Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হৃদয়-মায়ার্সের ঝড়ে সিলেটকে উড়িয়ে বরিশালের বড় জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

রিশাদ হোসেন ও জাহানবাদের তোপে একশর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে সেটি হতে দেননি আরিফুল হক। কিন্তু তার দলের সংগ্রহ শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি। দুই ওপেনারকে দ্রুত হারালেও কাইল মেয়ার্স ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে সহজেই জিতেছে বরিশাল।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটে স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে স্রেফ ১০ ওভার ৩ বলেই জয় পায় বরিশাল।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাকিম কর্নওয়ালের প্রথম বলেই তামিম ইকবাল ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক জাকির হাসানের হাতে। দলীয় ৬ রানে বিলাসী শট খেলতে গিয়ে ওপরে তুলে দেন এই ম্যাচে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় নামা নাজমুল হোসেন শান্তও (৪)। চলতি বিপিএলের তিন ম্যাচেই তিনি ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। দল বিপদে পড়লেও দমে যাননি হৃদয়-মায়ার্সরা। দুজন মিলে গড়েন ১১৬ রানের ম্যাচজয়ী জুটি। হৃদয় ২৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করে আউট হলেও, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মায়ার্স।

ক্যারিবীয় এই বিধ্বংসী ব্যাটার ৩১ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৯ রান করেছেন। আর তাতেই ১০.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত হয়েছে বরিশালের। চলতি আসরে এটি চার ম্যাচে তাদের তৃতীয় জয়। অন্যদিকে, সিলেট ৩ ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে। আজকের ম্যাচে তাদের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই রনি তালুকদার আউট হয়ে যান। এরপর প্রথম ওভার সিলেট দেয় মেডেন। এ ম্যাচে প্রথমবারের মতো নামা রাকিম কর্নওয়েল ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও শেষ করতে পারেননি। ১২ বলে ৪ চারে ১৮ রান করে শাহীন শাহের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

এরপর জাকির হাসানের সঙ্গে জর্জ মানসির জুটিতে ভালো কিছুর আশা দেখতে থাকে সিলেট। নিজের প্রথম দুই ওভারে একটি উইকেট পেলেও শাহীন শাহ দেন ৩৩ রান। এই রানগুলো আসে জাকির-মানসি জুটিতে।

যদিও তাদের এই জুটি ভেঙে যায় কিছুক্ষণ পরই। এর আগে ২৩ বলে আসে ৪৯ রান। ১৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৩ বলে ২৮ রান করে আউট হন মানসি। এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে রংপুরের ব্যাটিং। পরের ১৩ রানে ছয় উইকেট হারায় তারা। শেষদিকে অবশ্য তারা একশ পার করে আরিফুল ইসলামের ব্যাটে। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।

বরিশালের হয়ে জাহানদাদ ৩ ওভারে ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন। রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ১৫ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। বরিশালের অপর পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফ ২৩ রানে নিয়েছেন ২ এবং কাইল মায়ার্স ও শাহিন আফ্রিদি ১টি করে উইকেট নেন। বোলারদের কল্যাণে বরিশালের জয়ের পথটা কিছুটা সহজই হয়ে যায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

হৃদয়-মায়ার্সের ঝড়ে সিলেটকে উড়িয়ে বরিশালের বড় জয়

প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

রিশাদ হোসেন ও জাহানবাদের তোপে একশর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে সেটি হতে দেননি আরিফুল হক। কিন্তু তার দলের সংগ্রহ শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি। দুই ওপেনারকে দ্রুত হারালেও কাইল মেয়ার্স ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে সহজেই জিতেছে বরিশাল।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটে স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে স্রেফ ১০ ওভার ৩ বলেই জয় পায় বরিশাল।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাকিম কর্নওয়ালের প্রথম বলেই তামিম ইকবাল ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক জাকির হাসানের হাতে। দলীয় ৬ রানে বিলাসী শট খেলতে গিয়ে ওপরে তুলে দেন এই ম্যাচে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় নামা নাজমুল হোসেন শান্তও (৪)। চলতি বিপিএলের তিন ম্যাচেই তিনি ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। দল বিপদে পড়লেও দমে যাননি হৃদয়-মায়ার্সরা। দুজন মিলে গড়েন ১১৬ রানের ম্যাচজয়ী জুটি। হৃদয় ২৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করে আউট হলেও, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মায়ার্স।

ক্যারিবীয় এই বিধ্বংসী ব্যাটার ৩১ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৯ রান করেছেন। আর তাতেই ১০.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত হয়েছে বরিশালের। চলতি আসরে এটি চার ম্যাচে তাদের তৃতীয় জয়। অন্যদিকে, সিলেট ৩ ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে। আজকের ম্যাচে তাদের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই রনি তালুকদার আউট হয়ে যান। এরপর প্রথম ওভার সিলেট দেয় মেডেন। এ ম্যাচে প্রথমবারের মতো নামা রাকিম কর্নওয়েল ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও শেষ করতে পারেননি। ১২ বলে ৪ চারে ১৮ রান করে শাহীন শাহের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

এরপর জাকির হাসানের সঙ্গে জর্জ মানসির জুটিতে ভালো কিছুর আশা দেখতে থাকে সিলেট। নিজের প্রথম দুই ওভারে একটি উইকেট পেলেও শাহীন শাহ দেন ৩৩ রান। এই রানগুলো আসে জাকির-মানসি জুটিতে।

যদিও তাদের এই জুটি ভেঙে যায় কিছুক্ষণ পরই। এর আগে ২৩ বলে আসে ৪৯ রান। ১৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৩ বলে ২৮ রান করে আউট হন মানসি। এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে রংপুরের ব্যাটিং। পরের ১৩ রানে ছয় উইকেট হারায় তারা। শেষদিকে অবশ্য তারা একশ পার করে আরিফুল ইসলামের ব্যাটে। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।

বরিশালের হয়ে জাহানদাদ ৩ ওভারে ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন। রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ১৫ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। বরিশালের অপর পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফ ২৩ রানে নিয়েছেন ২ এবং কাইল মায়ার্স ও শাহিন আফ্রিদি ১টি করে উইকেট নেন। বোলারদের কল্যাণে বরিশালের জয়ের পথটা কিছুটা সহজই হয়ে যায়।