Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালানের ফিফটিতে চট্টগ্রামকে অনায়াসে হারাল বরিশাল

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পাওয়ার প্লেতেই ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে চিটাগাং কিংস। এরপর আরাফাত সানি ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে কোনোরকমে একশ পার হয়। ছোট পুঁজি নিয়ে খুব একটা লড়াই করতে পারেনি কিংসের বোলাররাও। ডেভিড মালানের অপরাজিত ফিফটিতে ১৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে ফরচুন বরিশাল।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে খেলতে নেমে ১৭ ওভার ১ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে বরিশাল।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আজ দলীয় ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। তামিম ইকবালের সঙ্গে আজ ওপেন করতে নেমেছিলেন ইংলিশ তারকা ক্রিকেটার ডেভিড মালান। মালানের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে বরিশালের অধিনায়ক ১৪ বলে করেন ৮ রান।

তামিম রান আউট হয়ে ফেরার পরের ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন তাওহিদ হৃদয়। টাইগার এই ক্রিকেটার ৪ বলে ১ রান করে আউট হন। এরপর মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহও দলের হাল ধরতে পারেননি। দলীয় ৩২ রানে মুশফিক এবং ৫৩ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ।

৫৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল বরিসশাল। তবে একপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও অপরপ্রান্তে ছিলেন মালান। ইংলিশ এই ব্যাটার মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে দলের হাল ধরেন। চাপ সামলে স্কোরবোর্ডে রান তুলেন এ দুইজন। দুজন মিলে শেষ পর্যন্ত গড়েছিলেন ৬৯ রানের অপরাজিত জুটি। এ জুটিতেই জয়ের বন্দরে ভিড়ে বরিশাল। দলকে জেতাতে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন মালান।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে চিটাগং ১৫ রান পায়। স্বদেশি পেসার জাহানদাদের ওভার থেকে দুই চার ও এক ছক্কা আদায় করে নেন উসমান খান। ডানহাতি ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ওভারেও স্পিনার তানভীরকে দুই চার হাঁকান। এমন উড়ন্ত শুরুতে চিটাগংয়ের দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। কিন্তু কে জানত তৃতীয় ওভার থেকে তাদের ইনিংসে নেমে আসবে বিপর্যয়?

তৃতীয় ওভারে দ্বিতীয় বলে উসমান নিজের উইকেট উপহার দিয়ে আসেন রিপন মন্ডলকে। পরের ১৯ বলেই স্রেফ এলোমেলো চিটাগং। একে একে সাজঘরের পথ ধরেন গ্রাহাম ক্লার্ক, পারভেজ হোসেন ইমন, হায়দার আলী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শেষ ৩ উইকেট পেয়েছেন ফাহিম আশরাফ। রিপন ও আশরাফের ২০ বলের দাপটে পাওয়ার প্লে’তে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চিটাগং।

সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টায় সপ্তম উইকেটে আরাফাত সানীকে নিয়ে ৩৭ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। মনে হচ্ছিল তাদের জুটিতে চিটাগংয়ের পুঁজি বাড়বে। কিন্তু ধারাবাহিক রান না আসায় বড় শট খেলতে গিয়ে ভাঙে এই জুটি। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে মিঠুন সাজঘরে ফেরেন তানভীরের বলে সীমানায় মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে কোনো বাউন্ডারি পায়নি চিটাগং। চাপ বাড়ায় বড় শট খেলার বিকল্প ছিল না। কিন্তু টাইমিং না মেলায় গড়বড় হয়।

চিটাগংয়ের শেষ ভরসা ছিলেন আরাফাত সানী। তার ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়। ৩৪ বলে ২৭ রান করা সানী হাঁকান ২ বাউন্ডারি। এছাড়া খালেদ ৯ ও শরিফুল ৫ রান তুলে রাখেন অবদান।

৩টি করে উইকেট নিয়ে রিপন ও ফাহিম ছিলেন বরিশালের সেরা। ২টি উইকেট নেন স্পিনার তানভীর।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

