Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র : আড়াই লাখ মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা ছাত্রদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই বিপ্লবের ‘ঘোষণাপত্র’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অন্তত দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ মানুষের জমায়েতের পরিকল্পনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।

তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘিরে অন্তত ৫০০ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে নতুন স্বপ্ন দেখবে বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশে যে সরকারই আসবে, এই ঘোষণাপত্র সীমারেখা হয়ে কাজ করবে। এর মধ্য দিয়ে বস্তাপচা রাজনীতির অবসান হবে।

আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সব রাজনৈতিক দল এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানাবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে নতুন বছর উদযাপন ও জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠান ঘিরে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

কী থাকবে ঘোষণাপত্রে এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, ৩ আগস্টের এক্সটেন্ডেড ভার্সন আগামীকাল হতে যাচ্ছে। ফ্যাসিস্টের পতনের পর নতুন প্রক্লেমেশন দিয়ে সেটাকে আমরা জাতির কাছে ডকুমেন্টেড করে তুলতে চাচ্ছি।
তিনি বলেন, মঙ্গলবারের ঘোষণাপত্রে এমন একটা সীমারেখা আগামী দিনের সরকারকে দিয়ে যাওয়া হবে, তার বাইরে যেন কোনো সরকার যেতে সাহস না করে।

বস্তাপচা রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে নতুন রাজনীতির উদ্ভব হবে দেশে। সেই রাজনীতি কিসের ওপর ভিত্তি করে হবে সেটা আগামীকাল ডকুমেন্ট আকারে প্রকাশ করতে যাচ্ছি, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাহাত্তরের পর থেকে বাংলাদেশের সব সরকারই সীমারেখা অতিক্রম করেছে। মানুষের অধিকার হরণের সীমারেখা যাতে কেউ অতিক্রম করতে না পারে সেটা ভবিষ্যতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদের জন্য চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শক্তির পক্ষ থেকে সীমারেখা আমরা টানতে চাচ্ছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। তিনটা থেকে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান।

উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোল। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সামাজিক মাধ্যমে এ ঘোষণাপত্র নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।

ঘোষণাপত্রের খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির জন্য ১৯৪৭ সালে যুদ্ধ করেছে, পাকিস্তান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে, ১৯৭২ সালের সংবিধান আমাদের জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং রাষ্ট্রকে দুর্বল করেছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এর মধ্যে, ’৭২ সালের সংবিধান সংস্কার বা বাতিল করার প্রস্তাবসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ঘোষণাপত্রটি ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে বলে খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র : আড়াই লাখ মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা ছাত্রদের

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই বিপ্লবের ‘ঘোষণাপত্র’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অন্তত দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ মানুষের জমায়েতের পরিকল্পনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।

তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘিরে অন্তত ৫০০ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে নতুন স্বপ্ন দেখবে বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশে যে সরকারই আসবে, এই ঘোষণাপত্র সীমারেখা হয়ে কাজ করবে। এর মধ্য দিয়ে বস্তাপচা রাজনীতির অবসান হবে।

আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সব রাজনৈতিক দল এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানাবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে নতুন বছর উদযাপন ও জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠান ঘিরে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

কী থাকবে ঘোষণাপত্রে এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, ৩ আগস্টের এক্সটেন্ডেড ভার্সন আগামীকাল হতে যাচ্ছে। ফ্যাসিস্টের পতনের পর নতুন প্রক্লেমেশন দিয়ে সেটাকে আমরা জাতির কাছে ডকুমেন্টেড করে তুলতে চাচ্ছি।
তিনি বলেন, মঙ্গলবারের ঘোষণাপত্রে এমন একটা সীমারেখা আগামী দিনের সরকারকে দিয়ে যাওয়া হবে, তার বাইরে যেন কোনো সরকার যেতে সাহস না করে।

বস্তাপচা রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে নতুন রাজনীতির উদ্ভব হবে দেশে। সেই রাজনীতি কিসের ওপর ভিত্তি করে হবে সেটা আগামীকাল ডকুমেন্ট আকারে প্রকাশ করতে যাচ্ছি, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাহাত্তরের পর থেকে বাংলাদেশের সব সরকারই সীমারেখা অতিক্রম করেছে। মানুষের অধিকার হরণের সীমারেখা যাতে কেউ অতিক্রম করতে না পারে সেটা ভবিষ্যতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদের জন্য চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শক্তির পক্ষ থেকে সীমারেখা আমরা টানতে চাচ্ছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। তিনটা থেকে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান।

উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোল। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সামাজিক মাধ্যমে এ ঘোষণাপত্র নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।

ঘোষণাপত্রের খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির জন্য ১৯৪৭ সালে যুদ্ধ করেছে, পাকিস্তান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে, ১৯৭২ সালের সংবিধান আমাদের জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং রাষ্ট্রকে দুর্বল করেছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এর মধ্যে, ’৭২ সালের সংবিধান সংস্কার বা বাতিল করার প্রস্তাবসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ঘোষণাপত্রটি ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে বলে খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে।