Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটকে বড় ব্যবধানে হারালো রাজশাহী

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সাম্প্রতিক সময়ে পারিশ্রমিক না পাওয়া নিয়ে সমালোচনার মধ্যে থাকা দুর্বার রাজশাহী ক্রিকেট দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয়ে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করেছে। এবারের বিপিএলে দুই দলের প্রথম দেখা। প্রথম দেখাতে দুর্বার রাজশাহীর কাছে বড় হার সিলেট স্ট্রাইকার্সের। আসরে এটি রাজশাহীর সপ্তম ম্যাচে তৃতীয় জয়।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় রাজশাহী। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে রায়ান বার্ল সর্বোচ্চ ৪১ এবং এনামুল হক বিজয় ৩২ রান করেছেন। লক্ষ্য তাড়ায় ১৭.৩ ওভারেই ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। এতে ৬৫ রানের জয় পায় দুর্বার রাজশাহী।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সিলেট। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন পল স্টার্লিং (২)। এক ওভারে পরেই তার দেখানো পথে হাঁটেন রনি তালুকদার। তবে তিনে ব্যাট করতে নেমে জর্জি মানজিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন জাকির হাসান।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই। ২৮ বলে ৩৯ রান করে জাকির আউট হলে ২২ বলে ২০ রান করে ফেরেন মানজি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অ্যারন জোন্সও (৫)। এরপর নাহিদুল ইসলাম (১), আরিফুল হক (৬) এবং নাহিদুজ্জামান শূন্য রানে আউট হলে দলীয় ১০৪ রানে ৮ উইকেট হারায় সিলেট।

সতীর্থদের আশা যাওয়ার মিছিলের দিনে লড়াই করতে থাকেন জাকের আলী। তবে নিজেকে বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ২০ বলে ৩১ রান করে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ১৮তম ওভারে তৃতীয় বলে রিস টপলি বোল্ড হলে ১৫ বল হতে থাকতেই ১১৯ রানে অলআউট হয় সিলেট। এতে ৬৫ রানের জয় পায় বিজয়ের দল।

রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন সানজামুল ইসলাম। এ ছাড়াও মিত্যুঞ্জয় চৌধুরী, তাসকিন আহমেদ, আফতাব ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট। আর একটি মাত্র শিকার করেন মার্ক দয়াল।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় রাজশাহী। নাহিদুলের বলে আউট হওয়ার আগে দুই ছক্কা মারেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। আরেক ওপেনার জিশানও হাত খুলে খেলেছেন শুরুর দিকে। স্পিনার নিহাদুজ্জামানকে এক ওভারে মেরেছেন দুটি ছক্কা। অবশ্য ছক্কা মারতে গিয়েই নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। নাহিদুলের বলে ডিপ মিড উইকেটে তুলে মারেন তিনি, রনি তালুকদার দৌড়ে গিয়ে লাফিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরান তাকে।

তবে রাজশাহীকে লড়াইয়ের রসদ এনে দিয়েছেন রায়ান বার্ল। অধিনায়ক আনামুল হক বিজয়ের সাথে গড়েন ১৫ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো জুটি। বিজয় ফিরলেও একপ্রান্তে ছিলেন বার্ল। আরিফুলের ওপর দিয়ে গেছে আজ সবচেয়ে বড় ঝড়। ১৩ তম ওভারে টানা দুই বলে মারেরন একটি করে ছয় ও চার। এক ওভার পর আরিফুল আবার বোলিংয়ে এলে তাকে টানা তিন ছক্কায় স্বাগত জানান বার্ল। অবশ্য ফিফটির দ্বারপ্রান্তে থেকে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। নিহাদউজ্জামানের বলে লং অন বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন আরিফুলের হাতে। ২৭ বলে ৪১ করেন চারটা ছক্কা ও একটি চারের মারে।

সিলেটের দুই স্পিনার নিহাদ ও নাহিদ নেন দুটি করে উইকেট। তিন উইকেট নেন রুয়েল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

