Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে সম্ভব নয় : ইসি সানাউল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে সম্ভব নয়, এমনকি একইদিনে সব স্থানীয় নির্বাচনও সম্ভব নয় বলে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, তবে সরকার চাইলে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি দিয়ে স্থানীয় নির্বাচন করা যাবে। নির্বাচন কমিশনের একমাত্র মূল লক্ষ্যই জাতীয় নির্বাচন করা।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে, নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশনের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

কমিশন সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। সভায় অন্যান্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আমাদের সামগ্রিক ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। গণমাধ্যমে নিউজ দেখতে পাচ্ছি, একই সঙ্গে সব নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছেন। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। এটা আসলে বাস্তব সম্মত প্রস্তাব। সব নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়; আবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনও একসাথে করা সম্ভব নয়। এটা নিয়ে আমরা পরে আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো।

জাতীয় নির্বাচনের আগে টেস্ট কেস হিসেবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা উচিত কি না? এই প্রসঙ্গে ইসি বলেন, আমাদের সামগ্রিক ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। কমিশন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এগুচ্ছে, এর প্রস্তুতি থাকলে সব নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা সংস্কার কমিশন কাজ করছে এটা ধারণ করে যদি কোন আইন ও বিধিমালা সংশোধন করতে হয় তার একটা টাইম আছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় ওয়েদার একটা ফ্যাক্টর। তারপরও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্কার কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই আলোকে কাজ করবো। তবে সরকার যদি চাই আমাদের দিয়ে সব নির্বাচন এক সঙ্গে করাবে সেই ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান হলো সব নির্বাচন এক সঙ্গে করা ঠিক হবে না। সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন এক সঙ্গে করা সম্ভবও নয়। এখনও পর্যন্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়নি। আলোচনার আলোকে স্বপ্রণোদিতভাবে এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ইভিএমের ভবিষ্যত কী হবে আমাদের জানা নেই। ইভিএম প্রকল্প টেকওভার করা হয়নি। ইভিএম কী হবে জানি না। বর্তমান মেশিন বুঝে নেবো ও রক্ষণাবেক্ষণ করবো। ইভিএম প্রকল্প গত জুন মাসে শেষ হলেও ইভিএম পুরোপুরি টেকওভার করা হয়নি। প্রশিক্ষণের অংশটুকু বাকি ছিল যা এ সপ্তাহে শেষ হয়েছে। এমন অবস্থা ইভিএমের ভবিষ্যৎ কী হবে আমাদের জানা নেই। তবে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে এটার বিষয়ে কিছু আসতে পারে। সে যাই আসুক না কেন বর্তমানে যে মেশিনগুলো আছে তা রক্ষণাবেক্ষণ ও বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। জরুরিভিত্তিতে আমরা এটার দায় দায়িত্ব বুঝে নেবো। এগুলো সংরক্ষণ করবো পরে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা করবো।

সংস্কার কমিশনের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনে কারা অংশ নিতে পারবে
এনআইডি স্থানান্তর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেওয়া আছে তার সঙ্গে এনআইডি অন্য মন্ত্রণালয়ে যাওয়া সাংঘর্ষিক। সাংঘর্ষিক এজন্য যে সংবিধান আমাদের বলে দিয়েছে নির্বাচন, ভোটার তালিকা প্রস্তুত, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

তিনি আরও বলেন, আপানারা জানেন ২০০৭ সাল থেকে নির্বাচন কমিশন নিজেরাই এই ডাটা ডেভলপ করেছে। এই ডাটাবেজ থেকে দুটি জিনিস প্রডিউস হয় একটা ভোটার তালিকা অন্যটি এনআইডি। শুধু প্রিন্ট করার জন্য এই ডাটাবেজের ভিত্তি করে এনআইডি প্রিন্ট করার জন্য অন্য কোথাও যাক এটা যৌক্তিক নয়। আমরা আমাদের জনবল তৈরি করেছি প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং আমাদের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে মাঠ পর্যায়ে। এনআইডি অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া সঙ্গত হবে না। যে ডাটাবেজ আমাদের এটা আমাদের নিজস্বই থাকতে হবে। এই প্রাইমারি ডাটা আমরা অন্য কোথাও হস্তান্তর করতে পারবো না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে সম্ভব নয় : ইসি সানাউল্লাহ

