আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
টিউলিপ সিদ্দিকির স্থলে নতুন অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার হিসেবে লেবার পার্টির এমপি এমা রেনল্ডসকে নিয়োগ দিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পর, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে ৪৭ বছর বয়সী এমা রেনল্ডসকে এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করেন। এমা রেনল্ডস এর আগে ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস (ডিডব্লিউপি) মন্ত্রণালয়ে পেনশন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং জুনিয়র ট্রেজারি মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন।
৪৭ বছর বয়সী এমা রেনল্ডস গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে ১৪ বছর বিরোধী দলে থাকার পর লেবার পার্টি ক্ষমতায় ফিরে আসে।
এমা রেনল্ডস বর্তমানে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ওয়াইকম্ব নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। এর আগে তিনি ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মধ্য ইংল্যান্ডের বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচন করে আইনপ্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পরপরই এই পুনর্গঠন ঘোষণা করে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট। অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার পদে টিউলিপ সিদ্দিকের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন এমা রেনল্ডস। তিনি এর আগে ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস (ডিডব্লিউপি) মন্ত্রণালয়ের পেনশন মন্ত্রী ছিলেন এবং একইসঙ্গে জুনিয়র ট্রেজারি মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অপরদিকে এমা রেনল্ডসের পূর্বের দায়িত্বে নিয়োগ পেয়েছেন টরস্টেন বেল। তিনি রেজলিউশন ফাউন্ডেশন থিংকট্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী এবং এড মিলিব্যান্ডের সাবেক নীতিনির্ধারণী প্রধান ছিলেন। সাম্প্রতিক নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হন এবং প্যাট ম্যাকফ্যাডেনের (ক্যাবিনেট অফিস মন্ত্রী) সংসদীয় ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পরপরই, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট পুনর্গঠন ঘোষণা করে। এমা রেনল্ডস বর্তমানে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ওয়াইকম্ব নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর আগে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনি মধ্য ইংল্যান্ডের বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আইনপ্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের কারণ হিসেবে তার বিরুদ্ধে নানা বিতর্ক ওঠে। সম্প্রতি, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়, বিশেষত শেখ হাসিনার বিরোধী দলের সদস্যদের কাছ থেকে উপহার গ্রহণের অভিযোগে। এ ছাড়াও, ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট সাবেক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছিল। এসব ঘটনায়, বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছিল, তাদের মতে, টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করা একজন মন্ত্রীর মতো নৈতিক মানদণ্ড অনুসরণ করতে পারেননি।
এমন পরিস্থিতিতে, তিনি ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার আহ্বান জানান। এর পরেই তদন্ত শুরু হয়, যা তার পদত্যাগের দিকে নিয়ে যায়।