Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল চিটাগং

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ম্যাচ তখন চিটাগং কিংসের দিকেই হেলে। তবু রংপুর রাইডার্সও ছিল লড়াইয়ে। চিটাগংয়ের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হায়দার আলির উইকেট নিতে পারলে ম্যাচ জমিয়ে তুলতে পারত রংপুর। কিন্তু সেই সুযোগই দিলেন না হায়দার। পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান প্রতিপক্ষের সেরা বোলার ও স্বদেশি পেসার আকিফ জাভেদের বলে টানা চার ছক্কায় শেষ করে দিলেন। ৫ উইকেটের জয়ে প্লে-অফের একদম কাছাকাছি পৌঁছে গেল চিটাগং।

ম্যাচের আগের দিন রংপুরের কোচ মিকি আর্থার বলেছিলেন, হারানো মোমেন্টাম খুঁজছেন তারা। তার দল সেটি খুঁজে পেল না এই ম্যাচেও। টানা আট জয়ে প্লে অফে পৌঁছে যাওয়া দল এবার হেরে গেল টানা তিন ম্যাচে। চট্টগ্রাম পর্বের পর এক সপ্তাহের বিরতি দিয়ে খেলতে নামা চিটাগং কিংস ঠিকই মোমেন্টাম পেয়ে গেল দারুণ জয়ে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে কার্যকর বোলিংয়ে রংপুরকে ১৪৩ রানে আটকে রেখে চিটাগং জিতে যায় ১৪ বল বাকি রেখে। ছয় ছক্কায় ১৮ বলে ৪৮ রানের ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হায়দার আলি।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের ১২ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লাহিরু মিলানথা। এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি গ্রাহাম ক্লার্কও। ১২ বলে ১৫ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি।

তবে পারভেজ ইমনকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন মিথুন। কিন্তু ১৫ বলে ২০ রান করে আউট হন তিনি। এরপর বলে বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন হায়দার আলী। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ইমন। ৪৩ বলে ৪১ রান করে ১৬তম ওভারে ক্যাচ আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

এতে ২৪ বলে চিটাগং কিংসের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ রান। ২ বলে ৮ রান করে রান আউট হন শামিম। তবে ১৮তম ওভারে চার বলে চার ছক্কার হাঁকিয়ে চিটাগংকে জয় উপহার দেন হায়দার আলী। ১৮ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।

রংপুরের হয়ে আকিভ জাভেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর। ওপেনিংয়ে নামা রংপুরের স্টিভেন টেলর রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়লে দলের হাল ধরেন লম্বা সময়ের চোট কাটিয়ে ওঠা সৌম্য সরকার। ছক্কা আর চারের মিতালিতে দলের সংগ্রহ বাড়াতে থাকেন তিনি। তবে ৩ ওভারের শুরুতে খালেদ আহমেদের বলে মিথুনের হাতে তালুবন্ধী হয়ে ৮ রান করে মাঠে ছাড়েন সাইফ হাসান। সৌম্যকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন ইফতেখার আহমেদ।

তাতে সৌম্য-ইফতেখার দেখে-শুনে এগোতে থাকেন। কিন্তু ৫ ওভারের মাঝোমাঝিতে শরীফুল ইসলামের বলে ১৭ বলের ২৩ রানের দারুণ ইনিংসের ইতি টানতে হয় সৌম্যকে। তিনি ফিরলে সাজঘরে ফেরার তাড়া শুরু হয় রংপুরের শিবিরে। শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান ২২ গজে কিছু সময় থিতু হতে পারেন। ৪৭ বলে ৬৫ রানের জড়ো ইনিংস উপহার দেন ইফতেখার আহমেদ। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার চোখজুড়ানো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। মেহেদী ২০ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাতে শেষপর্যন্ত ১৪৪ রানের মাঝারি পুজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর।

চিটাগং কিংসের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন খালেদ আহমেদ। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম ও শামিম হোসেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল চিটাগং

