বিনোদন ডেস্ক :
নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহকে জড়িয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশকিছু স্ক্রিনশট ভেসে বেড়াচ্ছে। যেখানে তাঁর নামে অভিযোগ তুলেছেন এক নারী। এ নিয়ে শনিবার (১১ জানুয়ারি) থেকেই নির্মাতাকে ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনায় মেতে উঠেছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলছেন, স্ক্রিনশটগুলো সাজানো নাটকের অংশ, বান্নাহকে ফাঁসাতে এই অপচেষ্টা। আবার কেউ কেউ বলছেন, সেগুলো সত্যি!
চারদিকে যখন এমন নানা গুঞ্জন, তখন এ বিষয়ে শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে একটি ভিডিও পোস্ট করে ‘ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশট’ নিয়ে মুখ খুলেন নির্মাতা বান্নাহ।
সম্প্রতি প্রেমিকার সঙ্গে বান্নাহর কথোপকথন ও অশ্লীল ছবি আদান-প্রদানের স্ক্রিনশটও প্রকাশ্যে এনেছেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে যে, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে তার প্রেমিককে ফাঁকি দিতে উৎসাহিত করেছেন বান্নাহ।
বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন নির্মাতা। এ বিষয়ে বান্নাহ বলেন, আমাকে নিয়ে কিছু রিউমার হচ্ছে। কিছু স্ক্রিনশট অনলাইনে ভাসছে। এবং মানুষজন বলছে, বান্নাহ ভাই এটা কি আপনি? কেউ কেউ বলছে, ভাই এটা আপনিই। আবার একদল বলছে, যারা আমার ভালোবাসার মানুষ, আমাকে যারা চেনে, আমাকে যারা ধারণ করে, যাদের কারণে আমি মাবরুর রশীদ বান্নাহ আজকে। যাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি তারা বলছে, এটা আপনি হতেই পারেন না। আপনার পার্সোনালিটির সাথে এটা যায় না।
এর আগে গত ডিসেম্বরেও এমন কিছু স্ক্রিনশট-সংক্রান্ত ব্যাপারে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানান বান্নাহ। কিন্তু পরে সেগুলো ভুয়া প্রমাণিত হয়।
বান্নাহর ভাষ্য, আমাকে নিয়ে এর আগেও নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে একটা ইন্ডিয়ান মেয়ের ছবি, যেটা বাংলাদেশি মেয়ে বানিয়ে আমাকে নানানভাবে এক্সপোজ করার চেষ্টা করেছে। যদিও ওটা হালে পানি পায় নাই। কিন্তু এবার যে চ্যাট তারা ভাইরাল করল বা চেষ্টা করল, সেটা হালে পানি পাইছে বলে মনে হচ্ছে!
নিজের কথাশৈলীর বিষয়টি অবগত করে এই নির্মাতা বলেন, এটা কারা করছে জানেন? যাদের আম্মা আগস্টের আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে গিয়েছিল, তারা। আন্দোলনে আমি মুখ খুলেছিলাম বলেই আমাকে টার্গেট করে ওরা এসব করছে। আমাকে দমিয়ে রাখতে চাচ্ছে।
সবশেষে বান্নাহ বললেন, যে আপুর প্রোফাইল থেকে এসব ফাঁস করা হচ্ছে, সেটা তার আইডি না। আমি যতদূর জানি, যার ছবি ব্যাবহার করছে উনি একজন স্বনামধন্য ইউনিভার্সিটির শিক্ষিকা। আমি নাম প্রকাশ করতে চাই না। আপনারা যারা রিউমার স্ক্যানারে কাজ করেন তারা যাচাই বাছাই করেন এবং প্রমাণ করেন যে এটা আমি ছিলাম। যদি প্রমাণ করতে পারেন যে ওটা আমি, তাহলে আমি নিজেই মিডিয়া ছেঁড়ে দেব। আমি নিজেই নিজেকে শাস্তি দেব।
বান্নাহর ভাষ্য অনুসারে, যারা এই সংক্রান্ত স্ক্রিনশটগুলো শেয়ার করছেন, তারা জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরোধিতাকারী।