Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত থামব না : জামায়াত আমীর

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বৈষম্যহীন, মানবিক, দুর্নীতি, দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থামবে না। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মজলুম দল। সাড়ে ১৫ বছর জামায়াতের নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। ক্রসফায়ারের নামেও হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ঐতিহাসিক টাউন ফুটবল মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের শাসনামলের প্রতি ইঙ্গিত করে আমিরে জামায়াত বলেন, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তারা দেশের জ্ঞানী, শিক্ষিত, মার্জিত ও অভিজ্ঞ মানুষদের হত্যা করেছে। হাজারো মানুষকে নির্যাতন করেছে। তারা শত শত মানুষকে গুম করেছে, খুন করেছে। মানুষের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। তারা দেশের সম্পদও লুট করেছে। তারা উন্নয়নের বুলি শুনিয়েছে।

তিনি বলেন, পর পর তিনটি নির্বাচনে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। জুলাই-আগস্টে আমাদের সন্তানরা বিপ্লব ঘটিয়ে ২৪-এ স্বাধীনতা এনেছে। ফলে স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশের মানুষের সামনে দাঁড়ানোর মতো সৎ সাহস শেখ হাসিনার ছিল না। যে কারণে তিনিসহ তার দোসররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। যারা আমাদের সন্তানদের ওপর গুলি চালিয়েছে, গণহত্যা চালিয়েছে জনগণ তাদের একদফা দিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।

শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি দেশ ও মাটির প্রতি টান থাকত, দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন তাহলে একা পালিয়ে যেতেন না। একা থাকার দুঃখ অনেক। দেশে আসেন, কাশিমপুরে আপনাদের জন্য ভালো ব্যবস্থা করা হবে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশ পরিবর্তনের জন্য জীবন দেওয়া সন্তানদের রক্তের ওপর দিয়ে চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য, ঘুষ, ভাগবাটোয়ারা ও মামলা বাণিজ্য কেন চলবে? আমাদের সন্তানেরা ন্যায়বিচার চায়, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চায়, তারা দুর্নীতি চায় না। সেই বাংলাদেশ এখনো কায়েম হয় না বলেই সেই বীর যোদ্ধারা আবারও স্লোগান তুলেছে আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। আমরাও তাদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে একই কথা বলতে চাই। একটি মানবিক বাংলাদেশ, দুর্নীতিমুক্ত ও দুঃশাসন মুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।

আবারও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়াও এখন থেকে সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলবে। চোখে চোখ রেখে সংবাদ পরিবেশন করবে। কিন্তু এখনো চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলে, সত্য খবর তুলে ধরলে তখন সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়, দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সেসব অডিও ভিডিওগুলো সামাজিকমাধ্যমে আসছে। আমরা সবাইকে বলি আরেকবার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হন। খারাপ মূলের গাছ কাটা পড়েছে, কিন্তু আগাছা রয়ে গেছে। এগুলো পরিষ্কার করা হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে আমিরে জামায়াত বলেন, যখন তখন নিজেদের মাঝে যুদ্ধ করব না। পদপদবি না পেয়ে দুই পক্ষের মধ্যে লেগে যাচ্ছে। হত্যার শিকার হচ্ছে দল ও নিরীহ মানুষ। এগুলো বাদ দেন। অনেক হয়েছে, দেশের মানুষ এসব দেখতে দেখতে ক্লান্ত বিরক্ত হয়ে ঘৃণা করে। সত্যিই যদি এসব ছেড়ে দিই, তাহলে বিবেকবান জনগণ যাকে খুশি ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠাবে। কিন্তু বদ খাসলত যদি ছাড়তে না পারেন তাহলে অন্তত বোকা কিংবা দুর্বল ভাববেন না।

ছাত্র-জনতার অবদানকে স্মরণ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে এই জাতি দেশবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবে, ইনশাআল্লাহ। তরুণ-যুবসমাজ চাঁদাবাজমুক্ত, দখলবাজমুক্ত ও পেশিশক্তিমুক্ত নতুন দেশ চায়। আমরাও সাম্যের বাংলাদেশ চাই। এই প্রজন্ম বুকের রক্ত দিয়ে নতুন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। প্রয়োজনে আমরাও রক্ত দিয়ে হলেও এই স্বাধীনতা ধরে রাখব, ইনশাআল্লাহ।

এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা কারো টাকার কাছে নিজেদের ভোট বিক্রি করব না। ষড়যন্ত্র চলছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ। কালো টাকা ও পেশিশক্তির কাছে আমরা মাথানত করব না। যারা কালো টাকা দিয়ে ভোটের মাঠে আসবে, তাদের না বলে দিতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা ২৬ লাখ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেছে। এসব টাকা জাল ফেলে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করে দেশে ফেরত আনতে হবে। আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের খুঁজে খুঁজে এনে ওই কাশিমপুর জেলে পাঠাতে হবে। তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য খন্দকার আলী মোহসিন, ঝিনাইদহ জেলা আমির আবু বকর মুহা. আলী আজম, কুষ্টিয়া জেলা আমির মাওলানা অধ্যাপক আবুল হাশেম, মেহেরপুর জেলা আমির মাওলানা তাজ উদ্দীন খাঁন, নড়াইল জেলা আমির আবু বক্কর সিদ্দিক, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আনোয়ারুল হক মালিক, জেলা জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল ও আব্দুল কাদের এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত থামব না : জামায়াত আমীর

