Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে ২ লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো : প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আন্দোলনে দুই হাজার লোক জীবন দিয়েছে। যদি ফ্যাসিস্টরা জয়ী হতো, তাহলে দুই লাখ মানুষ জেলে যেত। তাদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হতো।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও পরবর্তী প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের ‘জাতির শত্রু’ হিসেবে তুলে ধরেছিল। গণমাধ্যমের ভাষা ব্যবহার করে তখন শাসকদের কাছে বার্তা দেওয়া হচ্ছিল যে, এ আন্দোলনকারীদের দমন করা উচিত। আন্দোলনে ২ হাজার মানুষ মারা গেছে। যদি ফ্যাসিস্টরা জয়ী হতো, তাহলে দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো। তাদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হতো। আর তখন ন্যারেটিভ হতো যে, কিছু ‘দুর্বৃত্ত’ দেশজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ক্ষমতাবানকে প্রশ্ন করা কাজটি চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। ছাত্রদল বা শিবির যার বিরুদ্ধেই সংবাদ হয়, প্রথমে দেখতে হবে সংবাদটি সত্য কি না। সত্যি হলে তা মেনে নিতে হবে। জুলাই আন্দোলনে সাংবাদিকরা সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যে ভূমিকা পালন করেছে, তা ঐতিহাসিক। এ আন্দোলনে দেশের টিভি, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ অনেকে সিটিজেন সাংবাদিকতায় ভূমিকা রেখেছেন। এর বিপরীতে গিয়ে একটা পক্ষ কনসেন্ট তৈরির চেষ্টা করেছে যে, এ আন্দোলনকারী লোকেরা বিটিভিতে আক্রমণ করেছে, মেট্রোরেলে হামলা করেছে। এরা সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী, এদেরকে মারো। তারা সন্ত্রাসী, তাদেরকে হত্যা করা জায়েজ। এসব হল মিডিয়ার ভাষা। এখানে যারা সাংবাদিকতা করেন বা করেন না, আপনাদেরকেও মিডিয়ার এ ভাষা বুঝতে হবে। মিডিয়া তার ভাষা দিয়ে নির্দেশ করে দেয়, ওনি সন্ত্রাসী, ওনি দুর্বৃত্ত।

প্রেস সচিব বলেন, আমাদের সাংবাদিকরা ১৯৭১-এর যুদ্ধ কতটুকু দেখেছে আমি জানি না। তখন আমাদের এক কোটি লোক শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। এদের মানবেতর জীবন ও দুঃখ দুর্দশা নিয়ে খুব কমই লেখা পাওয়া যায়। এসব নিয়ে আমরা স্টোরি করিনি।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কারা কী ভূমিকা রেখেছে, তা আমরা আরও ভালোভাবে বিশ্লেষণ করবো। তাই সবাইকে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ ডায়েরিতে লিখে রাখতে হবে।

প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যে কাউকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বানিয়ে মেরে ফেলা জায়েজ করত। তাদের সময়ে বিশ্বের ইতিহাসে বাংলাদেশে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে।

জুলাই বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে বিশ্বের ইতিহাসে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা দেশে চোরতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। অর্থের বিনিময়ে বড় বড় কোম্পানিকে কাজ দেওয়াই ছিল তার কাজ। সে সময় পাচার করা অর্থ দিয়েই এখন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে পাচারকারীরা। প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে, এখানে এখন মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে, কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি। পরাজিত শক্তি আবার আপনাদের জঙ্গি বানাতে চায়।

জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব। অথচ অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের ‘জাতির শত্রু’ হিসেবে তুলে ধরেছিল। শাসকদের কাছে বার্তা দিয়েছিলো এই মর্মে যে, আন্দোলনকারীদের দমন করা উচিত।

জুলাইয়ের মতো মহৎ সময় আমাদের আগে কখন আসেনি। আমাদের সাংবাদিকরা ১৯৭১ এর যুদ্ধ কতটুকু দেখেছে আমি জানি না। আমাদের এক কোটি লোক শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। এদের মানবেতর জীবন ও দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে খুব কমই লেখা পাওয়া যায়। এসব নিয়ে আমরা স্টোরি করিনি। আমাদের রাইটিংয়ের অভ্যাসটা খুব কম। লেখার অভ্যাস বাড়াতে হবে।

শফিকুল আলম বলেন, বড় বড় কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেয়া ছিল তার কাজ। সে সময় বিদেশে টাকা পাচারকারীরা এখন সেই টাকায় প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে, এখানে এখন মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে, কোনো গণ-অভ্যুত্থান হয়নি। পরাজিত শক্তি আবার আপনাদের জঙ্গি বানাতে চায়। জুলাই-আগস্টে কার কী ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে আরও ভালো করে জানার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে হবে। আওয়ামী আমলের মতো দুষ্কর্ম করা যাবে না।

অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার যদি আরও এক মাস সময় পেত তাহলে ২৫ মার্চের মতো আরও একটি কালরাত দেখতে হতো। যেখানে টার্গেট হতো শিক্ষক-সাংবাদিকরা। ফ্যাসিস্ট সরকার থাকলে যুবকদের চাকরির অধিকার হরণ করতো।

অনুষ্ঠানে জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন কিমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এছাড়া অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জবি সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি আসাদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে ২ লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো : প্রেস সচিব