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ম্যাচ তখন চিটাগং কিংসের দিকেই হেলে। তবু রংপুর রাইডার্সও ছিল লড়াইয়ে। চিটাগংয়ের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হায়দার আলির উইকেট নিতে পারলে ম্যাচ জমিয়ে তুলতে পারত রংপুর। কিন্তু সেই সুযোগই দিলেন না হায়দার। পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান প্রতিপক্ষের সেরা বোলার ও স্বদেশি পেসার আকিফ জাভেদের বলে টানা চার ছক্কায় শেষ করে দিলেন। ৫ উইকেটের জয়ে প্লে-অফের একদম কাছাকাছি পৌঁছে গেল চিটাগং।

ম্যাচের আগের দিন রংপুরের কোচ মিকি আর্থার বলেছিলেন, হারানো মোমেন্টাম খুঁজছেন তারা। তার দল সেটি খুঁজে পেল না এই ম্যাচেও। টানা আট জয়ে প্লে অফে পৌঁছে যাওয়া দল এবার হেরে গেল টানা তিন ম্যাচে। চট্টগ্রাম পর্বের পর এক সপ্তাহের বিরতি দিয়ে খেলতে নামা চিটাগং কিংস ঠিকই মোমেন্টাম পেয়ে গেল দারুণ জয়ে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে কার্যকর বোলিংয়ে রংপুরকে ১৪৩ রানে আটকে রেখে চিটাগং জিতে যায় ১৪ বল বাকি রেখে। ছয় ছক্কায় ১৮ বলে ৪৮ রানের ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হায়দার আলি।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের ১২ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লাহিরু মিলানথা। এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি গ্রাহাম ক্লার্কও। ১২ বলে ১৫ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি।

তবে পারভেজ ইমনকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন মিথুন। কিন্তু ১৫ বলে ২০ রান করে আউট হন তিনি। এরপর বলে বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন হায়দার আলী। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ইমন। ৪৩ বলে ৪১ রান করে ১৬তম ওভারে ক্যাচ আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

এতে ২৪ বলে চিটাগং কিংসের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ রান। ২ বলে ৮ রান করে রান আউট হন শামিম। তবে ১৮তম ওভারে চার বলে চার ছক্কার হাঁকিয়ে চিটাগংকে জয় উপহার দেন হায়দার আলী। ১৮ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।

রংপুরের হয়ে আকিভ জাভেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর। ওপেনিংয়ে নামা রংপুরের স্টিভেন টেলর রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়লে দলের হাল ধরেন লম্বা সময়ের চোট কাটিয়ে ওঠা সৌম্য সরকার। ছক্কা আর চারের মিতালিতে দলের সংগ্রহ বাড়াতে থাকেন তিনি। তবে ৩ ওভারের শুরুতে খালেদ আহমেদের বলে মিথুনের হাতে তালুবন্ধী হয়ে ৮ রান করে মাঠে ছাড়েন সাইফ হাসান। সৌম্যকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন ইফতেখার আহমেদ।

তাতে সৌম্য-ইফতেখার দেখে-শুনে এগোতে থাকেন। কিন্তু ৫ ওভারের মাঝোমাঝিতে শরীফুল ইসলামের বলে ১৭ বলের ২৩ রানের দারুণ ইনিংসের ইতি টানতে হয় সৌম্যকে। তিনি ফিরলে সাজঘরে ফেরার তাড়া শুরু হয় রংপুরের শিবিরে। শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান ২২ গজে কিছু সময় থিতু হতে পারেন। ৪৭ বলে ৬৫ রানের জড়ো ইনিংস উপহার দেন ইফতেখার আহমেদ। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার চোখজুড়ানো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। মেহেদী ২০ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাতে শেষপর্যন্ত ১৪৪ রানের মাঝারি পুজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর।

চিটাগং কিংসের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন খালেদ আহমেদ। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম ও শামিম হোসেন।