Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর-সেটি ছাত্র নাগরিক কোনো ধরনের তোয়াক্কা করে না : হাসনাত আব্দুল্লাহ

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর-সেটি ছাত্র নাগরিক কোনো ধরনের তোয়াক্কা করে না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার লাকসামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে জিএম কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিষয়ে যে আলাপ জাতীয় পার্টি দিচ্ছে, এটি ফ্যাসিবাদের আরেকটি দোসর। জাতীয় পার্টির ওপর ভর করেই কিন্তু ফ্যাসিবাদ ডালপালা গজিয়ে মহীরুহ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি যদি মনে করে আন্দোলনের আগে পরে কয়েকদিন থেকে মেইনস্ট্রিমে চলে আসবে, তবে তারা ভুল ভাবছে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী দোসর। আওয়ামী দোসর হিসেবেই ইতিহাসে স্বীকৃত থাকবে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর তারা ছাত্র-নাগরিক কারও তোয়াক্কা করে না।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি বলছে, আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি নাকি দেশের ৫০ ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে শহিদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তারা এই কথা বলার সাহস কীভাবে পায়। স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের দোসররা প্রাসঙ্গিক নয়।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাচ্ছে, তাদেরকে বলতে চাই, আপনাদের আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে গিয়ে এই ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসন করতে হবে। আমরা যতদিন বেঁচে আছি ততদিন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া এক ইঞ্চি মাটিও ফ্যাসিবাদের জন্য ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসেও আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে। যে কোনো মুহূর্তে ফ্যাসিবাদ আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, মাদার অব টেরর শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে যথাযথ জায়গায় আমরা তাকে পাঠিয়েছি। এই মাদার অব টেরর ভারতে বসেও আমাদের বিরুদ্ধে তার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান রাখতে হবে।

রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এই গণ-অভ্যুত্থান অত্যন্ত প্রেস্টিজিয়াস বিষয়। এটির ক্রেডিট অবশ্যই আমরা যার যার জায়গা থেকে নেব। কিন্তু ক্রেডিট নিতে গিয়ে এটি যেন ভুলে না যাই, যে উদ্দেশে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল সেই উদ্দেশের সঙ্গে আমরা যেন কখনো কম্প্রোমাইজ না করি।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই গণ-অভ্যুত্থানে যে স্পিরিট নিয়ে ওয়াসিম-মুগ্ধ-আবু সাঈদ রক্ত দিয়েছেন, আমরা এর ক্রেডিট নেওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত হয়ে গিয়েছি। কিন্তু যে উদ্দেশে রক্ত দিয়েছেন সেটি বাস্তবায়নে আমরা কতদূর এগোলাম সে হিসাব এখন আর অনেক রাজনৈতিক দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।

ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মিডিয়াকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসান আব্দুল্লাহ বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো যেভাবে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের দেশে হিন্দু-মুসলমানের কোনো বিদ্বেষ নেই। ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে। তা বেশি বেশি গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।

তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি বর্তমানে সক্রিয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের বলবো, গণঅভ্যুত্থান অবশ্যই একটি সম্মানজনক বিষয়। এর ক্রেডিট আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে নেব। তবে, যে উদ্দেশ্যে এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, আমরা যেন সেটা ভুলে না যাই। সবাই ক্রেডিট নিয়ে ব্যস্ত, কিন্তু যে উদ্দেশ্যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল সেটা বাস্তবায়নে আমরা কতটা এগোতে পেরেছি এটা নিয়ে কেউ ভাবছেন না।

এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরা প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না সে সিদ্ধান্ত ৫ আগস্ট হয়ে গেছে। দলের প্রধান হাসিনার যখন পতন হয়, পালিয়ে যায় এবং যে দলের হাতে ২ হাজার শহীদের রক্ত এখনও লেগে আছে, সেই দল আবার পুনর্বাসিত হবে কি হবে না তা ৫ আগস্ট নির্ধারিত হয়ে গেছে।

‘জুলাই গণআন্দোলনের শহীদদের রক্তের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এবং এই গুম-হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হওয়ার প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক নয়। এখন একটি বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তা হলো, আওয়ামী লীগের আগে সুবিচার হতে হবে। আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে যা করেছে এক হাজার বছর কারাগারে থাকলেও তা শোধ হবে না।’

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রিফাত রশিদ, নুসরাত তাবাসসুম, তরিকুল ইসলাম, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাকিব হোসাইন। সভায় লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর-সেটি ছাত্র নাগরিক কোনো ধরনের তোয়াক্কা করে না : হাসনাত আব্দুল্লাহ