প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বৈষম্যহীন, মানবিক, দুর্নীতি, দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থামবে না। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মজলুম দল। সাড়ে ১৫ বছর জামায়াতের নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। ক্রসফায়ারের নামেও হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ঐতিহাসিক টাউন ফুটবল মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের শাসনামলের প্রতি ইঙ্গিত করে আমিরে জামায়াত বলেন, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তারা দেশের জ্ঞানী, শিক্ষিত, মার্জিত ও অভিজ্ঞ মানুষদের হত্যা করেছে। হাজারো মানুষকে নির্যাতন করেছে। তারা শত শত মানুষকে গুম করেছে, খুন করেছে। মানুষের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। তারা দেশের সম্পদও লুট করেছে। তারা উন্নয়নের বুলি শুনিয়েছে।

তিনি বলেন, পর পর তিনটি নির্বাচনে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। জুলাই-আগস্টে আমাদের সন্তানরা বিপ্লব ঘটিয়ে ২৪-এ স্বাধীনতা এনেছে। ফলে স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশের মানুষের সামনে দাঁড়ানোর মতো সৎ সাহস শেখ হাসিনার ছিল না। যে কারণে তিনিসহ তার দোসররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। যারা আমাদের সন্তানদের ওপর গুলি চালিয়েছে, গণহত্যা চালিয়েছে জনগণ তাদের একদফা দিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।

শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি দেশ ও মাটির প্রতি টান থাকত, দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন তাহলে একা পালিয়ে যেতেন না। একা থাকার দুঃখ অনেক। দেশে আসেন, কাশিমপুরে আপনাদের জন্য ভালো ব্যবস্থা করা হবে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশ পরিবর্তনের জন্য জীবন দেওয়া সন্তানদের রক্তের ওপর দিয়ে চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য, ঘুষ, ভাগবাটোয়ারা ও মামলা বাণিজ্য কেন চলবে? আমাদের সন্তানেরা ন্যায়বিচার চায়, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চায়, তারা দুর্নীতি চায় না। সেই বাংলাদেশ এখনো কায়েম হয় না বলেই সেই বীর যোদ্ধারা আবারও স্লোগান তুলেছে আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। আমরাও তাদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে একই কথা বলতে চাই। একটি মানবিক বাংলাদেশ, দুর্নীতিমুক্ত ও দুঃশাসন মুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।

আবারও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়াও এখন থেকে সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলবে। চোখে চোখ রেখে সংবাদ পরিবেশন করবে। কিন্তু এখনো চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলে, সত্য খবর তুলে ধরলে তখন সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়, দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সেসব অডিও ভিডিওগুলো সামাজিকমাধ্যমে আসছে। আমরা সবাইকে বলি আরেকবার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হন। খারাপ মূলের গাছ কাটা পড়েছে, কিন্তু আগাছা রয়ে গেছে। এগুলো পরিষ্কার করা হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে আমিরে জামায়াত বলেন, যখন তখন নিজেদের মাঝে যুদ্ধ করব না। পদপদবি না পেয়ে দুই পক্ষের মধ্যে লেগে যাচ্ছে। হত্যার শিকার হচ্ছে দল ও নিরীহ মানুষ। এগুলো বাদ দেন। অনেক হয়েছে, দেশের মানুষ এসব দেখতে দেখতে ক্লান্ত বিরক্ত হয়ে ঘৃণা করে। সত্যিই যদি এসব ছেড়ে দিই, তাহলে বিবেকবান জনগণ যাকে খুশি ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠাবে। কিন্তু বদ খাসলত যদি ছাড়তে না পারেন তাহলে অন্তত বোকা কিংবা দুর্বল ভাববেন না।

ছাত্র-জনতার অবদানকে স্মরণ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে এই জাতি দেশবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবে, ইনশাআল্লাহ। তরুণ-যুবসমাজ চাঁদাবাজমুক্ত, দখলবাজমুক্ত ও পেশিশক্তিমুক্ত নতুন দেশ চায়। আমরাও সাম্যের বাংলাদেশ চাই। এই প্রজন্ম বুকের রক্ত দিয়ে নতুন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। প্রয়োজনে আমরাও রক্ত দিয়ে হলেও এই স্বাধীনতা ধরে রাখব, ইনশাআল্লাহ।

এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা কারো টাকার কাছে নিজেদের ভোট বিক্রি করব না। ষড়যন্ত্র চলছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ। কালো টাকা ও পেশিশক্তির কাছে আমরা মাথানত করব না। যারা কালো টাকা দিয়ে ভোটের মাঠে আসবে, তাদের না বলে দিতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা ২৬ লাখ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেছে। এসব টাকা জাল ফেলে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করে দেশে ফেরত আনতে হবে। আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের খুঁজে খুঁজে এনে ওই কাশিমপুর জেলে পাঠাতে হবে। তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য খন্দকার আলী মোহসিন, ঝিনাইদহ জেলা আমির আবু বকর মুহা. আলী আজম, কুষ্টিয়া জেলা আমির মাওলানা অধ্যাপক আবুল হাশেম, মেহেরপুর জেলা আমির মাওলানা তাজ উদ্দীন খাঁন, নড়াইল জেলা আমির আবু বক্কর সিদ্দিক, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আনোয়ারুল হক মালিক, জেলা জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল ও আব্দুল কাদের এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক।