে খুলনার বোলারদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে। মেইডেন ওভার দিয়ে বোলিং শুরু করা হাসান মাহমুদ নিজের স্পেল শেষ করেছেন মাত্র ৫ রান খরচ করে, উইকেট নিয়েছেন দুটো। অফস্পিনার উইল বোসিস্টোও আজ কিপ্টে বোলিং করেছেন, চার ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রানের ইনিংস খেলা সাব্বির রহমান ছিলেন আশার আলো হয়ে, তাতে যদি স্কোরবোর্ডটা একটু সুশ্রী দেখায়, সেটাও হলো না ঠিকঠাক। টপ-মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে ব্যতিক্রম হয়ে রইলেন একমাত্র তানজিদই। এর আগে লিটন দাস, হাবিবুর সোহান, থিসারা পেরেরাও আজ ব্যর্থ।