Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম : হাসিনা-রেহানা-জয়ের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারের ৯টি মেগা প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ৪ জনের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, আশ্রায়ণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বেজা ও বেপজার বিভিন্ন প্রকল্পসহসহ ৯টি প্রকল্পে অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ লুটপাট করা হয়ছে। এসব অর্থ আত্মসাৎ ও দেশের বাইরে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের বৈঠকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান হবে, তারা হলেন হাসিনার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।

দুদকের সূত্র জানিয়েছে, আপাতত এ চারজনের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদুক। অনুসন্ধানে আরও ব্যক্তিদের নাম আসতে পারে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন বলে আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে তথ্য প্রকাশ করে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের একটি ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ আত্মসাতের কাজে তাকে সহায়তা করেছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিক। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটমের কাছ থেকে একটি পারমাণবিক চুল্লি কেনার নামে এই বিশাল অর্থ লেনদেন করেন।

তবে ২৫ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের পাঁচ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল, এমন খবরকে ‘গুজব’ ও ‘মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।

গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে তা নিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে রিট করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ববি হাজ্জাজ।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের পাঁচ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জুলাই কেন ‘মানি-মেকিং মেশিন’ হবে, প্রশ্ন উমামা ফাতেমার

৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম : হাসিনা-রেহানা-জয়ের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারের ৯টি মেগা প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ৪ জনের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, আশ্রায়ণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বেজা ও বেপজার বিভিন্ন প্রকল্পসহসহ ৯টি প্রকল্পে অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ লুটপাট করা হয়ছে। এসব অর্থ আত্মসাৎ ও দেশের বাইরে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের বৈঠকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান হবে, তারা হলেন হাসিনার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।

দুদকের সূত্র জানিয়েছে, আপাতত এ চারজনের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদুক। অনুসন্ধানে আরও ব্যক্তিদের নাম আসতে পারে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন বলে আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে তথ্য প্রকাশ করে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের একটি ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ আত্মসাতের কাজে তাকে সহায়তা করেছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিক। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটমের কাছ থেকে একটি পারমাণবিক চুল্লি কেনার নামে এই বিশাল অর্থ লেনদেন করেন।

তবে ২৫ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের পাঁচ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল, এমন খবরকে ‘গুজব’ ও ‘মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।

গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে তা নিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে রিট করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ববি হাজ্জাজ।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের পাঁচ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেন।