Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেক্সিমকোর ১৬ অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২১০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে মোট ৩২টি ফ্যাক্টরির মধ্যে ১৬টিরই কোনো অস্তিত্ব নেই। অস্তিত্বহীন এই ১৬ কোম্পানির বিপরীতে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এমনটি বলেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, গত ২১ জানুয়ারি বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কর্মচারী ও শ্রমিকরা গাজীপুরের শ্রীপুর মায়ানগর মাঠে জমায়েত হয়ে লে-অফ প্রত্যাহার করে ফ্যাক্টরিগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান। তারা ঘোষণা দেন, ২২ জানুয়ারি বিকেল ৩টার মধ্যে ফ্যাক্টরি খুলে না দিলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধসহ শাটডাউন কর্মসূচি নেবেন।

তিনি বলেন, বেক্সিমকোর কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক ও দেশবাসীকে জানানো যাচ্ছে যে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে মোট ৩২টি ফ্যাক্টরির মধ্যে ১৬টি ফ্যাক্টরির কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু এই ১৬ কোম্পানির বিপরীতে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। ১২টি ফ্যাক্টরি ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে লে-অফ করা হয়েছে, যা সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নয়।

তিনটি ফ্যাক্টরি বর্তমানে চলমান জানিয়ে তিনি বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত ৩২টি ফ্যাক্টরির বিপরীতে ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকাসহ বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট ব্যাংক ঋণ বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে শুধু জনতা ব্যাংকের পাওনা ২৩ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, মালিকরা এ অর্থ কোথায় নিয়ে গেছেন তা আমরা এখন বলতে পারবো না। কিন্তু এই টাকা মনে করা হয় দেশের মধ্যে নেই। থাকলে হয়তো আমরা জানতে পারতাম। এটা কিন্তু পাবলিক মানি। জনগণের টাকা।

আগামী ২৮ জানুয়ারি দায়-দেনা নিয়ে পর্যালোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনার বিষয়ে সর্বদাই সজাগ। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে উপদেষ্টা কমিটি সর্বোচ্চ সোচ্চার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বেক্সিমকোর ১৬ অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ

প্রকাশের সময় : ০৯:১৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে মোট ৩২টি ফ্যাক্টরির মধ্যে ১৬টিরই কোনো অস্তিত্ব নেই। অস্তিত্বহীন এই ১৬ কোম্পানির বিপরীতে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এমনটি বলেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, গত ২১ জানুয়ারি বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কর্মচারী ও শ্রমিকরা গাজীপুরের শ্রীপুর মায়ানগর মাঠে জমায়েত হয়ে লে-অফ প্রত্যাহার করে ফ্যাক্টরিগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান। তারা ঘোষণা দেন, ২২ জানুয়ারি বিকেল ৩টার মধ্যে ফ্যাক্টরি খুলে না দিলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধসহ শাটডাউন কর্মসূচি নেবেন।

তিনি বলেন, বেক্সিমকোর কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক ও দেশবাসীকে জানানো যাচ্ছে যে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে মোট ৩২টি ফ্যাক্টরির মধ্যে ১৬টি ফ্যাক্টরির কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু এই ১৬ কোম্পানির বিপরীতে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। ১২টি ফ্যাক্টরি ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে লে-অফ করা হয়েছে, যা সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নয়।

তিনটি ফ্যাক্টরি বর্তমানে চলমান জানিয়ে তিনি বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত ৩২টি ফ্যাক্টরির বিপরীতে ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকাসহ বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট ব্যাংক ঋণ বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে শুধু জনতা ব্যাংকের পাওনা ২৩ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, মালিকরা এ অর্থ কোথায় নিয়ে গেছেন তা আমরা এখন বলতে পারবো না। কিন্তু এই টাকা মনে করা হয় দেশের মধ্যে নেই। থাকলে হয়তো আমরা জানতে পারতাম। এটা কিন্তু পাবলিক মানি। জনগণের টাকা।

আগামী ২৮ জানুয়ারি দায়-দেনা নিয়ে পর্যালোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনার বিষয়ে সর্বদাই সজাগ। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে উপদেষ্টা কমিটি সর্বোচ্চ সোচ্চার।