মালানের ফিফটিতে চট্টগ্রামকে অনায়াসে হারাল বরিশাল

প্রকাশের সময় : ০৫:২০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পাওয়ার প্লেতেই ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে চিটাগাং কিংস। এরপর আরাফাত সানি ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে কোনোরকমে একশ পার হয়। ছোট পুঁজি নিয়ে খুব একটা লড়াই করতে পারেনি কিংসের বোলাররাও। ডেভিড মালানের অপরাজিত ফিফটিতে ১৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে ফরচুন বরিশাল।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে খেলতে নেমে ১৭ ওভার ১ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে বরিশাল।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আজ দলীয় ১৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। তামিম ইকবালের সঙ্গে আজ ওপেন করতে নেমেছিলেন ইংলিশ তারকা ক্রিকেটার ডেভিড মালান। মালানের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে বরিশালের অধিনায়ক ১৪ বলে করেন ৮ রান।

তামিম রান আউট হয়ে ফেরার পরের ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন তাওহিদ হৃদয়। টাইগার এই ক্রিকেটার ৪ বলে ১ রান করে আউট হন। এরপর মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহও দলের হাল ধরতে পারেননি। দলীয় ৩২ রানে মুশফিক এবং ৫৩ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ।

৫৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল বরিসশাল। তবে একপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও অপরপ্রান্তে ছিলেন মালান। ইংলিশ এই ব্যাটার মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে দলের হাল ধরেন। চাপ সামলে স্কোরবোর্ডে রান তুলেন এ দুইজন। দুজন মিলে শেষ পর্যন্ত গড়েছিলেন ৬৯ রানের অপরাজিত জুটি। এ জুটিতেই জয়ের বন্দরে ভিড়ে বরিশাল। দলকে জেতাতে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন মালান।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে চিটাগং ১৫ রান পায়। স্বদেশি পেসার জাহানদাদের ওভার থেকে দুই চার ও এক ছক্কা আদায় করে নেন উসমান খান। ডানহাতি ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ওভারেও স্পিনার তানভীরকে দুই চার হাঁকান। এমন উড়ন্ত শুরুতে চিটাগংয়ের দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। কিন্তু কে জানত তৃতীয় ওভার থেকে তাদের ইনিংসে নেমে আসবে বিপর্যয়?

তৃতীয় ওভারে দ্বিতীয় বলে উসমান নিজের উইকেট উপহার দিয়ে আসেন রিপন মন্ডলকে। পরের ১৯ বলেই স্রেফ এলোমেলো চিটাগং। একে একে সাজঘরের পথ ধরেন গ্রাহাম ক্লার্ক, পারভেজ হোসেন ইমন, হায়দার আলী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শেষ ৩ উইকেট পেয়েছেন ফাহিম আশরাফ। রিপন ও আশরাফের ২০ বলের দাপটে পাওয়ার প্লে’তে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চিটাগং।

সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টায় সপ্তম উইকেটে আরাফাত সানীকে নিয়ে ৩৭ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। মনে হচ্ছিল তাদের জুটিতে চিটাগংয়ের পুঁজি বাড়বে। কিন্তু ধারাবাহিক রান না আসায় বড় শট খেলতে গিয়ে ভাঙে এই জুটি। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে মিঠুন সাজঘরে ফেরেন তানভীরের বলে সীমানায় মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে কোনো বাউন্ডারি পায়নি চিটাগং। চাপ বাড়ায় বড় শট খেলার বিকল্প ছিল না। কিন্তু টাইমিং না মেলায় গড়বড় হয়।

চিটাগংয়ের শেষ ভরসা ছিলেন আরাফাত সানী। তার ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়। ৩৪ বলে ২৭ রান করা সানী হাঁকান ২ বাউন্ডারি। এছাড়া খালেদ ৯ ও শরিফুল ৫ রান তুলে রাখেন অবদান।

৩টি করে উইকেট নিয়ে রিপন ও ফাহিম ছিলেন বরিশালের সেরা। ২টি উইকেট নেন স্পিনার তানভীর।