প্রকাশের সময় : ১০:০১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর-সেটি ছাত্র নাগরিক কোনো ধরনের তোয়াক্কা করে না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার লাকসামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে জিএম কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিষয়ে যে আলাপ জাতীয় পার্টি দিচ্ছে, এটি ফ্যাসিবাদের আরেকটি দোসর। জাতীয় পার্টির ওপর ভর করেই কিন্তু ফ্যাসিবাদ ডালপালা গজিয়ে মহীরুহ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি যদি মনে করে আন্দোলনের আগে পরে কয়েকদিন থেকে মেইনস্ট্রিমে চলে আসবে, তবে তারা ভুল ভাবছে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী দোসর। আওয়ামী দোসর হিসেবেই ইতিহাসে স্বীকৃত থাকবে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর তারা ছাত্র-নাগরিক কারও তোয়াক্কা করে না।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি বলছে, আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি নাকি দেশের ৫০ ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে শহিদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তারা এই কথা বলার সাহস কীভাবে পায়। স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের দোসররা প্রাসঙ্গিক নয়।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাচ্ছে, তাদেরকে বলতে চাই, আপনাদের আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে গিয়ে এই ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসন করতে হবে। আমরা যতদিন বেঁচে আছি ততদিন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া এক ইঞ্চি মাটিও ফ্যাসিবাদের জন্য ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসেও আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে। যে কোনো মুহূর্তে ফ্যাসিবাদ আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, মাদার অব টেরর শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে যথাযথ জায়গায় আমরা তাকে পাঠিয়েছি। এই মাদার অব টেরর ভারতে বসেও আমাদের বিরুদ্ধে তার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান রাখতে হবে।

রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এই গণ-অভ্যুত্থান অত্যন্ত প্রেস্টিজিয়াস বিষয়। এটির ক্রেডিট অবশ্যই আমরা যার যার জায়গা থেকে নেব। কিন্তু ক্রেডিট নিতে গিয়ে এটি যেন ভুলে না যাই, যে উদ্দেশে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল সেই উদ্দেশের সঙ্গে আমরা যেন কখনো কম্প্রোমাইজ না করি।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই গণ-অভ্যুত্থানে যে স্পিরিট নিয়ে ওয়াসিম-মুগ্ধ-আবু সাঈদ রক্ত দিয়েছেন, আমরা এর ক্রেডিট নেওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত হয়ে গিয়েছি। কিন্তু যে উদ্দেশে রক্ত দিয়েছেন সেটি বাস্তবায়নে আমরা কতদূর এগোলাম সে হিসাব এখন আর অনেক রাজনৈতিক দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।

ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মিডিয়াকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসান আব্দুল্লাহ বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো যেভাবে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের দেশে হিন্দু-মুসলমানের কোনো বিদ্বেষ নেই। ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে। তা বেশি বেশি গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।

তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি বর্তমানে সক্রিয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের বলবো, গণঅভ্যুত্থান অবশ্যই একটি সম্মানজনক বিষয়। এর ক্রেডিট আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে নেব। তবে, যে উদ্দেশ্যে এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, আমরা যেন সেটা ভুলে না যাই। সবাই ক্রেডিট নিয়ে ব্যস্ত, কিন্তু যে উদ্দেশ্যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল সেটা বাস্তবায়নে আমরা কতটা এগোতে পেরেছি এটা নিয়ে কেউ ভাবছেন না।

এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরা প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না সে সিদ্ধান্ত ৫ আগস্ট হয়ে গেছে। দলের প্রধান হাসিনার যখন পতন হয়, পালিয়ে যায় এবং যে দলের হাতে ২ হাজার শহীদের রক্ত এখনও লেগে আছে, সেই দল আবার পুনর্বাসিত হবে কি হবে না তা ৫ আগস্ট নির্ধারিত হয়ে গেছে।

‘জুলাই গণআন্দোলনের শহীদদের রক্তের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এবং এই গুম-হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হওয়ার প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক নয়। এখন একটি বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তা হলো, আওয়ামী লীগের আগে সুবিচার হতে হবে। আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে যা করেছে এক হাজার বছর কারাগারে থাকলেও তা শোধ হবে না।’

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রিফাত রশিদ, নুসরাত তাবাসসুম, তরিকুল ইসলাম, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাকিব হোসাইন। সভায় লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।