Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না, আইনের মধ্যে থাকব : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আইন-কানুন বিধি বিধানের মধ্যে থাকবো। আমরা ফ্রি, ফেয়ার গেম উপহার দিতে চাই। যেখানে সব প্লেয়ার অবাধে খেলতে পারে। আমরা এজন্য একটি মাঠ তৈরি করতে চাই। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া টাইম ফ্রেমের মধ্যে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ল্যাপটপ, স্ক্যানারসহ অন্যান্য উপকরণগুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিচ্ছে না এবং সংবিধানের আওতাতেই কাজ করছে। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী ইসি নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই রাজনীতিতে জড়াতে চায় না। দেশের জনগণ আমাদের কাছ থেকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে। আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। মানুষের যে সন্দেহ রয়েছে, তা দূর করতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে।

নাসির উদ্দিন বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সহায়তার জন্য তাদের নিড এসেসমেন্ট টিম এসেছে। তারা যে একটা সহায়তা দেবে সেটা আমরা বুঝতে পারছি। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনেক কিছু লাগে। ভোটার তালিকা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে আমরা কাজ করছি। এজন্য হালনাগাদ কার্যক্রম করতে কাল মাঠে নামছি। আশাকরছি সন্দেহ দূর হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার তালিকা কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য আমরা ইউএনডিপির কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারা খুব দ্রুত সময়ে সহায়তা করেছে। আমরা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তাদের সহযোগিতা চাই। আমাদের মতো তারাও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, আমরা ছয়মাসের মধ্যে হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করবো। ভোটার প্রবৃদ্ধির হার ১.৫৫ শতাংশ। ৬৫ হাজার লোকবল কাজ করবে। হিউজ প্রোগ্রাম নিয়েছি যাতে নির্দিষ্ট সময়ের শেষ করতে পারি।

সিইসি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার ইউএনডিপি। তারা ডিসেম্বরে আমার সঙ্গে দেখা করলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য বলেছিলাম। এতো দ্রুত তারা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করায় আমি অভিভূত। ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরা দিয়ে তারা সহায়তা করলো, যা আজ শুরু হলো। আশাকরি সামনের জাতীয় নির্বাচনেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে। তাই আজ কয়েকশ ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এগুলো আরো আসতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ। পুরো নিবন্ধন কার্যক্রমে আশাকরি তারা সহায়তা দেবে।

এবারের ভোটার তালিকা বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের ভেতরে ঢুকতে চায় না নির্বাচন কমিশন। এবারের ভোটার তালিকা বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা যাবে। মানুষের সন্দেহ দূর করতে স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে আমরা কাজ করছি। কাল থেকে মাঠে নামাচ্ছি। আশা করছি সন্দেহ দূর হবে। আমরা ছয় মাসের মধ্যে হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করব। ভোটার প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। ৬৫ হাজার লোকবল কাজ করবে। হিউজ প্রোগ্রাম নিয়েছি যাতে নির্দিষ্ট সময়ের শেষ করতে পারি। সাভারে উদ্বোধন হবে।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, সোমবার (২২ জানুয়ারি) থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হবে। সারাদেশে এজন্য কাজ করবে ৬৫ হাজার কর্মী।

অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির আবাসিক প্রধান স্টিফেন লিলার সিইসির কাছে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার, চার হাজার ৩০০টি ব্যাগ হস্তান্তর করেন। তিনি বলেন, এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় অন্য নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না, আইনের মধ্যে থাকব : সিইসি

প্রকাশের সময় : ১২:২৮:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আইন-কানুন বিধি বিধানের মধ্যে থাকবো। আমরা ফ্রি, ফেয়ার গেম উপহার দিতে চাই। যেখানে সব প্লেয়ার অবাধে খেলতে পারে। আমরা এজন্য একটি মাঠ তৈরি করতে চাই। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া টাইম ফ্রেমের মধ্যে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ল্যাপটপ, স্ক্যানারসহ অন্যান্য উপকরণগুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিচ্ছে না এবং সংবিধানের আওতাতেই কাজ করছে। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী ইসি নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই রাজনীতিতে জড়াতে চায় না। দেশের জনগণ আমাদের কাছ থেকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে। আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। মানুষের যে সন্দেহ রয়েছে, তা দূর করতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে।

নাসির উদ্দিন বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সহায়তার জন্য তাদের নিড এসেসমেন্ট টিম এসেছে। তারা যে একটা সহায়তা দেবে সেটা আমরা বুঝতে পারছি। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনেক কিছু লাগে। ভোটার তালিকা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে আমরা কাজ করছি। এজন্য হালনাগাদ কার্যক্রম করতে কাল মাঠে নামছি। আশাকরছি সন্দেহ দূর হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার তালিকা কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য আমরা ইউএনডিপির কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারা খুব দ্রুত সময়ে সহায়তা করেছে। আমরা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তাদের সহযোগিতা চাই। আমাদের মতো তারাও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, আমরা ছয়মাসের মধ্যে হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করবো। ভোটার প্রবৃদ্ধির হার ১.৫৫ শতাংশ। ৬৫ হাজার লোকবল কাজ করবে। হিউজ প্রোগ্রাম নিয়েছি যাতে নির্দিষ্ট সময়ের শেষ করতে পারি।

সিইসি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার ইউএনডিপি। তারা ডিসেম্বরে আমার সঙ্গে দেখা করলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য বলেছিলাম। এতো দ্রুত তারা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করায় আমি অভিভূত। ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরা দিয়ে তারা সহায়তা করলো, যা আজ শুরু হলো। আশাকরি সামনের জাতীয় নির্বাচনেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে। তাই আজ কয়েকশ ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এগুলো আরো আসতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ। পুরো নিবন্ধন কার্যক্রমে আশাকরি তারা সহায়তা দেবে।

এবারের ভোটার তালিকা বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের ভেতরে ঢুকতে চায় না নির্বাচন কমিশন। এবারের ভোটার তালিকা বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা যাবে। মানুষের সন্দেহ দূর করতে স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে আমরা কাজ করছি। কাল থেকে মাঠে নামাচ্ছি। আশা করছি সন্দেহ দূর হবে। আমরা ছয় মাসের মধ্যে হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করব। ভোটার প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। ৬৫ হাজার লোকবল কাজ করবে। হিউজ প্রোগ্রাম নিয়েছি যাতে নির্দিষ্ট সময়ের শেষ করতে পারি। সাভারে উদ্বোধন হবে।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, সোমবার (২২ জানুয়ারি) থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হবে। সারাদেশে এজন্য কাজ করবে ৬৫ হাজার কর্মী।

অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির আবাসিক প্রধান স্টিফেন লিলার সিইসির কাছে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার, চার হাজার ৩০০টি ব্যাগ হস্তান্তর করেন। তিনি বলেন, এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় অন্য নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।