স্পোর্টস ডেস্ক :
লজ্জার ইতিহাস গড়েছে ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-২০ দল। দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তারা হেরেছে ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে। নিজেদের ৭১ বছরের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় হার তাদের।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভেনেজুয়েলার মিসায়েল স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় দু’দল। দলকে জয় এনে দেয়ার পথে জোড়া গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ক্লওদিও এচেভেরি। এছাড়া একটি করে গোল করেছেন ইয়ান সুবিয়াবরে, অগাস্টিন রুবের্তো ও সান্তিয়াগো হিদালগো। অপর গোলটি আত্মঘাতী।
এই আসরের ইতিহাসে এর আগে কখনোই এত বড় ব্যবধানে হারেনি ব্রাজিল। মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপটির ইতিহাসে এর আগে ব্রাজিল কখনো তিন গোলের বেশি ব্যবধানেই হারেনি। এই আসরে যেকোনো দলেরই এত বড় ব্যবধানে হার প্রায় এক যুগ পর। ২০১৩ সালে বলিভিয়ার জালে ৬ গোল করেছিল কলম্বিয়া।
জাতীয় দলের যে কোনো স্তর (অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে সিনিয়র দল) বিবেচনায় ব্রাজিলের বিপক্ষে এটাই আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। এর আগে ১৯৪০ সালে রোকা কাপে ব্রাজিলকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা জাতীয় দল।
এদিন ম্যাচ শুরুর ষষ্ঠ মিনিটেই গোল হজম করে সেলেসাওরা। ভ্যালেন্তিনো অ্যাকুনার থেকে বল পেয়ে ব্রাজিলের জালে বল জড়ান ইয়ান। এক মিনিট না যেতেই প্রতিপক্ষকে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে দেন এচেভেরি।
লড়াইয়ে ফেরার বদলে উল্টো ১১তম মিনিটে নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করে বসে ব্রাজিল। ইগোর সেরেতোর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের ব্যবধান বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেন এচেভেরিরা। ৫২তম মিনিটে রুবের্তো, ৫৪তম মিনিটে এচেভেরি আর ৭৮তম মিনিটে শেষ গোলটি করেন হিদালগো। দুদলের মধ্যে সমর্থকরা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করলেও ম্যাচটা ছিল একপেশে। ম্যাচ জুড়েই ছিল আলবিসেলেস্তেদের আধিপত্য।
এই আসরের ইতিহাসে এর আগে কখনোই এত বড় ব্যবধানে হারেনি ব্রাজিল। মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপটির ইতিহাসে এর আগে ব্রাজিল কখনো তিন গোলের বেশি ব্যবধানেই হারেনি। এই আসরে যেকোনো দলেরই এত বড় ব্যবধানে হার প্রায় এক যুগ পর। ২০১৩ সালে বলিভিয়ার জালে ৬ গোল করেছিল কলম্বিয়া।
জাতীয় দলের যেকোনো স্তর (অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে সিনিয়র দল) বিবেচনায় ব্রাজিলের বিপক্ষে এটাই আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। এর আগে ১৯৪০ সালে রোকা কাপে ব্রাজিলকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা জাতীয় দল।
চিলিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আমেরিকার এই চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শীর্ষ চার দল জায়গা করে নেবে সেই বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপে।