Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপকব উন্নয়ন ঘটে পাকিস্তান সরকারের। দুই দেশের সরকারপ্রধান নিউইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন। তারই ধারবাহিকতায় আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি) এবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বাংলাদেশ সফরে আসছেন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী (ফেব্রুয়ারি) মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন। গত বছরের আগস্টে ভারতপন্থি সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আসন্ন এই সফরটিকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ যা দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ককেই সামনে তুলে ধরছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে দার বলেন, ফেব্রুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ঢাকা সফর করবেন। এই সফরে দুই দেশের বৈদেশিক নীতির উন্নয়নের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদারের লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও ইসলামাবাদ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।

এর আগে ২০১২ সালে সর্বশেষ পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন হিনা রব্বানি খার। ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে সেসময় ঢাকা সফর করেছিলেন তিনি।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের মেয়াদে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন ছিল। আওয়ামী লীগের এই নেত্রী ভারতের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পাকিস্তানের একাধিক প্রচেষ্টার প্রতিদান দেননি।

রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছরের আগস্টে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বেশ কিছু অগ্রগতিও হয়েছে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানি রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছে। তাছাড়া সমুদ্রপথে দুই দেশ সরাসরি বাণিজ্যও শুরু করেছে।

ইসহাক দার বাংলাদেশকে ‘ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশ’ বলে অভিহিত করে বলেন, পাকিস্তান ঢাকাকে সব ধরনের সহায়তা দেবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপকব উন্নয়ন ঘটে পাকিস্তান সরকারের। দুই দেশের সরকারপ্রধান নিউইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন। তারই ধারবাহিকতায় আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি) এবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বাংলাদেশ সফরে আসছেন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী (ফেব্রুয়ারি) মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন। গত বছরের আগস্টে ভারতপন্থি সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আসন্ন এই সফরটিকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ যা দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ককেই সামনে তুলে ধরছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে দার বলেন, ফেব্রুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ঢাকা সফর করবেন। এই সফরে দুই দেশের বৈদেশিক নীতির উন্নয়নের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদারের লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও ইসলামাবাদ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।

এর আগে ২০১২ সালে সর্বশেষ পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন হিনা রব্বানি খার। ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে সেসময় ঢাকা সফর করেছিলেন তিনি।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের মেয়াদে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন ছিল। আওয়ামী লীগের এই নেত্রী ভারতের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পাকিস্তানের একাধিক প্রচেষ্টার প্রতিদান দেননি।

রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছরের আগস্টে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বেশ কিছু অগ্রগতিও হয়েছে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানি রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছে। তাছাড়া সমুদ্রপথে দুই দেশ সরাসরি বাণিজ্যও শুরু করেছে।

ইসহাক দার বাংলাদেশকে ‘ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশ’ বলে অভিহিত করে বলেন, পাকিস্তান ঢাকাকে সব ধরনের সহায়তা দেবে।