বিনোদন ডেস্ক :
দেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। বিগত কয়েকদিন ধরেই সংবাদের শিরোনাম নিতে। বছরের শুরুতেই মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন এই গায়ক। এরপর হানিমুনে ৭ জানুয়ারি মালদ্বীপে হানিমুনের উদ্দেশে যান তারা। তবে দেশে ফিরেই ভিন্ন মেজাজে দেখা গেল তাহসানকে। হানিমুন থেকে ফিরেই গিয়েছিলেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।
তাহসান খান বিষয়টি জানিয়েছেন নিজেই। এই গায়ক তার ফেসবুক পেজে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) তাহসান ছিলেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তিনি সেখানে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের অভিজ্ঞতার কথা শোনেন। তাহসান খান শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে সেই ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে জানান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার কারণ।
তাহসান বলেন, গতকাল আমি কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছি, যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত আশ্রয়শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনাতীত। জীবন বাঁচানোর কাজে নিয়োজিত অগ্নিনির্বাপণকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে উদ্ধারকাজের গল্প শুনে ভীষণ রকম অনুপ্রাণিত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মানুষজন ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, নতুন করে তাদের জীবনের পথচলা শুরু করেছে, এতে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন মানবিক সংস্থা। শরণার্থীরা বারবার ভয়াবহ কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে, তাদের ধৈর্য ও সহনশীলতা ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করে।
গান ও অভিনয়ের বাইরে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) শুভেচ্ছাদূত হয়ে কাজ করছেন তাহসান খান। বাংলাদেশ থেকে সংস্থাটির প্রথম শুভেচ্ছাদূত হন এই তারকা। পৃথিবীজুড়ে ইউএনএইচসিআরের ৩২ জন শুভেচ্ছাদূত আছেন। যারা তাদের জনপ্রিয়তা, নিষ্ঠা ও কাজের মাধ্যমে সারা বিশ্বের শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও ইউএনএইচসিআরের কাজ সবার সামনে তুলে ধরেন।
২০১৯ সাল থেকে তাহসান শরণার্থীদের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিভিন্ন উদ্যোগে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে একত্রে কাজ করে চলেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন এবং বিশ্ব শরণার্থী দিবস ও ইউএনএইচসিআরের অন্যান্য অনুষ্ঠানের যুক্ত থেকে সহায়তা করেছেন।