প্রকাশের সময় : ০৩:১৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে সম্ভব নয়, এমনকি একইদিনে সব স্থানীয় নির্বাচনও সম্ভব নয় বলে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, তবে সরকার চাইলে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি দিয়ে স্থানীয় নির্বাচন করা যাবে। নির্বাচন কমিশনের একমাত্র মূল লক্ষ্যই জাতীয় নির্বাচন করা।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে, নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশনের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

কমিশন সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। সভায় অন্যান্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আমাদের সামগ্রিক ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। গণমাধ্যমে নিউজ দেখতে পাচ্ছি, একই সঙ্গে সব নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছেন। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। এটা আসলে বাস্তব সম্মত প্রস্তাব। সব নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়; আবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনও একসাথে করা সম্ভব নয়। এটা নিয়ে আমরা পরে আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো।

জাতীয় নির্বাচনের আগে টেস্ট কেস হিসেবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা উচিত কি না? এই প্রসঙ্গে ইসি বলেন, আমাদের সামগ্রিক ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। কমিশন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এগুচ্ছে, এর প্রস্তুতি থাকলে সব নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা সংস্কার কমিশন কাজ করছে এটা ধারণ করে যদি কোন আইন ও বিধিমালা সংশোধন করতে হয় তার একটা টাইম আছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় ওয়েদার একটা ফ্যাক্টর। তারপরও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্কার কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই আলোকে কাজ করবো। তবে সরকার যদি চাই আমাদের দিয়ে সব নির্বাচন এক সঙ্গে করাবে সেই ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান হলো সব নির্বাচন এক সঙ্গে করা ঠিক হবে না। সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন এক সঙ্গে করা সম্ভবও নয়। এখনও পর্যন্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়নি। আলোচনার আলোকে স্বপ্রণোদিতভাবে এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ইভিএমের ভবিষ্যত কী হবে আমাদের জানা নেই। ইভিএম প্রকল্প টেকওভার করা হয়নি। ইভিএম কী হবে জানি না। বর্তমান মেশিন বুঝে নেবো ও রক্ষণাবেক্ষণ করবো। ইভিএম প্রকল্প গত জুন মাসে শেষ হলেও ইভিএম পুরোপুরি টেকওভার করা হয়নি। প্রশিক্ষণের অংশটুকু বাকি ছিল যা এ সপ্তাহে শেষ হয়েছে। এমন অবস্থা ইভিএমের ভবিষ্যৎ কী হবে আমাদের জানা নেই। তবে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে এটার বিষয়ে কিছু আসতে পারে। সে যাই আসুক না কেন বর্তমানে যে মেশিনগুলো আছে তা রক্ষণাবেক্ষণ ও বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। জরুরিভিত্তিতে আমরা এটার দায় দায়িত্ব বুঝে নেবো। এগুলো সংরক্ষণ করবো পরে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা করবো।

সংস্কার কমিশনের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনে কারা অংশ নিতে পারবে
এনআইডি স্থানান্তর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেওয়া আছে তার সঙ্গে এনআইডি অন্য মন্ত্রণালয়ে যাওয়া সাংঘর্ষিক। সাংঘর্ষিক এজন্য যে সংবিধান আমাদের বলে দিয়েছে নির্বাচন, ভোটার তালিকা প্রস্তুত, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

তিনি আরও বলেন, আপানারা জানেন ২০০৭ সাল থেকে নির্বাচন কমিশন নিজেরাই এই ডাটা ডেভলপ করেছে। এই ডাটাবেজ থেকে দুটি জিনিস প্রডিউস হয় একটা ভোটার তালিকা অন্যটি এনআইডি। শুধু প্রিন্ট করার জন্য এই ডাটাবেজের ভিত্তি করে এনআইডি প্রিন্ট করার জন্য অন্য কোথাও যাক এটা যৌক্তিক নয়। আমরা আমাদের জনবল তৈরি করেছি প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং আমাদের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে মাঠ পর্যায়ে। এনআইডি অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া সঙ্গত হবে না। যে ডাটাবেজ আমাদের এটা আমাদের নিজস্বই থাকতে হবে। এই প্রাইমারি ডাটা আমরা অন্য কোথাও হস্তান্তর করতে পারবো না।