সিলেটকে বড় ব্যবধানে হারালো রাজশাহী

প্রকাশের সময় : ০৬:১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সাম্প্রতিক সময়ে পারিশ্রমিক না পাওয়া নিয়ে সমালোচনার মধ্যে থাকা দুর্বার রাজশাহী ক্রিকেট দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয়ে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করেছে। এবারের বিপিএলে দুই দলের প্রথম দেখা। প্রথম দেখাতে দুর্বার রাজশাহীর কাছে বড় হার সিলেট স্ট্রাইকার্সের। আসরে এটি রাজশাহীর সপ্তম ম্যাচে তৃতীয় জয়।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় রাজশাহী। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে রায়ান বার্ল সর্বোচ্চ ৪১ এবং এনামুল হক বিজয় ৩২ রান করেছেন। লক্ষ্য তাড়ায় ১৭.৩ ওভারেই ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। এতে ৬৫ রানের জয় পায় দুর্বার রাজশাহী।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সিলেট। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন পল স্টার্লিং (২)। এক ওভারে পরেই তার দেখানো পথে হাঁটেন রনি তালুকদার। তবে তিনে ব্যাট করতে নেমে জর্জি মানজিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন জাকির হাসান।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই। ২৮ বলে ৩৯ রান করে জাকির আউট হলে ২২ বলে ২০ রান করে ফেরেন মানজি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অ্যারন জোন্সও (৫)। এরপর নাহিদুল ইসলাম (১), আরিফুল হক (৬) এবং নাহিদুজ্জামান শূন্য রানে আউট হলে দলীয় ১০৪ রানে ৮ উইকেট হারায় সিলেট।

সতীর্থদের আশা যাওয়ার মিছিলের দিনে লড়াই করতে থাকেন জাকের আলী। তবে নিজেকে বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ২০ বলে ৩১ রান করে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ১৮তম ওভারে তৃতীয় বলে রিস টপলি বোল্ড হলে ১৫ বল হতে থাকতেই ১১৯ রানে অলআউট হয় সিলেট। এতে ৬৫ রানের জয় পায় বিজয়ের দল।

রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন সানজামুল ইসলাম। এ ছাড়াও মিত্যুঞ্জয় চৌধুরী, তাসকিন আহমেদ, আফতাব ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট। আর একটি মাত্র শিকার করেন মার্ক দয়াল।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় রাজশাহী। নাহিদুলের বলে আউট হওয়ার আগে দুই ছক্কা মারেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। আরেক ওপেনার জিশানও হাত খুলে খেলেছেন শুরুর দিকে। স্পিনার নিহাদুজ্জামানকে এক ওভারে মেরেছেন দুটি ছক্কা। অবশ্য ছক্কা মারতে গিয়েই নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। নাহিদুলের বলে ডিপ মিড উইকেটে তুলে মারেন তিনি, রনি তালুকদার দৌড়ে গিয়ে লাফিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরান তাকে।

তবে রাজশাহীকে লড়াইয়ের রসদ এনে দিয়েছেন রায়ান বার্ল। অধিনায়ক আনামুল হক বিজয়ের সাথে গড়েন ১৫ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো জুটি। বিজয় ফিরলেও একপ্রান্তে ছিলেন বার্ল। আরিফুলের ওপর দিয়ে গেছে আজ সবচেয়ে বড় ঝড়। ১৩ তম ওভারে টানা দুই বলে মারেরন একটি করে ছয় ও চার। এক ওভার পর আরিফুল আবার বোলিংয়ে এলে তাকে টানা তিন ছক্কায় স্বাগত জানান বার্ল। অবশ্য ফিফটির দ্বারপ্রান্তে থেকে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। নিহাদউজ্জামানের বলে লং অন বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন আরিফুলের হাতে। ২৭ বলে ৪১ করেন চারটা ছক্কা ও একটি চারের মারে।

সিলেটের দুই স্পিনার নিহাদ ও নাহিদ নেন দুটি করে উইকেট। তিন উইকেট নেন রুয়েল।