Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১/১১’র ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি : মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

১/১১ এর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ১/১১-এর ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি। খালেদা জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল সেই সময়।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ট পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে বহু মত, বহু পথ, বহু টেলিভিশন, বহু সংবাদপত্রে কথা বলার সুযোগ পেয়ে বহু কথা আমাদের দলের বিরুদ্ধে। আমাদের দুই একজন নেতা দুই এক জায়গায় কিছু কথা বলে থাকতে পারে হয়তো, আমি দেখি নাই। আমি বাহিরে ছিলাম। ইদানিং দেখলাম বহুলোক বহু কথা বলছে, বলছে বিএনপি নাকি ১/১১ আনার পায়তারা করছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ২০০৭ সালের ১/১১ এর ভয়াবহ যে পরিণতি এটা বিএনপির যে বেশি কেউ ভোগ করে নাই।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১/১১ নয় যদি আপনারা এই ধরণের কথাবার্তা, সংঘাত, বিবেদ ৫ আগস্টের পরে যদি করতে থাকেন তাহলে দেশে গণতন্ত্রের কোন দিন চেহারা দেখবেন না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, অনেক ব্যক্তি যারা কথাবার্তা বলছেন, তারা এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন, আমি মাঝে মাঝে যদি সুযোগ হয় টেলিভিশনে দেখি, এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন যেন বিএনপি আওয়ামী লীগের দোসর। বিএনপি কে আওয়ামী লীগের শিবিরের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

‘কেউ যদি কিছু বলে থাকেন, আমি জানি না, তার নিজ দায়িত্বে সেটা বলেছেন, বিএনপির এসব দায়িত্ব বহন করে না’ জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, অনেকেই বলছেন, বিএনপি নাকি ওয়ান ইলেভেন আনার স্বপ্ন দেখছে, পায়তারা করছে। প্রিয় ভাইয়েরা, ৫ আগস্টের পর যদি বিভেদ-সংঘাত করতে থাকেন, তাহলে কিন্তু দেশে গণতন্ত্র কোনোদিন চেহারা দেখবে না।

মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করে, একজন সুস্থ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে এদেশের স্বাধীনতার ,সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে মৃত্যুর মুখে তুলে দেয়া হলো।

অনেকে বিএনপিকে ভারতের দিকে ঠেলে দিতে চায় অভিযোগ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, ভারতের দোসর আওয়ামীলীগের দিকে যারা বিএনপিকে ঠেলে দিতেই চায়, আমি বলবো আপনারা নিজের চেহারা আয়না দিয়ে দেখুন, নিজের অন্তরটা আয়না দিয়ে দেখুন। দেশবাসীকে ফাকি দেয়ার চেষ্টা করবেন না।

আজকে আমাদের কে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন অন্য শিবিরে, উদ্দেশ্যটা কি প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের সিল মারতে চান? আমাদের কে ভারতের দালাল বানাতে চান? এই কথা কখনো চিন্তা করবেন না। এই দেশে অতন্দ্র প্রহরী ছিলো জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া। এই দেশে অতন্দ্র প্রহরী আমার এই নেতাকর্মী ভাইয়েরা দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতার জন্য।

বাংলাদেশে জিয়া পরিবারের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের পরিবার সম্পর্কে যারা অবজ্ঞা প্রকাশ করতে চান তাদের সম্পর্কে বলতে চাই, এই পরিবারের ত্যাগ যদি জাতি ভুলে যায় এটা ঠিক হবে না। এই জাতির প্রতি এবং পরিবারের প্রতি অন্যায় করা হবে। আরাফাত রহমনা কোকো মারা গেলেন, তার বড় ভাই দেশ ত্যাগী, তার মা এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন।

দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

১/১১’র ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি : মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০২:৪৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

১/১১ এর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ১/১১-এর ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি। খালেদা জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল সেই সময়।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ট পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে বহু মত, বহু পথ, বহু টেলিভিশন, বহু সংবাদপত্রে কথা বলার সুযোগ পেয়ে বহু কথা আমাদের দলের বিরুদ্ধে। আমাদের দুই একজন নেতা দুই এক জায়গায় কিছু কথা বলে থাকতে পারে হয়তো, আমি দেখি নাই। আমি বাহিরে ছিলাম। ইদানিং দেখলাম বহুলোক বহু কথা বলছে, বলছে বিএনপি নাকি ১/১১ আনার পায়তারা করছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ২০০৭ সালের ১/১১ এর ভয়াবহ যে পরিণতি এটা বিএনপির যে বেশি কেউ ভোগ করে নাই।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১/১১ নয় যদি আপনারা এই ধরণের কথাবার্তা, সংঘাত, বিবেদ ৫ আগস্টের পরে যদি করতে থাকেন তাহলে দেশে গণতন্ত্রের কোন দিন চেহারা দেখবেন না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, অনেক ব্যক্তি যারা কথাবার্তা বলছেন, তারা এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন, আমি মাঝে মাঝে যদি সুযোগ হয় টেলিভিশনে দেখি, এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন যেন বিএনপি আওয়ামী লীগের দোসর। বিএনপি কে আওয়ামী লীগের শিবিরের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

‘কেউ যদি কিছু বলে থাকেন, আমি জানি না, তার নিজ দায়িত্বে সেটা বলেছেন, বিএনপির এসব দায়িত্ব বহন করে না’ জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, অনেকেই বলছেন, বিএনপি নাকি ওয়ান ইলেভেন আনার স্বপ্ন দেখছে, পায়তারা করছে। প্রিয় ভাইয়েরা, ৫ আগস্টের পর যদি বিভেদ-সংঘাত করতে থাকেন, তাহলে কিন্তু দেশে গণতন্ত্র কোনোদিন চেহারা দেখবে না।

মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করে, একজন সুস্থ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে এদেশের স্বাধীনতার ,সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে মৃত্যুর মুখে তুলে দেয়া হলো।

অনেকে বিএনপিকে ভারতের দিকে ঠেলে দিতে চায় অভিযোগ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, ভারতের দোসর আওয়ামীলীগের দিকে যারা বিএনপিকে ঠেলে দিতেই চায়, আমি বলবো আপনারা নিজের চেহারা আয়না দিয়ে দেখুন, নিজের অন্তরটা আয়না দিয়ে দেখুন। দেশবাসীকে ফাকি দেয়ার চেষ্টা করবেন না।

আজকে আমাদের কে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন অন্য শিবিরে, উদ্দেশ্যটা কি প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের সিল মারতে চান? আমাদের কে ভারতের দালাল বানাতে চান? এই কথা কখনো চিন্তা করবেন না। এই দেশে অতন্দ্র প্রহরী ছিলো জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া। এই দেশে অতন্দ্র প্রহরী আমার এই নেতাকর্মী ভাইয়েরা দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতার জন্য।

বাংলাদেশে জিয়া পরিবারের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের পরিবার সম্পর্কে যারা অবজ্ঞা প্রকাশ করতে চান তাদের সম্পর্কে বলতে চাই, এই পরিবারের ত্যাগ যদি জাতি ভুলে যায় এটা ঠিক হবে না। এই জাতির প্রতি এবং পরিবারের প্রতি অন্যায় করা হবে। আরাফাত রহমনা কোকো মারা গেলেন, তার বড় ভাই দেশ ত্যাগী, তার মা এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন।

দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।