প্রকাশের সময় : ০৭:২০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আন্দোলনে দুই হাজার লোক জীবন দিয়েছে। যদি ফ্যাসিস্টরা জয়ী হতো, তাহলে দুই লাখ মানুষ জেলে যেত। তাদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হতো।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও পরবর্তী প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের ‘জাতির শত্রু’ হিসেবে তুলে ধরেছিল। গণমাধ্যমের ভাষা ব্যবহার করে তখন শাসকদের কাছে বার্তা দেওয়া হচ্ছিল যে, এ আন্দোলনকারীদের দমন করা উচিত। আন্দোলনে ২ হাজার মানুষ মারা গেছে। যদি ফ্যাসিস্টরা জয়ী হতো, তাহলে দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো। তাদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হতো। আর তখন ন্যারেটিভ হতো যে, কিছু ‘দুর্বৃত্ত’ দেশজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ক্ষমতাবানকে প্রশ্ন করা কাজটি চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। ছাত্রদল বা শিবির যার বিরুদ্ধেই সংবাদ হয়, প্রথমে দেখতে হবে সংবাদটি সত্য কি না। সত্যি হলে তা মেনে নিতে হবে। জুলাই আন্দোলনে সাংবাদিকরা সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যে ভূমিকা পালন করেছে, তা ঐতিহাসিক। এ আন্দোলনে দেশের টিভি, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ অনেকে সিটিজেন সাংবাদিকতায় ভূমিকা রেখেছেন। এর বিপরীতে গিয়ে একটা পক্ষ কনসেন্ট তৈরির চেষ্টা করেছে যে, এ আন্দোলনকারী লোকেরা বিটিভিতে আক্রমণ করেছে, মেট্রোরেলে হামলা করেছে। এরা সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী, এদেরকে মারো। তারা সন্ত্রাসী, তাদেরকে হত্যা করা জায়েজ। এসব হল মিডিয়ার ভাষা। এখানে যারা সাংবাদিকতা করেন বা করেন না, আপনাদেরকেও মিডিয়ার এ ভাষা বুঝতে হবে। মিডিয়া তার ভাষা দিয়ে নির্দেশ করে দেয়, ওনি সন্ত্রাসী, ওনি দুর্বৃত্ত।

প্রেস সচিব বলেন, আমাদের সাংবাদিকরা ১৯৭১-এর যুদ্ধ কতটুকু দেখেছে আমি জানি না। তখন আমাদের এক কোটি লোক শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। এদের মানবেতর জীবন ও দুঃখ দুর্দশা নিয়ে খুব কমই লেখা পাওয়া যায়। এসব নিয়ে আমরা স্টোরি করিনি।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কারা কী ভূমিকা রেখেছে, তা আমরা আরও ভালোভাবে বিশ্লেষণ করবো। তাই সবাইকে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ ডায়েরিতে লিখে রাখতে হবে।

প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যে কাউকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বানিয়ে মেরে ফেলা জায়েজ করত। তাদের সময়ে বিশ্বের ইতিহাসে বাংলাদেশে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে।

জুলাই বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে বিশ্বের ইতিহাসে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা দেশে চোরতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। অর্থের বিনিময়ে বড় বড় কোম্পানিকে কাজ দেওয়াই ছিল তার কাজ। সে সময় পাচার করা অর্থ দিয়েই এখন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে পাচারকারীরা। প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে, এখানে এখন মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে, কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি। পরাজিত শক্তি আবার আপনাদের জঙ্গি বানাতে চায়।

জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব। অথচ অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের ‘জাতির শত্রু’ হিসেবে তুলে ধরেছিল। শাসকদের কাছে বার্তা দিয়েছিলো এই মর্মে যে, আন্দোলনকারীদের দমন করা উচিত।

জুলাইয়ের মতো মহৎ সময় আমাদের আগে কখন আসেনি। আমাদের সাংবাদিকরা ১৯৭১ এর যুদ্ধ কতটুকু দেখেছে আমি জানি না। আমাদের এক কোটি লোক শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। এদের মানবেতর জীবন ও দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে খুব কমই লেখা পাওয়া যায়। এসব নিয়ে আমরা স্টোরি করিনি। আমাদের রাইটিংয়ের অভ্যাসটা খুব কম। লেখার অভ্যাস বাড়াতে হবে।

শফিকুল আলম বলেন, বড় বড় কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেয়া ছিল তার কাজ। সে সময় বিদেশে টাকা পাচারকারীরা এখন সেই টাকায় প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে, এখানে এখন মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে, কোনো গণ-অভ্যুত্থান হয়নি। পরাজিত শক্তি আবার আপনাদের জঙ্গি বানাতে চায়। জুলাই-আগস্টে কার কী ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে আরও ভালো করে জানার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে হবে। আওয়ামী আমলের মতো দুষ্কর্ম করা যাবে না।

অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার যদি আরও এক মাস সময় পেত তাহলে ২৫ মার্চের মতো আরও একটি কালরাত দেখতে হতো। যেখানে টার্গেট হতো শিক্ষক-সাংবাদিকরা। ফ্যাসিস্ট সরকার থাকলে যুবকদের চাকরির অধিকার হরণ করতো।

অনুষ্ঠানে জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন কিমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এছাড়া অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জবি সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি আসাদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।