মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ইজতেমার ময়দানে সমাবেশ করার নিষেধাজ্ঞা অচিরেই কাটবে। যথাসময়েই ইজতেমা হবে। তবে সহিংসতাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মুন্সীগঞ্জ সার্কিট হাউস চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইজতেমা নিয়ে সহিংসতার বিষয়ে তদন্ত চলছে। সাদ এবং জুবায়ের দুই পক্ষই আমাদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে ছিল। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আসতেই হবে। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর হস্তে তাদের দমন করা হবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় শীঘ্রই ইজতেমা ময়দানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন নয়, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। এছাড়া ইজতেমা ময়দানে সংঘাতের ঘটনা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জুবায়েরপন্থীদের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়েই আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। তবে ইজতেমা ময়দানে, সংঘাতের ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে, তদন্ত শেষে কাউকেই কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। ফলে ইজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, ইজতেমা ময়দানের ঘটনা নিয়ে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী দুই গ্রুপের সঙ্গেই আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
যে কোনো পরিস্থিতি ও নির্বাচনের জন্য পুলিশ প্রস্তুত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ১৮৫ জনের মতো (পুলিশ সদস্য) কাজে যোগ দেয়নি, এ সংখ্যা নগণ্য। বাকি পুলিশ সদস্যরা কার্যকরী অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। র্যাব, বিজিবি রয়েছে। নির্বাচনসহ যে কোনো অবস্থা মোকাবিলা করতে কোনো অসুবিধা হবে না।
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর রাফিসহ র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, কৃষি অধিদপ্তর ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।