বরিশাল জেলা প্রতিনিধি :
বরিশালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদী থেকে আনুমানিক পাঁচদিন বয়সী এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বারইকরণ এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীর থেকে ওই লাশটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ধারণা করছে বরিশাল নগরীর দপদপিয়া সেতুর ওপর দিয়ে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেওয়া নবজাতকের লাশ এটি। প্রাথমিকভাবে তা শনাক্ত করেছেন শিশুটির বাবা মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সোহেল আহমেদ।
তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি ভোরে শেবাচিম হাসপাতালে আমার স্ত্রী ঐশী আক্তার কন্যা সন্তান জন্ম দেন। সন্তানের নাম রাখা হয় ফাহমিদা আক্তার সাওদা। এর দুই দিন পর স্ত্রী-সন্তানকে নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় স্ত্রীর বড় বোনের বাসায় রেখে আসি। সেখান থেকে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে সন্তানকে নিয়ে বের হন আমার স্ত্রী। এরপর সে অটোরিকশাযোগে দপদপিয়া সেতুতে গিয়ে সন্তানকে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেন। আজ সোমবার দুপুরে আমার মেয়ের মরদেহ সুগন্ধা নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমার সন্তান হত্যার ঘটনায় আমার স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন জড়িত। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার আমিরাবাদ এলাকার মুনসুর হাওলাদারের মেয়ে এবং হয়বৎপুর তৌকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
এ ঘটনার পরপরই ঐশী আক্তারের শারীরিক অসুস্থতা ও বিষণ্নতার কারণ দেখিয়ে রাবেয়া আক্তার নামে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখান থেকেও পালিয়ে যান ঐশী।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার হওয়া নবজাতকের মরদেহ শনাক্ত করেছেন। এ ছাড়া বরিশালের একটি মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন শিশুটির মাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
বরিশাল জেলা প্রতিনিধি 
























